ভাগবত–মালাধর বহু—১৫শ শতাব্দী। ዓፄ¢ মল্লার রাগ। শুন শুন বীর-ভাগ আমার বচন। সভা হৈতে বাহির করহ দুই জন॥ নন্দঘোষ বাহির করি লহ কারাগারে। মারিয়া সকল ধন লহত উহারে॥ বহুদেব দৈবকী দুই জনাকে লইয়া। মাথা কাটি ফেল লঞ্য শ্মশান-ভূমে গিয়া॥ উগ্রসেন বাপে লহ মাথা কাটিবারে। বাপ হয়ে প্রাণহিংসা করয়ে আমারে॥ ঘুচাহ বাসনা সব কিছু নাহি কায। মরণ নিকটে হেন বলে কংসরাজ। ংসের বচন শুনি কৃষ্ণ মনেতে চিন্তিল। সবাকে মারিতে দুষ্ট তবে আজ্ঞা দিল ৷ কৃষ্ণের মঞ্চারোহণ ও এক লাফে উঠে কৃষ্ণ মঞ্চের উপরে। কংস-বধ। যেই মঞ্চে বসিয়াছে কংস নৃপবরে ৷ কৃষ্ণ দেখি কংস রাজা সত্বরে উঠিল। সাক্ষাতেতে যম যেন ধরিতে আইল। খাণ্ড বাহিয়ে যুদ্ধয়ে নৃপবর। মত্ত সিংহ প্রায় যেন কাপে গদাধর। বাম হাত দিয়া তার গলা চাপি ধরি। ডাহিন হাতে খাণ্ড কাড়ি লইলা শ্রীহরি। মঞ্চ হৈতে পড়ে রাজা ভূমের উপর। লাফ দিয়া বুকে তার বসিল গদাধর। সংসারের ভর হৈল সকল শরীরে। সেই ভরে মরিল রাজা দুষ্ট কংসাস্বরে ৷ অস্বরের হাহাকার ও হাহাকার হৈল তবে অস্থর সমাজে। সজ্জনগণের জানন্দ ও হরষিতে পুষ্পবৃষ্টি কৈল দেবরাজে। কংসের বংশ-নাশ। বসুদেব দৈবকী নন্দ আদি যত। ঘুচিল সবার ভয় হৈল হরষিত। কংসের বন্ধু বান্ধব ছিল স্বত ভাই। ভায়ের মরণে যুদ্ধে আইল তথায়।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৯০৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।