○○b" বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। প্রতীত না জান রাম অঙ্গদের বোলে। তখন মুকুট ফেলাঞ দিল বিভীষণের কোলে ৷ বিভীষণ বলে গোসাঞি শুন রঘুমণি। রাবণের মুকুট বটে ইহা আমি জানি॥ মনে আনন্দিত তখন হইল রঘুনাথে। অঙ্গদের পৃষ্ঠে বুলান শ্রীরাম পদ্ম-হাতে॥ কোল দিঞা লক্ষ্মণ বীর করিলেন সাধুবাদ। রামের অঙ্গের মালা করিল প্রসাদ॥ অঙ্গদের রায়বার শুনে যেই জন। সে হয় আমার প্রিয় লক্ষ্মণ যেমন। রসিক জনার মুখে শুনিতে আনন্দ। রায়বার রচনা করিল কবিচন্দ্র ৷ রামচন্দ্রের নিকট সীতার বন-যাত্রার অনুমতি-গ্রহণ। জানকী বলেন প্রভু দেখি দুঃখমন। বদন মলিন কেন কিসের ভাবনা ৷ শ্রীরাম বলেন প্রিয়ে বন যাত্যে হল্য। তোমারে যতেক কথা বিবরিয়া বৈল (১)। বনবাস হত্যে যাবৎ নাঞি আসি আমি। আমার যে পিতা-মাতার সেবা কর তুমি ৷ ভরত-শক্রম্বেরে দেখিবে পুত্রবৎ। সকল মাএর সেবা করিবে তাবৎ ৷ সীতা বলেন করে এত যোগ বুঝাও তুমি। স্বর্গ অভিলাষ নাঞি বনে যাব আমি॥ যুবতীর পতি গতি রহিতে নারিব। রাখ্যা গেলে ওহে নাথ পরাণ তেজিব॥ রাম বলেন বাপের আজ্ঞায় আমি বন যাই। কুলের নন্দিনী তুমি থাক এই ঠাঞি। বনের অনেক দোষ চলিতে নারিবে। দুর্গম দারুণ বন বড় কষ্ট পাবে। কণ্টক কন্দর দূর পর্বত পাষাণ। শুনিএ সিংহের ধ্বনি হারাবে পরাণ ৷ (১) বলিতেছি।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৬৬২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।