Q?8 তপোবন-বর্ণন। চন্দ্রকলা। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। মন্দ মন্দ বায়ু বহে পুষ্প সব লড়ে। মধুকর-পদভরে পুষ্প সব পড়ে। নবীন নবীন পত্র অতি মনোহর। পক্ষী সবে নাদ করে শুনি পরস্পর॥ দেখিয়া আনন্দ হইল সকল রাজার। স্থানে স্থানে সরোবর দেখএ অপার॥ জলচর পক্ষী সব জলের ভিতর। দেখিয়া আনন্দ হইল রঘুর কোঙর। পদ্ম-হীন নাই তথা এক সরোবর। হেন পদ্ম নাই তথা নাহিক ভ্রমর॥ দেখিয়া অপূর্ব্ব স্থান অতি সুলক্ষণ। রথ হতে নামিলেক কুমার লক্ষ্মণ॥ হনুমন্ত আদি করি যত রাজগণ। রথ হৈতে নামিল দেখিতে তপোবন॥ ধনু হস্তে করি যায় কুমার লক্ষ্মণ। ধরিছে দক্ষিণ হস্তে পবন-নন্দন॥ অঙ্গদ চলিছে আগে পাছে রাজগণ। আনন্দে বেড়ায় বীর সেই তপোবন॥ হেন কালে চন্দ্রকলা ইন্দ্রের নন্দিনী। জল-ক্রীড়া করিবারে আইল সুবদনী॥ এক শত দাসী সঙ্গে চন্দ্রের উপম। আপনে নবীন যুবা নব-ঘন-শুাম॥ কামেশ্বর নাম তথা রম্য সরোবর। সেই জলে ক্রীড়া করে বরাঙ্গন-বর॥ মুখের লাবণ্যে কৈল মলিন কমল। আখির কটাক্ষে লজ্জা পাইল ভ্রমর॥ কমল সকল অঙ্গ বিম্ব-ওষ্ঠাধর। সুবর্ণ কদলী উরু অতি মনোহর। অরুণ জিনিয়া চক্ষু আভা চন্দ্রসম। সেইরূপ দেখি হয় মুনিমন ভ্রম। খগ-চঞ্চু জিনি নাসা দেখিতে সুন্দর। উপমা দিবার রূপ নাই ক্ষিতি-তল ৷
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৬৯৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।