মহাভারত—সারল কবি—১৭শ শতাব্দী। ৭২৩ মুক্ত-কেশ উৰ্দ্ধশ্বাস মলিন বদন। দেখি পরিহাস করে যত দুষ্টগণ॥ কেহ বলে কথা হৈতে আইল বাউলিনী। . পরম রূপসী কার ঘরের কামিনী ৷ কেহ অঙ্গে ধূলা দেই কেহ করে মান। কেহ বলে ছদ্মরূপে আইল কন জনা॥ বাউলিনী নত কৃষ্ণ নগরে বেড়ায়। বিরাট রাজার রাণী ছিল ঝরকায় (১)॥ দাসী শুদ্ধা বসিয়াছে প্রাসাদ মন্দিরে। হেন কালে দ্রৌপদীকে পাল্য দেখিবারে॥ সুদেষ্ণ পাঠায়্যা দাসী দিলা আপনার। কেবা সে রূপসী ভ্রমে চন্দ্রের আকার॥ ত্বরা করি আন গিয়া আমার সদনে। প্রেষণী চলিয়া গেলা রাণীর বচনে॥ যেখানে ভ্রমেন কৃষ্ণ নগর-ভিতরে। সুদেষ্ণার দাসী গিয়া বলে ধীরে ধীরে॥ শুন রূপবতী চল অতি শীঘ্রগামী। রাজরাণী-নিকটে ত্বরায় চল তুমি ৷ শুনিয়া দ্রুপদস্থতা বিলম্ব না কৈল। প্রেষণীর সঙ্গে অন্তঃপুরে চলি গেল। কৈকৈ রাজার কন্যা সুদেষ্ণ সুন্দরী। বিরাট-রাজার সেই হয় পটেশ্বরী॥ জিজ্ঞাসিল কে তুমি ভ্রমহ একাকিনী। অঙ্গরী কিন্নরা কিবা মানুষী নাগিনী॥ হেন বেশ ধরিয়াছ না পারি বুঝিতে। তোমার সদৃশ রূপ না পাই দেখিতে। শুনিঞা পার্ষর্তী কহে সুদেষ্ণ রাণীরে। মোর পরিচয় রাণী কহি গো তোমারে॥ জাতি যে সৈরিন্ধী আমি হই বেশকারী। চন্দন ঘসিয়া মালা গাখিবারে পারি। (১) গবাক্ষে।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৮৪৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।