রামায়ণ–কৃত্তিবাস—জন্ম ১৩৮৫-১৪০০ খৃস্টাব্দের মধ্যে। ৫২১ জগতের চুড়া তুমি তুমি সভার গতি। মানুষের কর্ম্ম কেন কৈলে রঘুপতি। দেবের দেবতা তুমি গোলোকের পতি। ব্রহ্মার স্তৰ। তব নাতি-পদ্মে নাথ আমার জনম ৷ তোমার গা এর লোম সর্ব্ব দেবগণ॥ তুমি পূর্ণব্রহ্ম সীতা জগত-জননী। রাবণ বধিতে জন্ম নিলে চক্র-পাণি॥ লক্ষ্মী মূর্ত্তি জানকীরে ছাড় কোন দোষে। সামান্ত্যের মত কর্ম্ম দেবে নাঞি বাসে। ব্রহ্মা যত যত বলে রাম নাঞি শুনে। ক্রন্দনের ধ্বনি গিয়া উঠিছে গগনে॥ রাক্ষস বানর সব করিছে ক্রনন। অশ্র-জলে সভাকার ভাসিছে বয়ান॥ অচেতন মৃগ পক্ষ তরু লতা আদি। লক্ষ্মণের কোলে অচেতন গুণনিধি। কান্দিছে লক্ষ্মণ বীর করি হায় হায়। জনক-নন্দিনী বিনে হল্য অনুপায়। হনুমানের সহিত র্তাহার মাতী অঞ্জনার সাক্ষাৎ। চক্ষু মেলিঅ' বানরী পুত্র পানে চাই। বানরী বলেন আমার পুত্র কেহ নাই॥ হনুমান বলে (১) বটে একটা পুত্র ছিল। না জানি নির্ব্বলী বেট কোথা গিয়া মৈল ৷ হনুবলে মরি নাই বাচ্য আছি প্রাণে। অঞ্জনা বলে মাথায় তবে চুল নাই কেনে॥ হনুমান মাএ কহেন কর-যোড় হঞা। মাথার কেশ উঠা গেছে গাছ পাথর বঞা॥ এত শুনি অঞ্জন চান হনুত্র পানে। আচম্বিতে গাছ পাথর বৈলে (২) কি কারণে॥ হনুমান বলেন মা নিবেদন করি। দশরথ-মৃত হৈল পূর্ণব্রহ্ম হরি। (১) বলিয়া। (২) বহিলে। అ
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৬৪৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।