ుచ్చెరి বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। রথত্যক্ত হৈয়া তবে চক্র লৈল হাতে। ভীষ্মক মারিতে যাএ ত্রিজগত-নাথে॥ কৃষ্ণের যে পদভরে কাপে বস্তুমতী। মৃগেন্দ্র ধরিতে যাএ যেন পশুপতি॥ অস্ত্রক লইয়া ভীষ্ম হাতে ধনুঃশরে। নির্ভয় বোলন্ত ভীষ্ম রথের উপরে॥ জগতের নাথ আইলা মারিবার মোক (১)। রথ হোতে পাড় মোক দেখতক লোক ৷ তুমি মোক মারিলে তরিমু পরলোক। ত্রিভুবনে এহি খ্যাতি ঘুষিবেক মোক। দেখিয়া কৃষ্ণের কোপ পাণ্ডুর নন্দন। রথ হোতে ত্যক্ত হৈয়া ধরিল চরণ॥ দশ পদ অন্তরে ধরিল দুই হাতে। সংহর সংহর কোপ ত্রিভুবন-নাথে॥ প্রতিজ্ঞ করিছে মুঞি তোহ্মার অগ্রতে। পুত্র দিব্য যদি ভীষ্ম না পারো মারিতে॥ ভীষ্ম মারি কুরুবল করিমু যে ক্ষয়। তোহ্মার প্রসাদে হইব সংগ্রামেত জয়॥ অৰ্জুনের বচন শুনিয়া দামোদর। ক্রোধ এড়ি উঠিলেক রথের উপর। দুই বীর শঙ্খনাদে পূরিল গগন। নানা বাদ্য শঙ্খরব সৈন্তের ঘোষণ॥ দিন-কৃত নির্ব্বাহিল দশ সহস্র মারি। হস্তী অশ্ব রথী তবে ভীষ্মে হো সংহারি॥ হেন কালে দিবাকর হইল অবশেষ। দুই সৈন্য চলি গেল যার যে নিদেশ॥ (১) আমাকে।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৭৪৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।