পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৭৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাভারত—দ্বিজ অভিরাম–১৫শ শতাব্দী। ৬২৩ একপত্নী-ব্রতযুত বৈষ্ণব গভীর। দানধর্ম্মে অর্থগত মহারণ-ধীর॥ এ রাজা বান্ধিয়া যদি রাখে হয়বর। তবে উদ্ধারিতে বড় হইব দুষ্কর॥ সুসজ্জ হইয়া সভে রহ সাবধানে। নিজ অস্ত্র নিযোজিয়া যার যে বাহনে॥ হেন কালে এক অমঙ্গল হৈল তথি। গৃধিনী পার্থের শিরে ভ্রমে বায়ুগতি॥ দেখি বিমরিষ (১) সভে চিন্তিত অন্তরে। অমঙ্গল দর্শন। যজ্ঞবাজী ভ্রমে তথি পুরীর ভিতরে॥ লোকমুখে শুনি রাজা তুরঙ্গের বাণী। দুতে আদেশিয়া ঘোড়া স্বনিকটে আনি। সমুখে ধরিয়া ঘোড়া রাখিল কিঙ্কর। রত্ন-সিংহাসনে রাজা সভার ভিতর॥ সভা অনুপম সিংহাসন মনোহর। মাণিক-মুকুতাযুত হীরা থরে থর॥ দশ দিগ দীপ্যমান তাহার ছটায়। হেন সিংহাসনে রাজা বসিলা সভায়॥ কনক কুঞ্জর শোভে কনক তুরগে। কনক মূরতি কত শোভে চারি দিগে ৷ যজ্ঞশ্বদর্শনে বক্রবাহনের কনকের দীপ কত জলে চারি পাশে। অনল। এমন সভায় রাজা বসিলা হরিষে॥ তুরঙ্গের রূপ রাজা করে নিরীক্ষণ। মনোহর হয়বর অতি সুলক্ষণ॥ নীল আখি সচঞ্চল তনু শ্বেতবর্ণ। পীত পুচ্ছ স্থমোহন শোভে শুাম কর্ণ। স্বর্ণপত্র তুরঙ্গের কপালে রঞ্জিত। বিচিত্র লিখন তথি অতি সুশোভিত॥ স্বর্ণপত্র পড়ি দেখে ধর্ম্মের তুরগে। ইহার রক্ষক যে অর্জুন মহাভাগে। (১) বিমর্ষ।