রামায়ণ–কৃত্তিবাস—জন্ম ১৩৮৫-১৪০০ খৃষ্টাব্দের মধ্যে। (te(t কটিতে কিঙ্কিণী দিল সোণাৱ নুপূৱ পাএ। চলিতে চলিতে সোণার নূপূৱ পঞ্চম গায়। হৃদি মাঝে শোভে তার বিচিত্র কাচলি। মুকুতার হার উপরে করিছে ঝলমলি॥ শুভ্র বস্ত্র আনি দিল পরিবার তরে। সোণার অঙ্গে শুক্ল বস্ত্র শোভা নাহি করে॥ রক্ত বস্ত্র আনি দিল পরিবার তরে। সোণার অঙ্গে হেন বসন শোভা নাহি করে॥ নীল বসন আনিয়া দিল পরিবার তরে। সোণার অঙ্গে নীল বসন ভাল শোভা করে - নীল বসন পরিধান তাহে রাঙ্গা পাড়ি। কত কত লেখা আছে পক্ষ পাকড়ি (১)॥ বেশ স্থবেশে হৈল সীতা যে সুন্দরী। সীতার রূপে মোহ গেলা রাক্ষসের নারী॥ দিব্য চৌদল আনি যোগায় ততক্ষণে। যাত্রা করেন সীতা রাম দরশনে॥ কুহু কুহু শব্দে কোকিল করএ রোদন। জশো ক-বনে শোক। মা ছাড়া গেলে আন্ধার হব অশোক-বন॥ ময়ুরগণ নৃত্য ছাড়ি করে হায় হায়। ভ্রমর গুণ গুণ ছাড়ি লোটায় সীতার পায়॥ সীতার চরণে ধরি কন্দেন সরমা। দাসী করি সঙ্গে নেহ না করিহ ঘূণী॥ জানকী কহেন শুন মিতা বিভীষণ। সরমা বোহিনীর তুমি করিহ পালন॥ আমার সঙ্গেতে যাইবে অযোধ্যা-ভূবনে। রাক্ষসী দেখিয়া লোকে ভয় পাইব মনে॥ জয় রাম বলিয়া সীতা চাপিলা চৌদোলে। রাক্ষস বানর সভে রাম জয় বলে॥ দোলাখান বাহির হৈল অশোকের বনে। রাম-সকাশে। সীতাকে দেখিতে আইসে রাক্ষস বানর চারি পানে॥ (১) পক্ষ পাকড়ি = পক্ষী। পূর্ব্ববঙ্গের অনেক স্থলে শুধু পক্ষী বুঝাইতে কোন কোন সময় “পাখ পাখালি” বা “পক্ষী-পাকলা চলিত কথায় ব্যবহৃত হয়।
- 28