প্রবাদ মালা (১৮৯৪)

অজ্ঞাত লেখক
প্রবাদ মালা

(মধ্য ভারতে প্রচলিত)

প্রবাদ মালা।

রেভারেণ্ড কে, কে, জি, সরকার

কর্ত্তৃক সঙ্কলিত

কলিকাতা।

শ্রীযুক্ত এ, বি, মুখর্জি কর্ত্তৃক মুদ্রিত ও প্রকাশিত

২৭ নং ওল্ড বৈঠকখানা সেকেণ্ড লেন,

১৮৯৪

[মূল্য ৶৹ মাত্র]

প্রবাদ মালা।

অ।

১। অধর্ম্মের তোড়া আর ধর্ম্মের কড়া।
২। অবোধ বুঝান আর পাষাণ গলান সমান।
৩। অজ্ঞানে নাচ জ্ঞানে পাঠ সিদ্ধ
৪। অসৎ কর্ম্মের বিপরীত ফল।
৫। অন্ধ কুক্কুর বায়ুতে ঘেউ ঘেউ করে।
৬।

অকালে এলে মিতা, সুকালে গেলে;
যাবার বেলায় গেলে মিতে, কুলে দাগ দিলে।

৭। অনেক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট।
৮। অন্নচিন্তা চমৎকারা, কালিদাশের বুদ্ধিহারা।
৯।

অভদ্র বর্ষার কাল, হরিণ চাটে বাঘের গাল;
অরে হিরণ তোরে কই, সময় বুঝে সকল সই।

১০। অবস্থাগুণে ব্যবস্থা ভাল।
১১। অকালের ভাত জন্মের খোঁটা।
১২। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ।
১৩। অত্যন্ত গর্হিতং।
১৪। অনেক কাল করে পাপ সময় হলে ফলে।
১৫। অন্নের সুখে অরণ্যে বাস।
১৬। অযোধ্যার রঘু আর কাঁটাবনের ঘুঘু?
১৭। অঙ্গার খেলেই কয়লা বাহ্যে হয়।
১৮। অপার জীবনে নাজ্জামাই ভাতার।
১৯। অন্ধকার গৃহের চরণামৃৎ।
২০। অল্প আয়ু স্বপ্নের তুল্য।

আ।

২১। আক্কেলে ভগবান্‌কে চিনে।
২২। আঠে পিঠে দঢ়, তো ঘোঁড়ার পিঠে চড়।
২৩। আপন বুদ্ধে তরি পর বুদ্ধে মরি।
২৪।

আহারে বলে আন্‌লেম চিলবেটাকে,
একে একে খেলেক্ সব ছানাকে
এ লাজের কথা আর বলি কাকে।

২৫। আধাগীত প্রাণের হিত্ যদি না গায় নিত্ নিত্।
২৬। আগুণ কি কাদা, আর রাজা কি দাদা?
২৭। আখা আছে পাখা নাই বুদ্ধি আছে ভরসা নাই।
২৮। আছে ঋণ ত ছাগী কিন্।
২৯। আমে বান, তেঁতুলে টান্।
৩০।

আসনে ঠাকুর নাই, সাঁকের বড় চড়চড়ি
ঘরেতে অন্ন নাই বৈরাগীদের হড়বড়ি।

৩১। আগুণ লাগলেই জল বর্ষে নাই।
৩২।

আলনা কাঠের চালনা, শিমূল কাঠের ফরি,
ছোঁড়ার ফর ফরানিতে মরি।

৩৩। আত্ম রেখে পিতার শ্রাদ্ধ।
৩৪। আদা বেপারির জাহাজের খবর।
৩৫।

আইস কুটুম্ বশ খাটে, পা ধুয়াব পুকুর ঘাটে,
পিঠ ভাংব চেলা কাঠে!

৩৬। আপ রুচি খানা, পর রুচি পিন্না।
৩৭।

আপনাকে উচ্চে দেখে অন্যে বুঝে হীন,
নিশ্চয় জানিবে তাহা নরকের চিন্।

৩৮।

আপনার জ্ঞাতি আড়ে, বাড়ে,
মাগের কুটুম্ মাজের ঘরে।

৩৯। আয় বাঘ, না এসেই ঘাড়ে লাগ্‌?
৪০। আছে কাজ তবে প্রাতেই সাজ্।
৪১। আপনার গ্রামে কুক্কুরও রাজা।
৪২। আসল ঘরে মুশল নাই টেকিশালে চাঁদয়া।
৪৩। এয়োতী নাচে রঙ্গে, রাঁড় নাচে তার সঙ্গে।
৪৪। আদা আন্‌তে মুঢ়িই ফাঁক।
৪৫। আহারে প্রহর ঘটে।
৪৬। আমের কালে, ডোম রাজা?
৪৭।

আমার নিমন্ত্রণে না ডাকলে যেওনা,
এবং ঘরেও খেও না।

৪৮। আঁটে নাই যার, টেনে বাঁদে ধার।
৪৯। আপনার যাত্রা পরকে দিয়া দৈবক আগে ভিক্ষা।
৫০।

আমি বুড়র ঘর কর্‌ছি, না কেবল তার
মন যোগাচ্ছি?

