রামায়ণ—দ্বিজ লক্ষণ দ্বিজ লক্ষণ-কৃত রামায়ণ। রাবণ-বধের পর সীতাকে রাম-সমীপে আনয়ন ও অগ্নি-পরীক্ষা। রাজ (১) বলে পর সীতা বিচিত্র বসন। অঙ্গের মার্জন কর পর আভরণ॥ রাম-দরশনে চল বেশভূষা পর্যা। লইব প্রভুর পাশে স্বর্ণ-দোলায় করা॥ জানকী বলেন মোর কায নাই বেশে। এইরূপে লৈয়া চল রাঘবের পাশে॥ আমার দুৰ্গতি কিছু দেখুন নয়নে। বেশ করা না যাইব রঘুনাথের স্থানে॥ রাজা বলে রাম-আজ্ঞ কে করে লঙ্ঘন। জানকীন্তু অশোকবনএত বলা আনাইলা দেব-কন্তাগণ॥ ত্যাগ। অগুরু চন্দন দিয়া অঙ্গের তুলে মলা। ভাণ্ডারের বিচিত্র বসন আনাইলা॥ স্বর্ণ-দোলা আন্তা বস্ত্র আচ্ছাদিল তায়। শুভ ক্ষণ করি বেলা সীতাকে চাপায়॥ দোলাতে বসিলা মাত স্মঙরি (২) রামচন্দ্রে। রাক্ষসগণ চৌদলী তুলিয়া নিল স্কন্ধে ৷ সুবেশ করা সীতা যান ভেটিতে রামের। রাক্ষস-রমণী কত যায় দেখিবারে॥ বামের কাছে যান সীতা মন্দোদরী দেখে। বলে অভিশাপ-বাণী ধারা বয় চক্ষে॥ কান্দিতে কান্দিতে রাণী করিল গমন। সীতার সাক্ষাতে গিয়া দিল দরশন॥ মন্দোদরীর অভিশাপ। সীতার পানে চাহিয়া বলিছে মনেদাদৰী। কোথা যায় ওগো সীতা আমায় অনাথ করি॥ আমার স্বষ্টি নাশ করা যায় রামের স্থানে। যাবা মাত্র পড়িবে রামের বিষ যে নয়নে॥ মন্দোদরীর শাপ-বাণী জানকী শুনিল। হরিষ বিষাদে মাতা গমন করিল।
- শতাব্দী। ○ じ。
(১) বিভীষণ। (২) স্বরণ করিয়া।