راند t) বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। “ সীতা বিনে মোর প্রাণ তিলেক না রয়। কান্দিতে কান্দিতে বলে দুই ধারা বয়॥ কহরে লক্ষ্মণ ভাই কি করিব আর। সীতা বিনে দশ দিগ হল্য অন্ধকার। আমি আর না যাইব আপন নগর। সীতা বিনে প্রবেশিব অগ্নির ভিতর॥ কহিবে মাএর আগে তুমি যাহ দেশে। আমি গিয়া অগ্নিকুণ্ডে করিব প্রবেশে॥ এত বলি রামচন্দ্র বেগে যান ধাঞাঁ। আমি ঘুচাইব দুঃখ কুণ্ডে ঝাপ দিয়া ৷ প্রাণের দোসরী সীতা গেল যেই পথে। আমি সঙ্গী হব ভাই যাব তার সাথে। জ্ঞানহীন হঞ রাম ধাঞা যান বেগে। ত্বরাত্বরি লক্ষ্মণ ধরিল পদযুগে ৷ ছাড়রে লক্ষ্মণ ভাই দেহরে ছাড়িয়া। সীতার বিরহ-দুঃখ যাব এড়াইয়া॥ লক্ষ্মণ বলেন নাথ সঙ্গে কর মোরে। চল দুটা ভাই প্রবেশির কুণ্ডের ভিতরে॥ লক্ষ্মণের গলা ধরি অচেতন হল্যা। হায় হায় করি লক্ষ্মণ কান্দিতে লাগিলা॥ * * আমার মনে আগে নাঞি হল্য। ত্রিভুবন-জয়লক্ষ্মী অনলে পড়িল৷ শক্তিশেলে পড়া কেনে নহিল মরণ। বিষম দৈবের গতি দুঃখের কারণ॥ তুমি যে ছাড়িবে লক্ষ্মী জানিব কেমনে। না রাখিব দেহ আর পোড়াব আগুনে॥ কিন্তু আর প্রভু রামে নারিব রাথিতে। দেশান্তরী হব রামে বান্ধিয়া গলাতে॥ লক্ষ্মণের মুখ হেরি পাইয়া চেতন। কি করিব বুদ্ধি মোরে বল হে লক্ষ্মণ। যারে না দেখিলে প্রাণ তিলেক না রয়। সে মোর আগুনে পুড়া হল ভষ্মময়। জানকীরে সঙ্গে লয়্যা হল্যাঙ বনবাসী। কি লয়্যা যাইব দেশে কর্য ভস্মরাশি।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৬৪০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।