Q(rぐり রাবণের সঙ্গে বিরোধ। মায়া মৃগ। সীতাহরণ। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। অনেক প্রকারে বুঝাইয়া ভরতেরে। অযোধ্যায় পাঠাইয়া দিলাম তাহারে। রাজ-সিংহাসনে রাখি পাদুকা আমার। হেন মতে ভরত পালেন রাজ্যভার॥ হেথা চিত্রকূট ধামে থাকি তিন জন। মৃগয়া করেন নিত্য অনুজ লক্ষ্মণ॥ হেন মতে তৃতীয় বৎসর তিন মাস। পরম কৌতুকে আমি তথা করি বাস। দৈবের নির্ব্বন্ধ কর্ভু না যায় খণ্ডন। তথা হৈতে গেলাম মোরা পঞ্চবটী বন। শূৰ্পণখা নামে তথা আছে নিশাচরী। রাবণের ভগিনী সেই নিকষা-কুমারী॥ দীর্ঘ নাসা দীর্ঘ দন্ত দীর্ঘ নখ কেশী। এই মতে চলে ষাট হাজার রাক্ষসী॥ একদিন মায়া করি আইল শূৰ্পণখা। লক্ষ্মণের নিকটে আসিয়া দিল দেখা ৷ মায়া করি নিশাচরী লাগিল কহিতে। বড় ইচ্ছা হয় মম তোমারে ভজিতে॥ এত শুনি লক্ষ্মণ ধরিয়া ধনুর্ব্বাণ। স্ত্রীবধ না করিয়া কাটিল নাক কাণ॥ অপমান পায়ে সেই লক্ষ্মণের হাতে। নিবেদিল সব কথা রাবণ-সাক্ষাতে॥ ভগ্নীর দুর্গতি দেখি ক্রোধিত রাবণ। মারীচ সহিত আসি পঞ্চবটী বন ৷ মারীচ হইল মায়া-মৃগ-কলেবর। সম্মুখেতে নৃত্য করে দেখিতে সুন্দর। দেখিতে দেখিতে মৃগ গেল বনাস্তরে। আমিও গেলাম সেই বনের ভিতরে॥ এক বাণে বধিলাম মৃগের জীবন। প্রাণ-ত্যাগ কালে কৈল ভাইরে লক্ষ্মণ। শুনিয়া লক্ষ্মণ আইল মম অন্বেষণে। শূন্ত গৃহ পেয়ে সীতা হরিল রাবণে।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৬৮০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।