ভাগবত—শু্যামদাস—১৬শ শতাব্দী। তরু লতা আদি তৃণ জল ত্যজি কান্দে মীন কালিন্দী কাতর অতিশয়। দেখিয়া কৃষ্ণের রীতি ব্রহ্মা আদি সুরপতি কানো দেব আকুল হৃদয়॥ দশ দিক্ চরাচর কান্দে হৈয়া সকাতর দয়ানিধি গোবিন্দের গুণে। গোকুল নগরে ওথা পড়িল প্রমাদ-কথা অমঙ্গল দেখে গোপগণে॥ দুঃখী শুামদাস কয় শুনিলে জনম নয় এই কথা ভুবন-পাবন। শুনহ সংসার মুখে নাম গুণ গাও মুখে কলি ভবে পাবে উদ্ধরণ॥ আজ কেন চঞ্চল মন। না জানি কি হৈল বনে দুঃখিনী-জীবন। ধুম্বা॥ শুন রাজা পরীক্ষিত কহি ষে তোমারে। অমঙ্গল দেখে লোক গোকুল নগরে ৷ উল্কাপাত দিবসে উদয় ধূম্ৰচয়। সঘনে অঙ্গার-বৃষ্টি চতুর্দ্দিকে হয়। নন্দের মন্দির বেড়ি রক্ত বরিষণ। প্রাচীরে উলুক বৈসে দেখে সর্ব্বজন। যশোদার মুখে মুখে কাক ডাকে ডাক। নগরে ক্রন্দন করে শিবা বীকে বাক॥ কুকুর ক্রন্দন-গীত গায় সেই কালে। দিনে খসি পড়ে তারা অবনী-মণ্ডলে॥ হেন অমঙ্গল দেখি নন্দ যশোমতী। গোপগণে ডাকি নন্দ করেন যুকতি॥ শুন গোপগণ কেন দেখি হেন রিষ্টি। গোকুল নগরে আজি রক্তাঙ্গার বৃষ্টি॥ শৃগাল কুঙ্কর কান্দে নগর ভিতরে। দিবসে নক্ষত্র পড়ে ধরণী উপরে। হেন অমঙ্গল আমি না দেখি কখন। কহিল যে কিছু পূর্ব্বে গর্গ তপোধন। aసి(t দেবগণের ক্রন্দন। গোকুলে অমঙ্গল।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৯২৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।