পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৬৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামায়ণ–কৃত্তিবাস—জন্ম ১৩৮৫-১৪০০ খৃষ্টাব্দের মধ্যে। ৫২৩ যোড় হাতে বানরী পড়িল রাঙ্গ পায়। সোণার অঙ্গ বানরী এক দিঠে চায়॥ যোড় হাতে রঘুনাথে কহেন চন্দ্রমুখী। নীল-কমল-অঙ্গে কিসের চিহ্ন দেখি॥ রাম বলেন বানরী কর অবধান। অঙ্গেতে বাজাছে ষত রাক্ষসের বাণ॥ অঞ্জন কটাক্ষে চায় হনুমানের পানে। এমন ইচ্ছা নাই তোরে দেখিরে নয়নে॥ হয়্যা কেনে না মৈলে নির্ব্বলী হনুমান। তে থাকিতে শ্যাম অঙ্গে বাজে দুষ্টের বাণ॥ এক ধার দুগ্ধ মোর না খাসি কখন। তেঞি এত শ্রম পান শ্রীমধুস্থদন॥ আজি যদি বৃদ্ধকালে এড়ি দুগ্ধের ধার। সাতটা পর্ব্বত দুগ্ধের বেগে হয় ফার॥ তার পর বানরী পড়ে সীতার চরণে। মা তোমা চুরি কর্য ছিল পাপিষ্ঠ রাবণে। কটাক্ষে তার পানে যদি চাহিতে রূপসী। রাবণ শত কোটি রাবণ হৈত ভষ্মরাশি॥ তার পর অঞ্জনা বন্দেন লক্ষ্মণ। ধন্য ধন্ত লক্ষ্মণ তোমার ধন্ত জীবন॥ তুমি দুঃখ পায়াছ বড় রাবণের শেলে। আমার নির্ব্বলী পুত্র হত্যে এত দুঃখ পাল্যে ৷ এক ধার দুগ্ধ যদি খাইত হনুমান। তবে কেনে এত দুঃখ পাবেন শ্রীরাম॥ হনুমানকে রামের হস্থে অৰ্পণ। রাম কহেন হনুমান আমি দেশে যাই। মাএর কোল যুড়া করি রহ মাএর ঠাঞি। রাম বাক্য নাহি লঙ্ঘে বীর হনুমান। যথা আজ্ঞা বলিয়া গেল জননীর স্থান। হেথা কেনে আইলে বাপু ছাড়িয়া শ্রীরাম। অমৃত ছাড়িয়া কেনে বিষ করিলে পান। হনুমানের হাতে ধরিঞা দিল রাঙ্গাপায়। আমার হনুর ভার লীগএ তোমায়।