মহাভারত—রাজেন্দ্র দাস—১৬শ শতাব্দী ৷ ○8〉 চৈত্র বসন্ত ঋতু পূর্ণিত পুষ্প-বন। মৃগয়া করিতে তথা সাজিল রাজন। বেগবন্ত রথে চড়ি যায়ন্ত নরনাথে। চলিল বিচিত্র ৰাজা ধনু ধরি হাতে॥ শ্বেতবর্ণ অশ্ব সৰ মৃদু শব্দে ঠেকে। আকাশ ধরিব হেন উৰ্দ্ধমুথে দেখে॥ ছত্র পতাকা ধ্বজ নানা বর্ণ দেখে। সত্বর গমনে যেন উঠে দেব-পক্ষে॥ নগরের নারী সব চঞ্চল নয়নে। সখী সবে দেখে যেন অঙ্গুলির সানে (১)॥ যার যার পুরজন এহি যান্ত বুলি। পুরজন সম্বোধিয়া দেখায় অঙ্গুলি॥(২) যত দুর যায় চাহে চক্ষুর গোচর। আদর্শন হইল যদি স্বাএ নিজ ঘর॥ দেশ বন উপবন এড়ি সৈন্ত যায়। দক্ষিণ পশ্চিম দিগে বনস্থলী যায়॥ নানা জন্তু দেখে তথা বেড়ায় যুথে যুথে। হস্তী সবে কেলি করে হস্তিনী সহিতে॥ মৃগে মৃগে কেলি করে মহিষে গবয়। ব্যাঘ্র ভালুক সেজা শূকর অতিশয়॥ সে বন দেখিয়া রাজা হইল কৌতুক। বেড়িল সকল সৈন্ত হস্তেতে কামুক॥ আকর্ণপুরিয়া মারে তাড়িয়া নির্ভর। এক এক শরে মারে একৈক কুঞ্জর॥ পশু-নাশ। কুম্ভ ভেদি মারে যেন হৃদয় বিদারি। ইন্দ্র বজ্রঘাতে যেন বিন্ধে মহাগিরি॥ মহিষ গবয় আর শূকর হানন্ত। চতুর্দ্দিগে সর্ব্ব সৈন্ত বেড়িয়া মারন্ত॥ (১) সঙ্কেতে। (২) তাহাদের নিজ জন যাইতেছে, অঙ্গুলি-সঙ্কেতে তাহাদিগকে দেখায়।
- >