৫১। তার্জ্জন না গর্জ্জন তার বেটার নাম দুর্য্যোধন।
৫২। আপনার ঘোঁড়ার ঘাস কাটায় লজ্জা নাই।
৫৩। আত্মবৎ মন্যতে জগৎ।

ই।

৫৪। ই তো নয় মরণ, শৃগাল মারিবার ছলন।
৫৫। ইংরেজের ঘড়ি বাঙ্গালীর মুড়ি।

৫৬। ঈশ্বর যার সখা বল, দুষ্মন তার পায়ের তল।

৫৭। উড়ে যায় পাখীমনী, আমি তার পাখা গণি।
৫৮।

উপরে ঝুঁটি দাঁত নিকটী তার জানবে জ্বর,
দরকারি কাজে ধীরে চলে, তারে জেনো পর,
দরিদ্রের বড় মোট জেনো তাহা কাপাশ,
সন্ধ্যাবেলা দোয়ার বাঁধা তবে জেনো উপাশ।

৫৯। উড়ােয় খোই, কৃষ্ণায় নমঃ।
৬০। উই, ইন্দুর, কুজন, সুঁই, সুত, সুজন।
৬১। উল্‌ট চোর কটাল দণ্ড।
৬২। উপকারীকে পথে মারে, চুগল খােরকে সঙ্গে করে।
৬৩। উপর দিক্ থু ফেলিলে, আপনার গায়ে পড়ে।
৬৪। উলির সঙ্গে দুলি, যায় ভুলভুলী।
৬৫। উচ্চে বায়ূ প্রধানে দোষ।
৬৬। উল্লুককে সৎ লোক, আর সদ্‌জনকে ভল্লুক।
৬৭। উড়্‌তে না পেরে, ফুর ফুর করে।
৬৮। উনন্‌কে পুছে কাট্‌ আর কুটুম্‌কে পুছে ভাত?
৬৯। উদোর বোঝা বুধর ঘাড়ে।
৭০। উৎযােগি পুরুষো সিংহঃ।
৭১।

উট্‌কীর হাতে খাওয়া অপেক্ষা
বরং হাগনীর হাতে খাওয়া ভাল।

৭২। উড়্‌তে না পারায় পােষ মানা।
৭৩। উদোড় বনে শিয়াল রাজা।

৭৪। ঊর্দ্ধ পবিত্র স্থান ঈশ্বরের নিবাস।
৭৫। ঊর্দ্ধে নিক্ষিপ্ত প্রস্তর স্থায়ী নয়।

৭৬। ঋণ ও চোরকে পর্ব্ব আড়।
৭৭। ঋণ করে কাণে সােনা।
৭৮। ঋণ চোরকে ঋণ মিলে, মাগ্ চোরকে মাগ্ মিলে।
৭৯।

ঋণ করে খাব, মাদলপারা হব,
জন পাঁচ ছয় লােক সঙ্গে আগে আগে যাব।

৮০। একে ভালুক তায় খন্তা।
৮১। এক্লা বেনােয় হাট লাগে না।
৮২। একে মা মনসা তায় ধুনর গন্ধ।
৮৩। এক হাতে তালি বাজে না।
৮৪। একে বৌ নাচুনী তায় খেমটার বাজনী।
৮৫। একা বীর্জ্জবান একুশের কাজ করে।
৮৬। এক মাঘেই শীত ফুরায় না।
৮৭। এক্লা বৃহস্পতি ও বােকা।
৮৮। এক কড়া নাই ঝুলিতে লাফ পাড়ছে কুলিতে।
৮৯। এক ঢোঁড়া শাপে সাত পুকুর গাবায়।
৯০। একটুর জন্য হাঁ কল্লেম্ সমস্ত রাত্র ক্ষুধায় মল্লেম্।
৯১। এক হাতে দুট বেল কুড়ান যা না।
৯২। এক হরিতকি আর সমস্ত গ্রামের কাশি।
৯৩। এক পুতা, উনন্ মুতা।
৯৪। এক বাঁনরের মুখ পুড়লে শত বানরের মুখ পােড়া।
৯৫। এদিক সেদিক্‌ খাও আমার হয়ে থাক।
৯৬।

