সারল কবির মহাভারত। সারল উৎকলনিবাসী ছিলেন। কেহ কেহ ভ্রমত্রমে ইহাকে শারণ বলিয়া প্রচার করিয়াছেন। ২০০ শত বৎসরের হস্তলিখিত পুথি হইতে নিম্নের অংশ উদ্ধত হইল। বিরাট-পর্ব্ব। বিরাট-রাজ-সভায় পাণ্ডবগণের আগমন। পাণ্ডবদের বনবাসের শেষ বৎসর অজ্ঞাতভাবে যাপন করার প্রতিশ্রুতি ছিল। এই অভিপ্রায়ে পাণ্ডবগণ ছদ্মবেশে বিরাট-রাজার সভায় আগমন করিতেছেন। সভা দিয়া বসিয়াছে মৎস্ত-অধিপতি। পাত্র-মন্ত্রিগণ সব ব্রাহ্মণ-সংহতি॥ চলিছেন যুধিষ্টির রাজার সভায়। দুরে হৈতে মৎস্ত-রাজা দেখিবারে পায়॥ সভাসদগণে ডাকি কহিছে বচন। এইত পুরুষবর বটে কোন জন॥ আজানুলম্বিত-ভুজ কন্দপ-শরীর। করিবর জিনিয়া গমন অতি ধীর। হস্ত পদ সুকোমল অতি বিচক্ষণ। অনুভবে বুঝি এই ক্ষত্রিয়-লক্ষণ। কিন্তু ব্রাহ্মণের বেশে আসিতেছে হেথায়। যুধিষ্ঠির। কথন কেহ কোন জনা দেখেছ এহায়॥ মহারাজ চক্রবর্তী হব এই জন। ছদ্মরূপে আসিতেছে করিয়া বঞ্চন। এতেক বচন রাজা বলিতে বলিতে। নৃপ-সন্নিধানে ধর্ম্ম আইলা ত্বরিতে॥ রাজার নিকটে আসি দুই বাহু তুলি। দাণ্ডাইল সভামধ্যে জয়যুক্ত বলি। প্রণমিঞা মৎস্ত-রাজা দিলেন আসন। কি নাম কিবা গোত্র আল্যা কি কারণ॥
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৮৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।