পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৯৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o শ্রীকৃষ্ণ-শূন্ত বৃন্দাবন। গোপিকাগণের বিরহ। নরসিংহ দাসের হংস-দূত। ( রচনা-কাল খৃঃ সপ্তদশ শতাব্দী। রঘুনাথ দাস ভাগবত অবলম্বনে সংস্কৃত হংসদূত প্রণয়ন করেন। নরসিংহ দাস তাহারই অনুবাদ করিয়াছেন। এই মত দঢ়াইয়া (১) সব গোপীগণে। ধীরে ধীরে যান সভে সেই বৃন্দাবনে॥ যমুনার তীরে গেলা সব সখীগণে। সেই স্থানে শিশু বৎস দেখিল নয়নে॥ কোন শিশু ভীয়া বলি ডাকে উভরায়। কেহ কেহ কৃষ্ণের মহিমা-গুণ গায়॥ হাম্বারব করে কেহু দন্তে তৃণ করি। তা দেখিয়া আকুল হইল ব্রজনারী॥ সেই বন ছাড়ি গেল নীপ- (২) তরুতলে। শূন্ত দেখি সেই স্থান আপনা পাসরে॥ সে স্থানে বসিয়া গোপী করে অনুমানে। এই খানে দেখিলাম রূপ বিকাল বিহানে॥ পদের উপরে পদ ত্রিভঙ্গ হইয়া। আর না শুনিব বঁাশী জলেতে আসিয়া॥ পীত-ধড়া পরিধান গলে বনমালা। সেই নীপ-তরুতলে কে হরিল কাল॥ শিখিপুচ্ছ চুড়ে তায় উড়ে মন্দ বায়। বিধি নিদারুণ হইয়া থুইল মথুরায়। ধিক্ ধিক্ যাউক মোর এ ছার জীবনে। পরিতি এমন হবে জানিব কেমনে॥ এই মত গোপী সব ভাবে কৃষ্ণ-কথা। কদম্বের তলে আসি পাইল বড় ব্যথা॥ সেই স্থান ছাড়ি যান অনেক যতনে। কুঞ্জবনে যায়্যা তবে দিল দরশনে॥ সেই সে বনের কথা কহনে না যায়। তাহাতে বসন্তকাল হইল উদয়॥ (১) দৃঢ় সংকল্প করিয়া। (২) কদম্ব।