মহাভারত—সারল কবি–১৭শ শতাব্দী। কঙ্ক-নাম ধরিয়া রহিলা যুধিষ্ঠির। কথো ক্ষণে ছদ্মরূপে বৃকোদর বীর॥ হাতেতে করিয়া চাটু (১) মৃগপতি-গতি। রাজার সভায় আসি হৈলা উপনীতি॥ ভীম। আশীর্ব্বাদ করিয়া দাণ্ডাল্য সভা-মাঝে। জয়যুক্ত তোমার হউক মৎস্য-রাজে॥ প্রণমিঞা বিরাট কহেন সবিনয়ে। কিবা নাম কিবা গোত্র কহ পরিচয়ে॥ ভীমসেন বলে আমি হই স্থপকার। বল্লভ বলিয়া নাম খ্যাত যে আমার॥ পাণ্ডবের আশ্রয়ে ছিলাম চিরকাল। বল্লভ আমার নাম দিলা মহীপাল॥ আসিয়াছি তব নাম শ্রবণে শুনিঞা। আমার গুণের কথা কহি বিবরিয়া॥ মল্ল-যুদ্ধে মোর সম নাহি এ ভারতে। সিংহ ব্যাঘ্র ভল্লুকে পারি যে ধরিতে॥ শুনিঞ নৃপতি বলে শুনহ গোসাঞি। যথোচিত বৃত্তি দিব শুন মোর ঠাঞি॥ মোর যত স্থপকার আছে দ্বিজমণি। সভাকার উপরে প্রধান হবে তুমি ৷ এত শুনি মৎস্ত-রাজা ভীমসেনে বলে। নিযুক্ত করিলা তারে রন্থয়ের শালে ৷ হেন মতে ভীমসেন বঞ্চিল তথায়। কথোক্ষণে আইলা পার্থ নপুংসক প্রায়॥ অৰ্জুন, রাজহংস জিনি গতি গমন-মাধুরি। দুই ভুজে সমস্থত্রে স্বর্য্যে দীপ্তি করি॥ স্ত্রীলোকের মত করি পরিলা বসনছদ্মরূপে সভা-মধ্যে করিলা গমন॥ নৃপতিকে সম্ভাষিয়া দাণ্ডাইল পাশে। বিস্ময় হইয়া রাজা তাহারে জিজ্ঞাসে॥ (১) তাওয়া = রন্ধনের স্থালী বিশেষ। 인
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৮৪৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।