রামায়ণ–দ্বিজ মধুকণ্ঠ–১৬শ শতাব্দী। ○○。 ব্যাঘ্র ভলুক শিবা বনে সৰ্প কত। রাসভ মৰ্কট গও বনজন্তু যত॥ নদ নদী দুরাচর দুর্গম শরণী। বিষম বনের পথ নাহিক তরণী (১)॥ ফল মূল কটু তিক্ত বনের আহার। অপর ভক্ষ্যের তায় নাহিক সঞ্চার॥ তৃণপত্রের শয্যায় হবেক শুইতে। বড় ঠেক বহু শ্রমে হবেক চলিতে॥ বাকল অজিন তুমি কেমনে পরিবে। বনের যাতন বড় সহিতে নারিবে৷ চৌদ্দ বৎসর বনে বসত আমার। উপবাস কখন কখন স্বল্পাহার॥ নানা মত রামচন্দ্র কহিলেন তারে। জানকী কহেন প্রভু না ছাড়িহ মোরে। তিক্ত কটু ফল তোমার ভক্ষণ অবশেষ। অমৃত সমান মোরে না হবেক ক্লেশ॥ বাকল অজিন মোর পট্টের বসন। তৃণপত্র শয্যা মোর পালঙ্কে শয়ন॥ তোমা ছাড়া এক দণ্ড রহিতে নারিব। চৌদ্দ বৎসর নাথ কি করে গোঙাব। সীতার বুঝিয়া মন রাম দিলা সায়। বাল্মীকি সেবিয়া কবি শ্রীশঙ্কর গায়। দ্বিজ মধুকণ্ঠ। ২০ বৎসরের হস্ত-লিখিত পুথি হইতে এই অংশ উদ্ধত করা হইল। রচনা দেখিয়া এই কবিকে ১৬শ শতাব্দীর লেখক বলিয়া মনে হয়। সীতা দাড়ায় অগ্নির বিদ্যমান। করি করপুটাঞ্জলি হেঠ মাথে মৈথিলী অভিমানে সজল নয়ান॥ কহেন অগ্নির আগে সত্য আদি চারি যুগে ধর্ম্মাধর্ম্ম তোমার গোচর। (১) উত্তীর্ণ হুইবার উপায়, নৌক।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৬৬৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।