রামায়ণ—ঘনশু্যাম দাস—১৬শ শতাব্দী। (:8 X চোঁদ বৎসর যাব কোন কষ্ট নাঞি পাব মনে না ভাবিহু তুমি ব্যথা ৷ রামচন্দ্র স্বত কয় রাণীর মনে নাঞি লয় পুত্রের সমান নাই কেহো। উথলিল শোক-সিন্ধু স্নান হৈল মুখ-ইন্দু লোচনে রাখিতে নারে লোহ (১)॥ দ্বিজ মধুকণ্ঠে কয় রাণী স্থিরতর নয় বিনাঞ বিনাঞাঁ রাণী কানে। পুত্র যায় বনবাস রাণী হৈল নৈরাশ শোকাবেশে বুক নাঞি বান্ধে ৷ ঘনশ্যাম দাসের সীতার বনবাস। যে পুথি হইতে এই অংশ উদ্ধত হইল তাহ ১৬২৭ খৃষ্টাব্দে (বাঙ্গল ১০৩৫ সালে ) নকল হয়। ঘনাম দাসের কোন পরিচয় পাওয়া যায় নাই। ইনি মহাভারতও অনুবাদ করিয়াছিলেন। আরোহণ কৈল রথে লক্ষ্মণ ধানুকী। অবিলম্বে গেলা যথা আছেন জানকী॥ লক্ষ্মণ দেখিয়া সীতা হরিষ বদন। দেখিব মুনির পত্নী আনন্দিত মন॥ লক্ষ্মণ প্রণাম কৈল সীতার চরণে। আশীর্ব্বাদ কৈল সীতা ঠাকুর লক্ষ্মণে॥ সীতা বলেন প্রভু রাম গুণের সাগর। বাঞ্ছা-কল্পতরু রাম সরল পঞ্জর॥ বন-গমঙ্গোদ্যোগ। হাসিয়া কহিলু কালি রাত্রের ভিতরে। তে কারণে প্রভু রাম পাঠাল্য তোমারে॥ প্রফুল্ল হৃদয়ে কৈল স্নান দেবার্চন। দেখিব মুনির পত্নী সানন্দিত মন॥ মুনি-পত্নী সম্ভাষিতে নানা ধন নিল। অগুরু চন্দন বস্ত্র স্বতেক আছিল। রামের পাছক নিল ভরত তুলিয়া। দেখিয়া লক্ষ্মণ কাদে সকরুণ হৈয়া॥ কৌশল্যার স্থানে গেলা হৈতে বিদায়। গঙ্গাতীরে যাব আমি করন্থ বিদায়॥ (১) আশ্র।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৬৬৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।