রামায়ণ – কবিচন্দ্র—১৬শ শতাব্দীর শেষভাগ। ৫২৯ শঙ্খের কুণ্ডল কাণে রক্ত-বস্ত্র পরে। ডম্বুরা বাজাঞী ভিক্ষ মাগে ঘরে ঘরে। তপস্বীর বেশ ধরে মুখে মাথে ছাই। ইহা সভাতে কায নাইক তোর সেই যোগি-রাবণটি চাই। উড়া গেল মায়া কায় পড়া গেল ভঙ্গ। দুই জনাতে পড়া গেল বাক্যের তরঙ্গ॥ রাবণ বলে ওরে বানরা শুন তোরে বলি। হেথা কেনে লঙ্কাপুরী মর্ত্তে কেনে আলি। কি নাম তুই কার বেটা কোন দেশে বসিস। বাদামুবাদ। মরিব নাই ভয় না করিস সত্য কথা বলিস॥ অঙ্গদ বলে তোর ভয়েতে থর থরাঞা কাপী। এখন এমন ধরণ কথা তোর মররে বেটা পাপী॥ তো কোন ঠাকুরের বেটা তোরে ভয় কি। আমি কে তা জনিস না রে শুন পরিচয় দি॥ বালি আর সুগ্রীব দুহে বীর অবতার। যা জিনিতে কিষ্কিন্ধ্যায় গেছিলি এক বার॥ সে পড়ে বা না পড়ে মনে হল্য অনেক দিন। হাত বুলাঞা দেখতে গলায় আছে লেজের চিন॥ সে বালির তনয় আমি সুগ্রীবের চর। বীর অঙ্গদ আমার নাম ঐরামের কিঙ্কর॥ বেটা রাম কে তা জানিস নারে যার আনিলি সীতা হর্যা। দেখিব এখন লঙ্কাপুরী রাখিস ক্যামন করা॥ অরুণ বরুণ নয় যে রামের সনে বাদ। তোর বংশে কেহো না থাকিবে মনে না করিস সাধ॥ এইত রাম লঙ্কাপুরী বেড়িলেন আস্তা। বার্যায় (১) এখন কেনে রৈলে কোণের ভিতর বস্তা॥ রাবণ বলে কি বলিলি রাম লঙ্কায় আসে। না জানি কি হবেক তবে থাকিতে নারি বা দেশে॥ তিনি মনে মনে পণ করাছেন গুহ চণ্ডালের মিতা। সে বানর সহায় কর্য উদ্ধারিবেন সীতা॥ (১) বাহির হইয়া আয় tea
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৬৫৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।