রামায়ণ–কবিচন্দ্র—১৬শ শতাব্দীর শেষভাগ। をミQ শুন্য বজাঘাত পড়ে রাবণের শিরে। নিশাচরকে বলিলা বেমন সাবধানে ফিরে॥ রাজার যতেক সৈন্য শুদ্যা কলরব। কি হল্য কি হল্য বল্য ধাঞা আল্য সব॥ ঝাটীঝাপটা যত যত অস্ত্র লাখে লাখে। মার মার করি শব্দ চতুর্দিকে থাকে। এক এক সেনাপতির অযুতেক বোড়া। হস্তী প্রতি নিযোজিত সহস্ৰেক ঘোড়॥ শতেক পদাতিক এক অশ্বের সাজন। এতেক কটকে রাজ কর্যাছে দিরান (১)॥ রাবণের প্রতাপে কঁপিছে বস্থঙ্করা। রাবণের প্রতাপ। আজ্ঞাএ করিছে কার্য্য যত দেবতারা॥ চন্দ্রম ধর্যাছে শিরে নবদণ্ড ছাতা। শিশু পাঠে নিযোজিত আপনি বিধাতা ৷ মালাকার হঞ হার গাথে পুরন্দর। নারদে বাজায় বীণা রাজার গোচর। মন্দির মার্জন করে পবন বরুণ। দ্বারে দ্বারী হঞা আছেন ত অরুণ॥ বৃহস্পতি বেদ পড়ে রাজার সভায়। উর্ব্বণী নাচয়ে আসি কিন্নরী গীত গায় ৷ পবন বীজন তার মন্দ মন্দ বয়। পৌর্ণমাসীর চন্দ্র আসি নিত্য উদয় হয় ৷ নিদ্রা না যায় যম রাবণের ডরে। অনল শীতল হয় বদি আজ্ঞা করে॥ এ সব বৈভব রাজা কিছুই না লেখে। নিরবধি রামরূপ অন্তরেতে দেখে। (২) শুইলে রামের রূপ স্বপনেতে দেখে। ভরমে রামের রূপ ধরণীতে লেখে। (৩) রাম-ভীতি। (১) দরবার। (২) মার্চ রাক্ষসের এইরূপ রান-ভীতি হইয়াছিল। বাল্মীকি লিখিয়াছেন–মারীচ রাবণকে বলিতেছেন “বৃক্ষে বৃক্ষে চ পঙ্গামি চার-কৃষ্ণাজিনাম্বরম। গৃহীত-ধন্থসং রামং পাশহস্তমিবান্তকম্॥* (৩) “ভরমে তোমার রূপ ক্ষিতি তলে লিখি।” চণ্ডিদাস।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৬৪৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।