মহাভারত—অনন্ত মিশ্র—১৭শ শতাব্দী। রোদন করিয়া ভীম কহিলা তখন। কি মতে কহিব অভিমত্যুর মরণ॥ অন্তায় সমর কৈল দুষ্ট দুর্য্যোধন। সপ্তরর্থী বেঢ়ি পুত্রে করিল নিধন। বাহদ্বার রুদ্ধ কৈল সিন্ধর তনয়। কহিল তোমারে ভাই শুন ধনঞ্জয়॥ বৃহে প্রবেশিতে নাহি পারে একজন। মন দিয়া শুন ভাই সব বিবরণ॥ এতেক শুনিয়; তবে পার্থ ধনুৰ্দ্ধর। অভিমন্ত্য-শোকে বীর হইল কাতর। মহাভারতের কথা অমৃত-সমান। আপনে রচিল যাহা ব্যাস তপোধন॥ পয়ার প্রবন্ধেতে রচিলা তার দাসে। সর্ব্বলোকে কথা যেন শুনে অনায়াসে॥ অনন্ত মিশ্রের মহাভারত। অনন্ত মিশ্রের পিতার নাম কৃষ্ণরাম মিশ্র। যে পুথি হইতে এই অংশ উদ্ধৃত হইল, তাহ ১৬৯৯ খৃষ্টাব্দে (১৬২১ শকে ) লিখিত হইয়াছিল। রচনা দেখিয়া সপ্তদশ শতাব্দীৰ শেষভাগে এই পুস্তক রচিত হইয়াছিল বলিয়া মনে হয়। কৃষ্ণ-কর্তৃক ময়ূরধ্বজের পরীক্ষা। কৃষ্ণ বৃদ্ধ ব্রাহ্মণ-বেশে ময়ুর ধ্বজকে জানাইলেন, তাহার একমাত্র পুলকে এক ব্যাঘ্র আহার করিতে উদ্যত। বৃদ্ধ ব্রাহ্মণের অতিশয় কাতরতায় ব্যাঘ্র তাহাকে মুক্তি দিতে স্বীকার করিয়াছে, কিন্তু যদি সে মহারাজ ময়ূরধ্বজের অৰ্দ্ধদেহ আনিয়া দিতে পারে, তবেই সে মুক্তি পাইবে। প্রণিপাত করি আমি বলিল বিস্তর। তবে ব্যাঘ্র দিল মোরে কঠিন উত্তর। নৃপতি ময়ূরধ্বজ পুণ্যদেহ জানি। তাঙ্গর অৰ্দ্ধেক অঙ্গ মোরে দেহ আনি॥ a○>
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৮৫৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।