রামায়ণ–দ্বিজ ভবানী—১৮শ শতাব্দীর মধ্যভাগ। 岔° আপন বুদ্ধিতে আমি হারালাঙ সীতায়। শুকনে ডুবালাঙ তরী তরিয়া দর্যায়। সব অন্ধকার সীতা তোমার বিহনে ৷ আর না যাইব আমি অযোধ্যা-ভূবনে॥ যে সীতার তরে দুঃখ দশমাস ধর্য। রাবণের সঙ্গে যুদ্ধ প্রাণপণ করা। কুড়ি হাতে ধনুক ধরে যমের সমান। দেবতা গন্ধর্ব্ব যার দন্তে কম্পবান॥ হেন জনে বিনাশিয়া উদ্ধারিলাঙ সীতা। কি দোষে আমারে লক্ষ্মী ছাড়া গেল কোথা॥ ধুলায় ধূসর রাম হল্যা অচেতন। আস্তে ব্যস্তে মুখে জল ঢালেন লক্ষ্মণ॥ বিভীষণ রাজা কান্দে ধরণী ধরিয়া। রামের বয়ান হেরি কন্দে ফুকরিয়া। ভাই বন্ধু ধন জন সব হারাইয়া। ঘরের সন্ধান যত সীতার লাগিয়া॥ হেন সীতা অগ্নিতে পুড়িয়া হৈল ছাই। ধিক্ থাকু জীবনে আর কিছু কাষ নাই ৷ কান্দয়ে সকল কপি লোটায়্যা ভূতলে। রামের রোদনে কান্দে দশ দিকৃপালে ৷ দ্বিজ ভবানী-কৃত রামায়ণ। 三ー三ー লক্ষণ-দিগ্বিজয়। আমার নিকট রক্ষিত ১২০ বৎসরের প্রাচীন পুথি হইতে নকল করা হইল। গ্রন্থ-রচনা-কাল অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগ। তথা হতে বহুদূর করিল গমন। আনন্দিত হইল দেখি কুমার লক্ষ্মণ। সম্মুখে দেখিল রম্য ঘোর তপোবন। মন্দ মলয়-বায়ু বহে ঘন ঘন॥ ফলেমূলে বৃক্ষ সব দেখিতে সুন্দর। কোকিলে কৰএ নাদ অতি ঘোরতর॥
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৬৯৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।