অক্তরের আগমন। অঙ্কর-দর্শনে নলের আনন্দ। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। আর তাহে রোহিণী ছাড়িল ব্রজপুরে। দ্বিগুণ বাড়িল শোক নিবারিতে নারে॥ তা সভারে দেখিয়া কহিবে প্রিয়বাণী। কৃষ্ণের সংবাদ গো আনিয়া দিব আমি॥ সেই বন ছাড়িয়া যাইবে অন্ত বনে। যেখানে বালক সঙ্গে কর্যাছেন ভোজনে॥ সেখানে মলয়-পত্র আছএ পড়িয়া। দ্বিজপত্নী-স্থানে অন্ন আনিলা মাগিয়া॥ তবেত যাইহ তুমি সেই বন ছাড়ি। তার পরে দেখিবে গোপের পূর্ববাড়ী। সপ্ত দিবস ইন্দ্র ঝড় বৃষ্টি কৈল। তথির কারণে নন্দীশ্বরে বাড়ী কৈল॥ এইত পথের দিশা ললিত কহিল। হংসদূত-ইতিহাস নৃসিংহ রচিল। অচ্যুত দাসের কৃষ্ণ-লীলা। এই গ্রন্থের একখানি মাত্র খণ্ডিত পুথি পাওয়া গিয়াছে। উহাতে ৪—১৫২ পত্র (প্রত্যেক পত্রে ২ পৃষ্ঠা, সুতরাং মোট ২৯৮ পৃষ্ঠা) পর্য্যন্ত আছে। পুথি প্রায় ২৫০ বৎসরের প্রাচীন হইবে। একদিন অক্রর নামেতে এক জন। ব্রজেরে (১) আইল করি রথ আরোহণ॥ ব্রজপতি নন্দেরে দিলেন রাজ-লিখা। শিরোধার্য্য করিঞা নিলেন সেই সখা॥ কহিল কি ভাগ্য আজি হইল আমারে। অনেক দিনেতে তোমা দেখি মোর ঘরে॥ চরণ পাখাল আসুন মহাশয়। তবেত পুছিব আমি কার্য্যের নিলয়॥ ধন্য ধন্য আমায় এইত ব্রজপুরে। পবিত্র হইলু আজি দেখিঞ তোমারে। (১) ব্রজে।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৯৯০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।