রামায়ণ–কৃত্তিবাস জন্ম ১৩৮৫-১৪০০ খৃষ্টাব্দের মধ্যে। ( రిసి বসুমতী জননী স্বামী রাজ্যেশ্বর। সর্ব্ব তত্ত্ব জগন্তা কেনে বল রক্ষর॥ পাষণ্ড রাবণ মোরে অশোক-বনে রাখে। সে সব দুঃখের কথা নিবেদিৰ কাখে॥ চেড়ীর প্রহারে ভূমে গড়াগড়ি যাই। সে দিনের দুঃখ শুন জগৎ-গোসাঞি॥ জলে প্রবেশ করি কিম্বা হই আত্মঘাতী। হেন কালে হনুমান গেলেন শীঘ্রগতি। হনুমানের মুখে তোমার তত্ত্ব পাইলাঙ রাম। তোমার কুশল শুষ্ঠা মোর দেহে রৈল প্রাণ॥ তোমার সংবাদ যদি হনুমান না বলে। মনেতে করিলাঙ বিচার মরিব সাগর-জলে। হনুমান বানর যদি সম্বাদ না দিত। সীতার দেহ এত দিন মাটী হয়্যা যাত্য ৷ আমার উদ্দেশে হনুমান পাঠাহ যেই কালে। আমার বর্জন কেন ন কৈলে সেই কালে ৷ বিষ খায়্যা মরিতাঙ কিম্বা অঙ্গ তেজে বেশ। লঙ্কায় আসিয়া নাথ কেন পাল্যে ক্লেশ॥ গাত্র খণ্ড খণ্ড হৈল রাক্ষসের বাণে। এত দুঃখ পাইলে নাথ অভাগীর কারণে॥ আমার উদ্ধার লাগি কিবা ছিল কাষ। কি দোষে ছাড়িলে মোরে রঘু-কুল-রাজ। এত লোকের মাঝে আজি করিলে অপমান। এই হেতু উদ্ধার করিলে ভগবান। তোমা অপমানে প্রভু লাজ নাহি বাসি। যে করিবে তব ইচ্ছ। আমি তুয়া দাসী ৷ দাসীর এমন দশা কৈলে ভগবান। বেঙ্গ নটিনী নহি যে সভাকে দেহ দান। এই হেতু এই দেহ না রাখিব আর। অনলে পোড়াব দেহ কহি সারোদ্ধার॥ হেদে হে লক্ষ্মণ দেয়র দেহরে প্রসাদ। অগ্নি জাল্যা দেহ মোর যাউক অপবাদ॥ প্রভুর বালাই লয়্যা আগুনে পুড়িব। অপবাদ মহাদুঃখ যাবৎ নাঞাব॥
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৬৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।