ভাগবত-নরহরি দাস – ১৬শ শতাব্দী। অন্তর্যামী ভগবান্ কি না জানেন তথ্য। লিপি খুলি পত্র পড়ি জানিল সমস্ত। পুনঃ জিজ্ঞাসেন দ্বিজে কহ দেখি শুনি। কি কথা কহিয়াছেন ভীষ্মক-নন্দিনী॥ ব্রাহ্মণ কহেন হরি কর অবধান। তুয়া বিনে রুক্মিণীর ব্যাকুল পরাণ॥ তদন্ত কহিতে সব নহে অবকাশ। আজি গোধূলিতে তার হবে অধিবাস॥ যে দেখিছি তাহার তোমাতে অনুরাগ। ত্বর কর শরীর না করে যেন ত্যাগ॥ ঠাকুর কহেন শুন বিপ্র সর্ব্বারাধ্য। মোর প্রাণপ্রিয়া লবে ইহা কার সাধ্য। চল চল দ্বিজবর হয় অগ্রগামী। অতি ব্যস্তে ভীষ্মক-নগরে যাব আমি॥ রুক্মিণীরে কবে বহু আশ্বাস করিয়া। জনমে জনমে মোর তেহু প্রাণপ্রিয়া॥ হরগৌরী পূজাৰ্চনে রুক্মিণী যাইবে। দেখিবে নৃপতিগণ হরে লব তবে॥ তোমার বিলম্ব আর নহে কদাচন। রুক্মিণীরে গিয়া তথা কহ বিবরণ॥ দারুকেরে আজ্ঞা কৈল প্রভু জগৎপতি। রথসজ্জা করি শীঘ্র যোগায় সারথি। রথে আরোহিয়ে প্রভু চলিল একল। কৃষ্ণ-অন্বেষণ-হেতু রাম মহাবল। দ্বারীরে কহিল কিছু জানাহ তদন্ত। দ্বারী কহে কি জানিব তোমাদের অন্ত ৷ এক দ্বিজবর সহ কহে ভগবান। পাচ সাতবার শুনি রুক্মিণীর নাম। এই মাত্র বচন শুনিছি আধো আধো। কারে আশ্বাসিলা প্রভু কারে কৈলা ক্রোধ॥ বলাই কহেন কথা বুঝিলাম সর্ব্ব। রুক্মিণী-কারণে ভাই গেছেন বৈদর্ভ॥ > o 8 braQ রুক্মিণীর কথা জ্ঞাপন। শ্রীকৃষ্ণের আশ্বাস বাণ। রুক্মিণীর উদেন্তে যাত্রা।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৯৫৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।