HI8 চন্দ্রহাসের যাত্রায় শুভদর্শন। সরোবর বর্ণন। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীতে বঙ্গদেশে বহুল পরিমাণে দৃষ্ট হয়। ইহাতে কবির কাল সম্বন্ধে মোটামুটি একটা ধারণা করিতে পারা যায়। যে পুথি দেখিয়া এই অংশ নকল করা হইল, তাহা বৰ্দ্ধমান, পাত্রসায়ের গ্রামে পাওয়া গিয়াছে। তাহার নিয়ে এই ছত্র পাওয়া যায় “স্বাক্ষরমিদং শ্রীসীতারাম দাস পুস্তক শ্রীকাশীচরণ র্তাতি। সাং পাত্রসায়ের সন ১০৪০ সাল তাং ২৪শে শ্রাবণ ” সুতরাং ১৬৩২ থষ্টাব্দে এই পুথি সংকলিত হয়। কবি ষোড়শ শতাব্দীতে বিদ্যমান ছিলেন এরূপ অনুমান করা অসঙ্গত নহে। চন্দ্রহাস ও বিষয়া। চন্দ্রহাসকে বিষ ভক্ষণ করাইয়া বধ করিবার জন্ত রাজমন্ত্রী (বিষয়ার পিতা) একখানি পত্র লিখিয়া তৎসহ চন্দ্রহাসকে স্বীয় পুত্র মদনের নিকট প্রেরণ করেন। এই রাজমন্ত্রীর চক্রান্তে চন্দ্রহাসের পিতাও ইতিপূর্ব্বে নিহত হইয়াছিলেন। রাজমন্ত্রীর কন্যা বিষয়া প্রেমের কৌশলে মন্ত্রীর উদ্দেশু বিফল করেন। চন্দ্রহাস যাত্রার সময়ে সুমঙ্গল। প্রযুক্ত দেখিল ধেনু বৎসক সকল। বৃষ গজ দক্ষিণে দেখিল অগ্নি জলে। পূর্ণ কুম্ভ ব্রাহ্মণ গণক পুষ্পমালে। সঙ্গোমাংস পতাকা দেখিল ঘৃত দধি। শুক্ল ধান্ত রজত কাঞ্চন নানা বিধি॥ চন্দনে বাসিত কত দেখিল অঙ্গনী। দাড়িম্ব আনিয়া হাতে দিল কোন জনা॥ আনিয়া চম্পক মাল্য কেহ দিল গলে। বিবাহের লক্ষণ কত দেখিল মঙ্গলে ৷ ভূত্য লঞা চন্দ্রহাস চলিলেন পথে। অনুক্ষণ কৃষ্ণগুণ ভাবিতে ভাবিতে॥ আছে এক সরোবর কৌণ্ডিল্য নিকটে। উত্তরিলা চন্দ্রহাস সরোবরের ঘাটে॥ নির্ম্মল সুস্নিগ্ধ জল কজ্জল বরণে। নানা পক্ষী কলরব পুষ্পের উষ্ঠানে। কেতকী পলাশ কুন্দ কমল কহুলার। কোকনদ কুমুদিনী কুসুম ঝঙ্কার॥
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৭৫৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।