বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। কপট ছাড়িয়া আহ্মা কহিবা স্বরূপ। পূর্ব্ব হোতে অধিক দেখিএ তোর রূপ (১)॥ যৌবনের ভরে তোর গমন বিস্মিত। দীর্ঘ লোচন তোর দেখিত ঘূর্ণিত॥ প্রফুল্ল রাঙ্গা দেখি বদন-কমল। মধু পিয়া পুষ্প যেন উড়িছে ভ্রমর। শিথিল কবরী তোর রাগ দেখি ভঙ্গ। সিন্দুরে মণ্ডিত যেন রক্তবর্ণ অঙ্গ। কথাএ (২) পাইলা তুমি অপূর্ব্ব মণিহার। কে আনিয়া দিল মণি-কুণ্ডল তোমার॥ অপূর্ব্ব তোমার হাতে কঙ্কণ প্রচুর। কে গঠিয়া দিল পদে বাজন নুপুর। ক্ষুদ্র ঘটিকা-ধ্বনি শুনি বিরাজিত। মণি মুক্ত কাঞ্চন যে দোলএ পৃষ্ঠত॥ হেম বিচিত্র রত্ন দেখি তোর গাএ। হেম উত্তম হার পাইলা কথাএ॥ বিচিত্র বিলক্ষণ পাটাম্বর তোর গাএ। দেবে আনি দিল কিবা নতুবা রাজাএ॥ (৩) গতি গম্ভীর অতি লজ্জা অতিশয়। যৌবন-গৌরব হাস্ত তার অভিপ্রায়। (৪) সিন্দুর তিলক তোর কে দিল কপালে। হিজুলে লেপিল কিবা কনক-কমলে। জাতি কুল না জানিয়া কার কাছে যাউ। সমাজেত তুমি সবে পাছে লজ্জা পাউ॥ মোর সঙ্গে কথা কহ বিশেষ নাতিনী। কার সঙ্গে হরিষেতে হৈলে অনুরাগিণী॥ শকুন্তলা বোলে মুনি বৃদ্ধ কলেবর। তোহ্মার মহে ইচ্ছে হব যৌবন-বিকার॥ (১) তুমি অধিকতর সুন্দরী হইয়াছ। (২) কোথায়। (৩) কোন দেবতা বা রাজা কি আনিয়া দিয়াছে? (৪) তোমার মুখের হাসিতে এই অভিপ্রায় ব্যক্ত হইতেছে, যেন। তুমি যৌবনের জন্ত গৌরবান্বিত হইয়াছ।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৭৭৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।