মহাভারত—বাস্থদেব আচার্য্য—১৭শ শতাব্দী। 영이 소 হাজার হস্তীর বল যাহার গায়ত। রঙ্গ-শালে কীচকক করিয়াছে হত ৷ থাইতে না পাইলে একে তিলে যায় প্রাণ। হেন ভীমসেন বাপু যায় কোন থান ৷ হে ধনঞ্জয় বাপু যাহ কৈক (১) লাগি। তোমার বিয়োগে হের হইলো বৈরাগী॥ ঘোর রণ করি তুমি শঙ্কর তুষিলা। বাহুর বলত সর্ব্ব পৃথিবী শাসিলা॥ এবে মুনি বেশ ধরি যাও কোন ঠাই। আমি গর্ব্ব করিবো কাহার মুখ চাই। (২) এহি বুলি প্রজাগণ কান্দে উচ্চ করি। নকুলক দেখন্তে সকল যায় মরি। হে স্বভাবে তরুণ বাপু সুন্দর বদন। নাবাল্যত দেখি যেন রতির মদন॥ কি কারণে যায় তুমি রাজ্য-ভার ছাড়ি। নকুল নকুল বুলি কানো ডাক পাড়ি॥ হে সহদেব বাপু যায় কোন ঠাই। পণ্ডিত ত তোমার সমান কেহ নাই॥ নকুল-সহদেবের প্রতি। পাণ্ডবের মুখ চাহি কানো প্রজাগণ। প্রজার ক্রনদনে চান্দে ধর্ম্মের নন্দন॥ নকুল সহদেব কান্দে ভীম ধনঞ্জয়। লোকের ক্রন্দনে দাদা প্রাণ দগধয়॥ আউল ঝাউল কেশ বিবর্ণ-বদন। আমার কারণে দাদা করিছে ক্রন্দন॥ ভূমিত পড়িয়া কন্দে কত নর-নারী। গড়াগড়ি পাড়ে কত ভ্রতি (?) জ্ঞান হরি॥ আমার নিমিত্তে দাদা কি দুঃখ লোকের। হাটিতে না পারি শোকে প্রাণ যায় হের। শোকে দুঃখে যায় ধীরে পাণ্ডুর নন্দন। গ্রীবা ভঙ্গ করি চাহে প্রজার বদন॥ (১) কিসের। (২) আমরা কাহাকে লইয়া গর্ব্ব করিব।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৮৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।