এক সন্তানের মা ঠাকুরাণী,
বহু সন্তানের মা বিড়ালিনী।

৯৭। একটা কাষ্ঠ জ্বলে না।
৯৮। এই আহমক্‌কে পরিহরি, বরং বনে গিয়ে ক্ষুধায় মরি।
৯৯। এক দ্বার মোদা শতেক দ্বার খোলা।

ঐ।

১০০। ঐ শোকানলের উত্তাপে অস্থির মজ্জা শুষ্ক করে।
১০১। ঐ কৃতান্তের ভয়ে প্রাণ শুকিয়া যায়।
১০২। ঐরাবত হাতির পদ ও পিচ্ছিল স্থানে থামে না।

ও।

১০৩। ওর মুণ্ডু এর্‌ পা, চুগুল খােরের ব্যবসায় তা।

ঔ।

১০৪। ঔদার্য্যতা ধার্ম্মিকের অলঙ্কার।
১০৫। ঔষধ জিহ্বার গলগ্রহ।

ক।

১০৬। কন্যার মা কাঁদে আর টাকার পুটলী বাঁধে।
১০৭। কলুর বলদের অমাবশ্যা নাই।
১০৮। কর্ম্ম কর অঙ্গ দিয়ে পথ চল সঙ্গি লয়ে।
১০৯। কদরের ঔষধ কি?
১১০। কথায় কথায় কথা বাড়ে জলের বেগে ছিদ্র বাড়ে।
১১১। কলি যুগে কলের কাজ, শিখলে হয় দমবাজ।
১১২। কথার দৈ বচনের চিড়ে, পেটভরে খাও আমার কিরে।
১১৩। কবিতা, জড়তা, লতা, স্বেচ্ছামতে লয়ে যাবে যথা।
১১৪। কষ্টি পাথরে সােণা চিনে।
১১৫। কাঁচায় নমঃ তোষামদির গৎ।
১১৬। কমবক্তার হাড় পাকে সুবক্তার চুল পাকে।
১১৭। কাল বামোন্ কটা শুদ্র দেখে ডরায় রবি রূদ্র।
১১৮। কালীর পাঁঠার বদ্‌লিলেও উদ্ধার নাই।
১১৯। কাঠের পােকা কাঠেই চরে।
১২০। কালি, কলম, মন, লিখে তিন জন।
১২১। কানার পা, খালেই পড়ে।
১২২। কাঁধের কুকুর শিকার করে না।
১২৩। কাহাল কুকুর ভারি, এই তিন চলে না ধিরি।
১২৪। কানা গােরু বামোনকে দান বামােন্ কয় নিয়ে আন্।
১২৫। কাজ ছাড়া মানুষ ডাল ছাড়া বানর।
১২৬। কম্বল ভিজালে নিজের ভার।
১২৭। কাএত চুষা গ্রাম বামন চুষা কলিকা।
১২৮। কাড়া মাত্‌লে মনিব মানে না।
১২৯। কাজের সাক্ষী কারণ পুণ্যের সাক্ষী মরণ।
১৩০। কার ধন কে করে ভােগ, ধাতা করেন সংযােগ।
১৩১। কাগের গলায় গজমতি।
১৩২। কাঁধে কুঠার আর সমুদয় বনে কুঠারের অনুসন্ধান।
১৩৩। কানা পো মাতার সুপুত্র।
১৩৪। কাস্ত্যার বন্ধকেই কি আর বেচায় কি?
১৩৫। কাজের সময় কাজি, কাজ ফুরালে পাজি।
১৩৬। কম্বল ক ছিতে গেলে কেবল লোম।
১৩৭। কাগের মুখে কোকিলের ধ্বনি।
১৩৮। কাঠের খড়্গে রাজ্য ভোগ।
১৩৯। কান কাটা, কানকেই সতর্ক।
১৪০। কানা শুনে হাটে চোক্ বিক্রয় হয়।
১৪১। কালে রাজা ভবস্বতী রাজার মরণে হবস্বতী।
১৪২। কাশি ঘাঁশে বামোন হত্যা।
১৪৩।

কামারের কাজ কুমর করে
ধরতে না জেনে পুড়ে মরে।

১৪৪। কাটরাতে মাথা পেতে খড়্গাঘাতের ভয়!
১৪৫। কাঁধে ঝোলা জবরবাৎ, তবে জানবে পশ্চিমা ভাট্।
১৪৬। কিশের মধ্যে কি, না শজিনা শাকে ঘি।
১৪৭।

