রামায়ণ–দ্বিজ ভবানী—১৮শ শতাব্দীর মধ্যভাগ। ( Գ(: দেখিয়া লক্ষ্মণ বীর চমকিত মন। পরস্পরের প্রীতিএকদৃষ্টে চাহি রহে কম্ভার বদন॥ সঞ্চার। চাহিতে মজিল মন রূপের নাই সীমা। উপমা দিবার নাই অপার মহিমা॥ দেখিয়া লক্ষ্মণ বীর বাড়ে চিত্তে তাপ। ভেদিল সকল অঙ্গ বচন-কলাপ॥ হেন রূপ গুণ আর না দেখিছি নারী। সংসারে হইল জন্ম লক্ষ্মী অবতারি। বিস্ময় হইয়া বীর চিত্তে অনুমানি। হেন কালে দেখিলেক ইন্দ্রের নন্দিনী॥ প্রথম যৌবন দশরথের নন্দন। অভিনব কাম জিনি সিংহের গমন॥ অন্তোন্তে দৃষ্টি হইল তারা দুই জন। অন্তোন্তে দরশনে মজিলেক মন॥ ভিন্ন জন দেখিয়া বসনে ঢাকে মুখ। জলেতো মজ্জায় (১) অঙ্গ মনেতে কৌতুক॥ দেখিল পুরুষবর সাক্ষাতে মদন। তার পাছে দাসীগণে করে তালোকন ৷ বোলে শুন চন্দ্রকলা চল যাই ঘর। দেখিল পুরুষবরে তোহ্মা (২) কলেবর॥ তোহ্মা রূপ দেখিয়া দেবতা মোহ যায়। হেন অঙ্গ অভিনব যুবরাজে চাএ॥ চন্দ্রকলা বোলে সখি শুন মোর বাণী। দেখি নব যুবরাজ হিন্দোলে পরাণী। যখনে চাহিল মোরে নব যুবরাজ। হানিলেক প্রেম-বাণ হৃদয়ের মাঝ॥ এত বলি চন্দ্রকলা গাএ বস্ত্র দিল। স্বর্য্য দণ্ডবং করি ঘরে চলি গেল। তথা হতে কষ্টা যদি হইল আদর্শন। চিন্তাকুল হইলেক কুমার লক্ষ্মণ। (১) নিমজ্জিত করে। (২) তোমার।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৬৯৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।