রঘুনন্দন গোস্বামীর রাম-রসায়ন।
রঘুনন্দন ১১৯৩ সালে (১৭৮৫ খৃঃ) জন্ম গ্রহণ করেন। ৪৫ বৎসর বয়ঃক্রমকালে তিনি রাম-রসায়ন গ্রন্থ রচনা করেন।
শ্রীনিত্যানন্দ প্রভুর পৌত্ত্র গোপীজনবল্লভ শ্রীপাট নোতায় বাস করিয়াছিলেন। তাঁহার প্রপৌত্ত্র রামেশ্বর গোস্বামী শ্রীপুরুষোত্তম-ধামে গমন করেন ও তথা হইতে আসিয়া আর নোতায় না যাইয়া ইচ্ছাপুর গ্রামে বাস-স্থাপন করেন। নোতা ও ইচ্ছাপুর এই গ্রামদ্বয় বর্দ্ধমান জেলার অন্তর্গত। রামেশ্বর গোস্বামীর পুত্ত্র নৃসিংহদেব গোস্বামী ইচ্ছাপুরের বাস ত্যাগ করিয়া বর্দ্ধমান জেলার অন্তর্গত খড়ীনদীর উৎপত্তি-স্থান মাড়ো গ্রামে বাস করেন। এই গ্রাম ইষ্ট্ ইণ্ডিয়া রেলওয়ে ষ্টেশন মানকরের নিকটবর্ত্তী। বলদেব নামে তাঁহার এক পুত্ত্র হয়। বলদেবের তিন পুত্ত্র—লালমোহন, বংশীমোহন এবং কিশোরীমোহন। কিশোরীমোহনের দুই বিবাহ। প্রথম বিবাহ মাড়োর তিন ক্রোশ পূর্ব্বে এরাল-বাহাদুরপুরে এবং দ্বিতীয় বিবাহ নলসারল গ্রামে হইয়াছিল। এই দুই স্ত্রীর নয়টী সন্তান জন্মে।
এই কিশোরীমোহন গোস্বামীর প্রথম স্ত্রীর গর্ভজাত সর্ব্বকনিষ্ঠ পুত্ত্র শ্রীরঘুনন্দন গোস্বামী।
ধূম্রাক্ষের যুদ্ধে বানরগণের বিক্রম।
তবে তাহারে দেখি হৃদয়ে সুখী
যাবত বানরগণ।
তারা গম্ভীর স্বরে হুঙ্কার করে
রণে উল্লসিত মন॥
পরে শুনিয়া তাহা রাক্ষস মহা
কোপেতে কম্পবান্।
তারা করিয়া দাপ টানিয়া চাপ
বরিষণ করে বাণ॥
যেন জলধর-যুথে গিরির মাথে
বরিষয়ে বারি-ধারা।
তেন বানরগণে নিশিতবাণে
বেধ করিতেছে তারা॥
তবে দেখিয়া তায় কোপেতে ধায়
যাবত বানর-জাল।