৬২৬ বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। আসিয়া অঙ্গনা যত মঙ্গল-বিধানে। পার্থের উপরে করে পুষ্প বরিষণে॥ গলায় বসন বক্রবাহন কুমার। পিতার চরণে প্রণমিল পুনর্ব্বার॥ করযোড়ে রহে রাজা হৃদয় উল্লাস। পিতার সমুখে কয় সুমধুর ভাষ। নিজ পরিচয় তাতে করে নিবেদন। বক্রবাহন মোর নাম তোমার নন্দন॥ চিত্রাঙ্গদা মোর মাতা শুন অবধানে। যে কালে আইলে তীর্থ-যাত্রার কারণে॥ পিতার শাপেতে ছিলা হয়্যা কুম্ভীরিণী। তোমার পরশে মুক্ত হইলা জননী॥ জন্ম দিয়া গেলা চিত্রাঙ্গদার উদরে। শুনহ বিশেষ বাণী নিবেদি তোমারে॥ পালন করিল মোরে উলুপী বিমাতা। মাতামহ রাজ্য দিয়া রাজা কৈল হেথা॥ রাত্রি দিন ভাবি আমি তোমার চরণ। ধন জন রাজ-সম্পদ নেহ আপন॥ যজ্ঞবাজী ধরিল অপর ভাবি মনে। (১) এই অপরাধ মোর ক্ষম নিজগুণে॥ জীবন সফল ধন্ত হইল আমার। দেখিল পরম মুখে চরণ তোমার॥ অনেক বিনয়-বাণী কহিল পিতারে। শুনি ধনঞ্জয় কহে কাম আদি বীরে॥ প্রত্যুম্ন কহেন শুন পার্থ মহাশয়। মহাভব্য শিরোমণি তোমার তনয়॥ হেন পুত্রে অতি কেন দেখি অনাদর। আলিঙ্গন দেহ পুত্রে পসারিয়া কর। এত শুনি অর্জনের ক্রোধ হৈল তবে। ক্রোধ মনে বসি পার্থ কহে কামদেবে। পূর্ব্বেতে গঙ্গার শাপ হইল নিকটে। তে কারণে অৰ্জ্জুনের ক্রোধ বড় উঠে। (১) অপর কাহারও মনে করিয়া যজ্ঞবাজী ধৃত করিয়াছিলাম।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৭৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।