মহাভারত—লক্ষণ বন্দ্যোপাধ্যায়—১৮শ শতাব্দী। ধন গেল প্রাণ যায় কি করিব আর। এ যন্ত্রণা কপালে বিধি লিখেন আমার॥ রাজা ধর্যা লয়্যা যাবেক বধিবেক প্রাণে। শেষে এই দশা হলো লোভ কর্য ধনে॥ সাত পাচ ব্রাহ্মণ ভাবেন বস্তা এথা। ব্রাহ্মণী শুনিল কুশধ্বজের বারতা॥ ত্বরাপরে ব্রাহ্মণী প্রাঙ্গণে বেরাইল। শোকাকুলে অশ্রুজলে ভাসিয়া চলিল॥ কোথা বাছা কুশধ্বজ ডাকেন ব্রাহ্মণী। তোমার বিহনে মোর দিবস রজনী॥ (১) - ((t দিবা রাত্রি জ্ঞান নাঞি একুই সমান। মাতার অনঙ্গ। তোমার বিহনে মোর কণ্ঠাগত প্রাণ॥ কেমনে আছিলে বাছ আমারে ছাড়িয়া। - কার বাছা কেবা কোথা গেছিল লইয়া॥ কুশধ্বজ নিকটেতে দেখিল জননী॥ দ্রুততর রথে হৈতে নাম্বিল অমনি॥ পদ-ধূলা মস্তকে বন্দিয়া কয় কথা। ভাই দুটা কোথা গেছেন কোথা গেছেন পিতা। চুম্বন করিয়া মুখে করেন উত্তর। রোদন করিছে পুনঃ পুনঃ কল স্বর॥ সুমন্ত কহেন কথা করি ঘোড় পাণি। তব পুত্র লও মাতা দিল নৃপমণি॥ আর অর্থ রাখ মাতা দিলেন রাজন। যজ্ঞ পূর্ণ করে এলেন তোমার নন্দন। কোথা গেছেন দ্বিজবর ডাক ত্বরাপরে। প্রত্যপিত। প্রণাম করিয়া যাই অযোধ্যা নগরে ৷ কেহ সমাচার গিয়া কহিল ব্রাহ্মণে। ডাকেন স্বমন্ত তোমায় আইস এই ক্ষণে॥ ভীত হৈয়া ব্রাহ্মণ চলিল ত্বরাপরি। অন্তরে ভাবেন মোরে রক্ষা কর হরি। (১) তোমা ছাড়া আমার দিনগুলি রাত্রির স্থায় হইয়াছে।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৮৭৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।