ভাগবত—নরহরি দাস—১৬শ শতাব্দী। bペ> জগতমোহন রূপ পীতাম্বরধারী। রসের রসিক মোর রসিক মুরারি॥ শুনি সব সর্থীবৃন্দ আনন্দেতে ভাসি। তুমি প্রাণনাথ পাবে মোরা হব দাসী ৷ হেন মতে রহে সব পরম হরিষে। শ্রীকৃষ্ণের রূপ-গুণ-আলাপন-রসে॥ তথা এক সর্থী কহে কহিতে ডরাই। কুসংবাদ। কৃষ্ণকথা চিরকাল শুনি তব ঠাঞি॥ এই বড় সাধ ছিল আমাদের মনে। কৃষ্ণের সহিতে তোমা নিরথি নয়নে॥ আজি সে শুনিলাম কথা শেল বাজে বুকে। তব ভাঞি শিশুপালে দিবেক তোমাকে॥ তোমার পিতার বাক্য করিয়া লজিঘত। বর আনিবারে রুক্মী পাঠাল্য তুরিত॥ এ কথা শুনিঞা মাত্র দেবী হরিপ্রিয়া। ছিন্ন কদলীর প্রায় পড়ে লোটাইয়া॥ কি বলিলে কি বলিলে সখি কি বলিলে। বাক্য শুনি প্রাণ মোর উঠে জ্বলে জলে॥ বৃথা হৈল যত সব করিলাম ভাবনা। হর-গৌরী মোরে কি করিল প্রতারণা॥ যদি না পাইব আমি কৃষ্ণ রসরাজ। তবে আর ছার প্রাণ রাখিয়া কি কাষ॥ অগ্নি প্রবেশিব কিম্বা বিষ করি পান। ইহা বলি হরিপ্রিয়া হইল অজ্ঞান ৷ রুক্মিণী-হরণ-কথা শুনিতে আনন্দ। নরহরি দাস কহে ভাবি শ্রামচন্দ॥ তবে দেবী হরিপ্রিয় পড়ে অচৈতন্ত হয়া সৰীগণের বিলাপ। গড়ি যায় অবনী-মণ্ডলে। হেম অঙ্গ কমলিনী তনু প্রায় ফুল জিনি দেখি সখী ভাসে অশ্রুজলে ৷ যে কহিল সংবাদ তারে কহে কটুবাদ কেনে হেন কহিলে বচন।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৯৫১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।