রামায়ণ–কবিচন্দ্র—১৬শ শতাব্দীর শেষভাগ। Qも○ সে বান্ধিলেক অলঙ্ঘ্য-সেতু গাছ-পাথরে। চৌদ্দ হাজার রাক্ষস যার এক বাণে মরে॥ ভুবনের নিধি রাম দয়ার সাগর। যার গুণে পশু বন্দী বনের বানর॥ তাহার রমণী সীতা আনুস তো হর্যা। কালকূট ভক্ষিলি হাতে করা॥ সুখেতে থাকিতে তোরে না দিল বিধাতা। আপনার বুদ্ধে খাইলে আপনার মাথা॥ ভরমে শুনিঞা গেলি বিষমকামদে। তক্ষকে দংশিলে যেন কি করে ঔষধে॥ সেই জানকীর তোরে হল্য অশ্রুপাত। সেই লক্ষ্মীর শাপ তোরে হৈল বজাঘাত॥ শূৰ্পণখা রাণ্ডীর কথা তোরে হল্য বেদ। কেউ এক জনা নাঞি ছিল তোরে করিতে নিষেধ॥ তোর সভাতে বসিএঃা আছে যত মন্ত্রি-বর। তোর সভাতে পণ্ডিত নাই সকলই বর্ব্বর॥ বিলাসের দাস হয়্যা পড়া গেলি ফণদে। বামন হঞিএঃ হাত বাড়াইলি চাদে॥ গেলিরে অভাগ্য তুই গেলি এত দিনে। না দেখি উপায় তোর রঘুনাথ বিনে॥ স্বর্য্য-বংশের চূড়ামণি দশরথ রাজা। দেব গন্ধর্ব্ব নরে যাহার করে পূজা ৷ যার ঘরে নারায়ণ জন্মিলে আসিঞ। এত দিনে নির্ব্বংশ না জানিলি ইহা॥ ঈশ্বর র্যাহার পর তার পর নাই। র্তার সঞে বৈরত করা যাবি কার ঠাই॥ অহল্যা পাষাণ হঞ ছিল দৈব-দোষে। মুক্ত হঞা গেল সে চরণ-পরশে॥ রাজার পাপে রাজ্য নষ্ট প্রজা কষ্ট পায়। গৃহিণীর পাপে গারস্থ নষ্ট লক্ষ্মীত ত্যজয়॥ শিষ্যের পাপে গুরু নষ্ট নারীর পাপে পতি। তোর পাপে মজিল রাজা লঙ্কার বসতি॥ আপনি মজিলি আর মজালি কত জনা। সন্তে মাত্র এড়ালেক চতুর বিভীষণ।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৬৫৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।