মহাভারত—দ্বিজ অভিরাম—১৫শ শতাব্দী। পাত্রের বচনে রাজা চলিল কৌতুকে। বিপ্রগণ বেদপাঠ করএ সমুখে॥ বিবিধ মঙ্গল-বাদ্য বাজে চারি পাশে। নাচএ নর্ত্তকীগণ পরম হরিষে॥ চলিল বেউল্ডা (১) যত চাপিয়া কুঞ্জরে। রথ রখী সেনাপতি চলিল বিস্তরে॥ জয় জয় শব্দে যত নারীর পয়ান (২)। পুষ্পবৃষ্টি করে দধি খধি (৩) দুর্ব্ব ধান॥ লাখে লাখে তুরঙ্গ চলিল গজগণ। নীল পীত শ্বেত রক্ত বিবিধ বরণ { বক্রবাহন শ্বেত হস্তীর উপরে। ছত্র চামর শিরে অতি শোভা করে॥ চৌদিগে কিঙ্করগণ চামর চুলায়। পরম হরিষে পিতা সস্তাষিতে যায়। সসৈন্তে চলিলা রাজা রথ আরোহণে। সুরেন্দ্র চলিল যেন কৃষ্ণ সম্ভাষণে॥ নানা ধন দূতগণ নিল ভারে ভারে। আগে করি নিল সে যজ্ঞের হয়বরে॥ বীরভাগ (৪) সঙ্গে হেথ পার্থ মহাশয়। মুসজ্জা করিয়া রহে হইয়া নির্ভয়॥ দূরে থাকি রাজা দেখি পিতার বিমান। তেজি গজে পদব্রজে করিল পয়ান॥ করযোড় হৈল রাজা জনকের আগে। নানা ধন দিল আর যজ্ঞের তুরগে ৷ চিন্তিয়া শ্রীকৃষ্ণচন্দ্র-চরণ-পঙ্কজে। ভারত-সঙ্গীত কহে অভিরাম দ্বিজে। কলেবর ধরণী লোটায়া যোড়করে। পিতার চরণ বন্দে পরম সাদরে॥ লয়্যা পদ-প্রক্ষালন-জল মুবাসিত। চিকুরে চরণযুগ করিল মার্জিত। (১) বেঙ্গা। যাত্রাকালে বেস্তা-দর্শন মঙ্গলজনক। (২) প্রয়াণ। (৩) খই। (৪) ৰীরগণ।
- >
৬২৫ বক্রবাহনের পিতৃসকাশে প্রয়াণ। অভিবাদন ও পরিচয় জান।