পুনশ্চ/ছুটি
< পুনশ্চ
(পৃ. ১১৮-১১৯)
ছুটি
দাও না ছুটি,
কেমন করে বুঝিয়ে বলি
কোন্ খানে।
যেখানে ঐ শিরীষবনের গন্ধপথে
মৌমাছিদের কাঁপচে ডানা সারাবেলা।
যেখানেতে মেঘ-ভাসা ঐ সুদূরতা;
জলের প্রলাপ যেখানে প্রাণ উদাস করে
সন্ধ্যাতারা ওঠার মুখে;
যেখানে সব প্রশ্ন গেছে থেমে,
শূন্য ঘরে অতীত স্মৃতি গুন্গুনিয়ে
ঘুম ভাঙিয়ে রাখে না আর
বাদল রাতে।
যেখানে এই মন
গোরু-চরা মাঠের মধ্যে স্তব্ধ বটের মতো
গাঁয়ে-চলা পথের পাশে।
কেউবা এসে, প্রহরখানেক
বসে তলায়,
পা ছড়িয়ে কেউবা বাজায় বাঁশি,
নব বধূর পাল্কীখানা নামিয়ে রাখে
ক্লান্ত দুই পহরে;
কৃষ্ণ একাদশীর রাতে
ছায়ার সঙ্গে ঝিল্লিরবে জড়িয়ে পড়ে
চাঁদের শীর্ণ আলো।
যাওয়া-আসার স্রোত বহে যায়
দিনে রাতে;
ধরে রাখার নাই কোনো আগ্রহ,
দূরে-রাখার নাই তো অভিমান।
রাতের তারা স্বপ্ন-প্রদীপখানি
ভোরের আলোয় ভাসিয়ে দিয়ে
যায় চলে তার দেয় না ঠিকানা।
৩১ ভাদ্র, ১৩৩৯