রাজারাম দত্তের ভাগবত। এই পুস্তকের অনেক প্রাচীন পুথি আমরা দেখিয়াছি। “শ্রীরামপ্রসাদ দেএ”র হস্তলিখিত একখানি পুথি সোসাইটির লাইব্রেরীর জন্য আমরা সংগ্রহ করিয়াছিলাম। সেখানি ১৭০৭ শকের (১৭৮৫ খৃঃ) লিখিত। ১২৩৭ বাং সনের (১৮২৯ খৃঃ) হস্তলিখিত একখানি পুথি হইতে নিম্নের অংশ নকল করা হইল। দন্ত্রীরাজার উপাখ্যান। উর্ব্বশী দুর্ব্বাসার শাপে ঘোটকী হইয়া পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়। ঘোটকী দিবাভাগে শাপগ্রস্ত থাকিত, কিন্তু নিশাগমে স্বদেহ প্রাপ্ত হইত। অবন্তীর দণ্ডীরাজ এই ঘোটকী লাভ করেন। নিশাকালে ঘোটকী উর্ব্বশী হইয়া রাজার সঙ্গে আমোদ প্রমোদ করিত। নারদ কৃষ্ণকে এই সংবাদ প্রদান করেন। কৃষ্ণ দণ্ডীরাজার নিকট ঘোটকীটি চাহিয়া পাঠান। নানা প্রকার প্রতিস্থচক বাক্য এবং ভয়-প্রদর্শন উভয়ই তুল্যরূপ উপেক্ষা করিয়া দণ্ডী কৃষ্ণের অনুরোধ রক্ষা করিতে অসম্মত হন। কৃষ্ণ ক্রুদ্ধ হইয়া দণ্ডীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। দণ্ডী এরূপ প্রবল শত্রর সঙ্গে যুদ্ধ করিতে নিজকে অসমর্থ জ্ঞান করিয়া আশ্রয় ভিক্ষা করিয়া ঘুরিতেছেন। পরবর্তী প্রসঙ্গ নিম্নের বিবরণে দৃষ্ট হইবে। অশ্বেতে চড়িয়: রাজা করিল গমন। আপনার রক্ষা হেতু সত্যের কারণ॥ প্রথমেতে গেল রাজা সমুদ্রের স্থানে। দণ্ডীকে দেখিয়া রাজা জিজ্ঞাসে আপনে॥ কি কারণে আইলে রাজা কহ বিবরণে। রাজা বলে সিন্ধুরাজ করি নিবেদনে॥ এই তুরঙ্গিণী আমি পাইয়াছি বনে। নিভৃতে রাখিয়াছিলাম কেহ নাহি জানে॥ নারদ কহিল গিয়া কৃষ্ণ-বিদ্যমানে। দূত পাঠাইল কৃষ্ণ নিতে তুরঙ্গিণী। ঘুড়ী ন পাঞ ক্রোধ কৈল চক্রপাণি॥ বলেতে অশ্বিনী নিতে চাহে নারায়ণ। অতএব এসেছি আমি লইতে শরণ॥ সমুদ্রের অসন্মতি।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৯৯৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।