রামায়ণ—ঘনশ্যাম দাস—১৬শ শতাব্দী। &ga লক্ষ্মণ যাইতে নাৱে তেজিয়া সীতারে। পদ আধ চলিতে না পারে যান ধীরে ধীরে॥ উচ্চৈঃস্বরে কান্দে লক্ষ্মণ মনে মনে ব্যথা। লক্ষ্মণের শোক। একাকিনী কেমনে রহিবে বনে সীতা॥ কি করিয়া অযোধ্যায় রহিব ভারতী। বনেতে রহিল সীতা সতী গর্ভবতী॥ ব্যাঘ্র মহিষ গণ্ডার ভল্লুক বারণে। সপ সিংহ আসি পাছে মারএ পরাণে॥ পৃথিবীতে এত দুঃখ কার নাঞি হয়। দেবতা মনুষ্য মধ্যে কাহার হৃদয়॥ ভাবি ভাবি লক্ষ্মণ হইল অদেখ। ভূমিতে পড়িয়া সীতা কান্দে অতিবেক॥ ভজ কৃষ্ণ-পদ-দ্বন্দ্ব চিত্ত অভিলাষ। ভকতি করিয়া বলে ঘনষ্ঠাম দাস॥ কানো সীতা করুণা করিয়া। সীতার বিলাপ। ভূমেতে পড়িয়া ধুলায় লোটগঞাঁ। একাকিনী অরণ্য ভিতর। সঙ্গে কেহো নাহিক দোসর॥ কি হৰে কি হবে পরিণাম। মোরে বিধি কেনে হৈল ৰাম॥ কানো সীতা আকুল-পরাণী। সিংহ-ভয়ে যেমত হরিণী॥ পিতা মোর জনক নৃপতি। তপস্তা করিয়া পাল্য (১) পতি॥ রঘুপতি হেন স্বামী যার। এত দুঃখ কেনে হয় তাঁর। কনক-ল্পচিত্ত সিংহাসন। তাহে আমি করিতাঙ শয়ন॥ অঙ্গে যার অগুরু চন্দন। সে কেনে ৰাসিত (২) হৈল বন॥ সীতা দেখি স্থাত হস্তিগণ। জল আনি করিআ সেচন॥ (১) পাইলাম। (২) নির্ব্বাসিত।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৬৭১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।