পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৬৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামায়ণ—কবিচন্দ্র—১৬শ শতাব্দীর শেষভাগ। ○○) অঙ্গদ বলে গোসাঞি আইলাঙ আমরা ঠাই। অঙ্গদের প্রত্যুত্তর। মিছা ঝকঝটাতে কাষ নাইক দেখে চলা যাই ৷ রামকে কহিব ইহা না কহিলে নয়। তোর সেতু-বন্ধ ভাগ্য দিব দণ্ড চারি ছয়॥ লঙ্কা নিমাঞ (১) দিব যত গেছে পুড়া। শূৰ্পণখার নাক কাণটী কেমনে যাবেক যুড়া ৷ বিভীষণাকে বাধ্যা অন্তো দিব তোর আগে। বুঝ্যা শাস্তি করিবি যে ঘেব মনে লাগে ৷ ঘর পোড়াকে বাধ্যা দিতে বুলি বটে হয়। অঙ্গদের কথা শুন্তী দশানন হাসে। శ్రీ ঘর পোড়াকে দূর করিলেক পাঞ কোন দোষে। অঙ্গদ বলে যে কালে সে আস্তাছিল হেথা। কঞা ছিল সুগ্রীব রাজা গুটি দুই চারি কথা ৷ লঙ্কায় যাইছ বাছা পবন-কুমার। পালন করিএল সত্য আসিবে আমার॥ কুম্ভকর্ণের মাথা আনিবে নখেতে ছিড়া। সাগরের মধ্যে লঙ্কা ফেলিবে উপাড়া ৷ অশোক-বন-সহিত সীতা আনিবে মাথায় কর্য। রাবণকে বামহাতে আনিবে জট ধর্যা॥ এই চারি কার্য্যের তরে রাজা পাঠাঞ ছিল তারে। বেট চারি কার্যের এক কার্য্য কিছুই নাঞি করে। অঙ্গদের কথা শুষ্ঠা রক্ষস সব চায়। সেই না করা গেছে কিবা এই না করা যায়॥ কোপেতে সুগ্রীব রাজা কাটিতে ছিল লয়। আমরা যত বানর সব ধরিলু রামের পায়। ভুবনের নিধি রাম গুণের সাগর। সুগ্রীবেরে আজ্ঞা দিল না মার বানর ত্র না মারিল স্ব গ্রীব রাজা পাঞ রামের কথা। দূর করিয়া দিল তারে মুণ্ডাইয়া মাথা। সে কন দেশে পালাঞী গেল আছে কিবা নাই। তার তত্ত্ব কর্য আমরা বুলিছি কত ঠাঞি। (১) নির্ম্মাণ করিয়া।