পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৯৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাগবত—নরহরি দাস–১৬শ শতাব্দী। *○○ সপ্তদশবার হারিলাম কৃষ্ণ-হাতে। তবু একবার তারে না পারি জিনিতে॥ তোমার কারণে যুদ্ধে হারিলাম সভাই। তবু দণ্ড দিব কভু লাগ যদি পাই॥ কিন্তু এই তাপ জাগে হৃদয়-মন্দিরে। কন্যা লৈল বস্তু-স্থত (১) যেতে হলো ফিরে॥ কন্যা বলে কন্ত লয় ত্রৈলোক্য-মোহিনী। বিধির লিখন নাই ইথে অনুমানি॥ শুনি দামুঘোষ-স্থত হৈল মৃত্যুপ্রায়। নাহি চাহে কারু পানে অধোমুখে রয়॥ শুনিয়া ভীষ্মক রাজা নাচে ঘুরি ফিরি। রাজার আনন্দ। সত্য সত্য কৃষ্ণ মোর বাঞ্ছা-সিদ্ধকারী॥ তবে ত ভীষ্মক-সুত রুক্মী মতি মন্দ। শুনিল রণেতে ভঙ্গ দিল নৃপবৃন্দ॥ মোর ভগিনী লয়ে যায় গোয়াল-নন্দনে। কুন্ত্রীর প্রতিজ্ঞ। এ দুঃখ সহ নাকি হয় মোর প্রাণে॥ শুনহ নৃপতিগণ প্রতিজ্ঞা আমার। রণে না জিনিলে দেশে না আসিব আর॥ যদি কৃষ্ণে জিনি ভগিনী আনিবারে পারি। ক্লক্ষ্মীর যুদ্ধ। তবে নিজ-রাজ্যে আসি হব দণ্ডধারী॥ রণে চলে রুক্মী এক অক্ষৌহিণী দলে। করিএ গভীর সজ্জা মার মার বলে॥ ক্রোধবলে গিয়ে করে বাণ-বরিষণ। বিন্ধিতে কৃষ্ণের অঙ্গ চোক চোক বাণ॥ কৃষ্ণে মারিবারে করে বাণ-বরিষণ। লীলায় গোবিন্দ করে বাণ-নিবারণ॥ বহু পরাক্রম করি করিছে সংগ্রাম। তা দেখি হাসেন দুই কৃষ্ণ বলরাম॥ কৃষ্ণে মারিবারে যদি মনের প্রয়াস। একত্রে ধনুকে বাণ যুড়িল পঞ্চাশ। (১) বহুদেবের পুত্র। తి(