রামায়ণ–দ্বিজ দয়ারাম–১৭শ শতাব্দী। ক্ষণে মূৰ্ছ তরণী উঠিয়া ধনু ধরে। সাত পাচ বাণ মাৱে লক্ষ্মণ-উপৱে। বাণে বাণ কাটে লক্ষ্মণ ধনুকের শিক্ষা। তরণীর বাণ আল্য নাম রিপুভক্ষণ ৷ সেই বাণে লক্ষ্মণ বীরের হল্য মোহ। রণ-স্থলে গড়াগড়ি লক্ষ্মণেৱ দেহ॥ লক্ষ্মণের মূর্ছা দেখি আগু হল্য রাম। কোদণ্ড-ধারণ রণে দূর্ব্বাদল-শ্রাম॥ ডাক দিয়া বলে রাম হেদে রে তৰুণী। এখনি আমার বাণে হারাবে পৱাণী॥ বানরগণ পরাভব হল্য তোর বাণে। প্রকার প্রবন্ধে মূৰ্ছা করিলি লক্ষ্মণে॥ দ্বিজ দয়ারাম কন ধাইল তরণী। দেখিল রণেতে আল্য রাম রঘুমণি॥ রণেতে আইলা রাম নব-দুর্ব্বাদল-হাম ক্রোধে অতি ভাই মূৰ্ছা রণে। শ্রীরাম বলেন দুষ্ট মোর ভায়ো দিল কষ্ট তার শাস্তি দিব এই ক্ষণে॥ আছিল তরণী রথে নাম্বে বীর অবনীতে প্রণমিল শ্রীরামের পায়। নরাকৃতি হয়্যাছ মায়ায়॥ তব পদ সেবে বিধি দেব পঞ্চানন আদি মুনিগণ ও পদ ধেয়ানে। অদ্য মোর দিন শুভ হইল পরম লাভ রাঙ্গা-পদ পান্তু দরশনে॥ নিরঞ্জন নিরাকার তুমি ব্রহ্মাণ্ডের সার হর্ত্ত কর্ত্ত জগতের নাথ। তবাংশেতে অবতার মৎস্তে বেদ সুপ্রচার কুর্ম্মরূপ বিশ্বকের (১) ত্রাত॥ (১) বিশ্বকের = বিশ্বের। ●● > লক্ষ্মণের মুচ্ছর্ণ ও রামের প্রবেশ। তরণীর স্তৰ।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৬৭৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।