ভাগবত-রঘুনাথ ভাগবতাচার্য্য—রচনাকাল ১৫১০-১৫১৫ খৃঃ। ৮০৩ জল ফেলি মোরে গোপী গোপালের গায়। যৌবন-চুম্বন-ধন যাচে যত্নরায়॥ উদ্ধব, যত দুঃখ উঠে মনে। জীয়ন্ত থাকিতে মরা গোবিন্দ-বিহনে॥ আষাঢ়ে আঙ্গিনা রসে আছিনু শুতিয়া। আমার শিয়রে আসি হাম বিনোদিয়া। আলিঙ্গন দেই মুখে বুলাইয় হাত। উঠিয়া আকুল হৈনু কোথা প্রাণনাথ। উদ্ধব, অনেক যন্ত্রণ। অধিক আশের দোষে এত বিড়ম্বনা; শ্রাবণে সরস রস বরষা বিপুলে। সরসিজ বিকশিত ষটপদ হিল্লোলে॥ সুখ বৈভব সব গেল শু্যাম সঙ্গে। স্মঙরি স্মঙরি কান্দি এ ভব-তরঙ্গে॥ দুঃখী শ্রামদাস গায়। চিত্ত দৃঢ়াইলে গোপী পাবে ভাম ৱায়। রঘুনাথের ভাগবত। কৃষ্ণ-প্রেম-তরঙ্গিণী। রঘুনাথ ভাগবতাচার্য্য, মহাপ্রভূর সামসময়িক ব্যক্তি। কৃষ্ণদাস কবিরাজের চৈতন্ত-চরিতামৃত, কবিকর্ণপুরের গৌরগণোদেশ প্রভৃতি পুস্তকে এই অনুবাদের উল্লেখ আছে। সাহিত্য-পরিষৎ এই পুস্তকখানি প্রকাশ করিয়াছেন। শ্রীকৃষ্ণের রূপ ও বংশীবাদনের প্রভাব। বাম বাহু ধরি বাম কপোল-মণ্ডলে। ললিত চলিত দ্রুম মুৱলী অধরে | বেণুরন্ধে, বিলোলিত কোমল অঙ্গুলি। যখনে বাজান বেণু শ্রীল বনমালী॥ সিদ্ধ-বধূগণ তার সঙ্গে সিদ্ধগণ। মুরছি পড়য়ে রহে হয়ে অচেতন॥
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৯৩৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।