কবিচন্দ্রের ভাগবত। এই কবির বিস্তৃত বিবরণ বঙ্গভাষা ও সাহিত্যের ৫১৪–৫১৬ পৃষ্ঠায় দ্রষ্টব্য। নিম্নের অংশগুলি ১০৬১ বাং (১৬৫৩ খৃঃ) সনের হস্তলিখিত পুথি হইতে উদ্ধৃত হইল। রুক্মিণীর রূপ-বর্ণন। সখীর ধরিয়া কর রুক্মিণী বার্যায় (১)। রুক্মিণী দেখিয়া সভে অতি মোহ পায়॥ কি কব রূপের সীমা ভুবনমোহিনী। সিংহ-মধ্যা বিশ্ব-ওষ্ঠ বিদ্যুং-বরণী॥ চাচর চিকুরে দিব্য বান্ধিয়াছে ধোপা। মল্লিকা মালতী বেড়া পৃষ্ঠে দোলে ঝাপা ৷ কপালে সিন্দুর-বিন্দু চন্দনের রেখা। জলধর-কোলে যেন চাদ দিল দেখা ৷ নয়নে কাজল কাম ভুরু চাপ বাণে। চাহিয়া চেতন হরে কে বঁাচে পরাণে॥ চরণে যাবক (২) রেখা বাজন নুপুর। চলিতে পঞ্চম গতি বাজে সুমধুর। রুক্মিণী-হরণ-কালে শ্রীকৃষ্ণের প্রতি শিশুপালের ক্রোধোক্তি। রুক্মিণীর সঙ্গে শিশুপালের বিবাহের কথা স্থির ছিল; কিন্তু রুক্মিণী শ্রীকৃষ্ণকে মনে মনে আত্ম-সমৰ্পণ করিয়াছিলেন, তিনি গোপনে শ্রীকৃষ্ণের নিকট লিপি প্রেরণ করেন যেন শ্রীকৃষ্ণ র্তাহাকে লইয়া যান। সেইরূপ করিলে, শিশুপাল শ্রীকৃষ্ণকে রুক্মিণীসহ রথারূঢ় দেখিয়া ভৎসন করিতেছেন। পলায় যতেক সেনা পায়্যা পরাজয়। পুরোধী (৩) ব্রাহ্মণ তবে শিশুপালে কয়॥ দৈবেতে সকল হয় দূর কর তাপ। সভাই কালের বশ রাজা তোর বাপ॥ (১) ভ্রম্বণ করে। (২) আলতা। (৩) পুরোহিত।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৯১৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।