উত্তর দ্বারে। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। এ সভার সঙ্গে যোদ্ধা ষড় সপ্ত শত। লিখন না যায় যত গজ বাজী রথ॥ সেজে সেজে রত্ন কথো কর সহ লৈয়া। দ্বারেতে আছয়ে দেখ বারিত হইয়া॥ উপরোধী অত্যন্ত আইসে যেই জন। রাজারে জানায় গিয়া তার বিবরণ॥ তবে যদি ধর্ম্মরাজ দেন অনুমতি। যারে আজ্ঞা হয় সেই যায় এক ব্যক্তি॥ মুহূর্ত্তেক রহে দরশনে যেই যায়। পুনরপি শীঘ্রগতি ছাড়য়ে এথায়॥ রাজার শ্বশুর দেখ দ্রুপদ নৃপতি। দিনেক রহিলা পরিজনের সংহতি॥ রাজ-আজ্ঞা পাইয়া ছাড়িল দ্রুপদেরে। তার সঙ্গে কথ রাজা পশিল ভিতরে॥ এই হেতু তাত মোর বড় ক্রোধ কৈল। উপরোধে শ্বশুরেরে কিছু না বলিল ৷ বাহির করিয়া দিল সব রাজগণ। দ্বারিগণে ক্রোধে বহু করিল তাড়ন॥ পূর্ব্বে ইন্দ্রসেন ছিল এই দ্বারে দ্বারা। এই দোষে তাহারে দিলেন দূর করি। আমাকে রাখিল দ্বারে অনেক কহিয়া। বিনা আজ্ঞা ইন্দ্র আইলে না দিবে ছাড়িয়া॥ এই হেতু জগন্নাথ ভয় লাগে মনে। বিনা আজ্ঞা কেমতে ছাড়িব বিভীষণে॥ রহাইয়া লহ যদি রাজ-অনুমতি। রাজারে জানাইতে নাহি মোহর শকতি॥ নকুল আইসে কিম্বা অনুজ তাহার। বার্তা জানাইতে এ দুহার অধিকার॥ বুঝিয়া করহ দেব যে হয় বিচার। ক্ষণেক থাকহ নহৈ যাহ অন্ত দ্বার। এত শুনি কৃষ্ণ তারে নিন্দিয়া অপার। ক্রোধ করি চলি গেল উত্তর দুয়ার॥
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৮০৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।