কি কল্ল্যেম বাজারে গীত গেয়ে,
সাত সিকা উপায় কল্ল্যেম চৌদ্দ সিকা খেয়ে।

১৪৮। কুমিরকে কলা পাকা দেখাইয়া গঙ্গা পার।
১৪৯। কুল ডুবা বেটী, মূল ডুবা খাতক।
১৫০। কুলাতে জলপান করিলে তৃষ্ণা নিবৃত্ত হয় না।
১৫১। কুক্কুরে পেটে কি ঘি হজম হয়?
১৫২। কুমীর কে শন্নিপাত?
১৫৩। কুয়োর বেঙ সমুদ্রে বিশ্বাস করে না।
১৫৪।

কুটুমের তরে মারলেম্ হাঁস,
ছেলেপিলে খেলেক মাস।

১৫৫। কুঁড়ায় তো এত গর্ব্ব খুদ্ থাকলে নিত্যই পর্ব্ব।
১৫৬। কুঁদের কাছে কি বাঁক?
১৫৭। কৃক্‌লাশের বেড়া পর্য্যন্ত দৌড়।
১৫৮। কুঠারীর খাপ নাই, অবোধের পাপ নাই।
১৫৯। কেঁদে মান যেচে সোহাগ!
১৬০। কেউটানীর ঔষ্ঠাধরে ঘা।
১৬১।

কেন কল্লে ছি, ছি শুনে উঠেছি কাপড় কাচ্‌বা
কড়ি নাই তোমায় দিব কি?

১৬২। কেউট্‌ হলেই ঝোল হয় না।
১৬৩। কোথাও কিছু নাই নাগরের বাজনা বাজে।
১৬৪। কোথায় রাজরাণী আর কোথায় ছেঁড়া কানী।
১৬৫। কোন্ বা বিয়ে তা দুই পায়ে আলতা।
১৬৬। কোথাও যাও কাটনা কেটে ভাত খাও।
১৬৭। কোথাও কিছু নাই ঠাকুর দেখ এসে।
১৬৮। কোথাও কিছু নাই ক্ষুদে ভক্তার দলে গিয়াছে।
১৬৯।

কোন্ কথা না কাঁকাল ব্যথা,
তেল নাই তার রূক্ষ্মা মাথা।

খ।

১৭০। খয়রাৎ করা কি ভুতের ব্যবসায়?
১৭১। খাওয়াইলে বনের বাঘও বশ হয়।
১৭২। খাট ধল্ল্যে জম ছাড়ে না।
১৭৩। খুঁয়্যার তাঁতি মখ্‌মলে হাত?
১৭৪। খেলে জ্বর উপবাসে হয় পর।
১৭৫। খেলে পর না পাড়ে পাশ্‌ তার জানবে অল্প আশ।
১৭৬। কান পুত্রের নাম পদ্মলোচন।
১৭৭। খেতে জম কাজে কম্ কথা কয়তে মকর্দ্দম।
১৭৮। খেতে দেড়্যা কাজে গড়্যা।
১৭৯। খেলিতে জানিলে কানাকাড়িতেও খেলা করে।
১৮০। খেয়ে দেয়ে নেড়া নাচে কালকে গোবিন্দ আছে।
১৮১। খেতেপেলে মাশী পিষী না পেলে নির্বংশী।
১৮২।

খেতে লাজ শুয়ে কাজ, মৃদুভাবে হাঁসে,
বন্ধ্যা বোয়ের আদর, যেমন বনকেতকী ভাদ্রমাসে।

গ।

১৮৩। গত কাজে আফ্‌শোস্।
১৮৪। গড়্যা গরুর ভিন্ন গোট।
১৮৫। গঙ্গায় যাত্রা, মাশীর বার্ত্তা।
১৮৬। গরিবের রাগ পেটে পচে।
১৮৭। গড়ন না শড়ন, তায় তিন যায়গায় যোড়ন।
১৮৮। গণকের ঘরেই বিধবার মেলা।
১৮৯। গরজের আগে চাতুরী।
১৯০। গরজ বড় বালাই।
১৯১। গঙ্গা বল না দৈব্যই হৈল।
১৯২। গয়লার ক্ষমতায় গাভী বেচা।
১৯৩। গয়নার মধ্যে মালা কুটুমের মধ্যে শালা।
১৯৪। গাধা পিটলে ঘোঁড়া হয় না।
১৯৫। গাধা ছুঁচ ছাড়া সকলই বহে।
১৯৬। গাধা চলিলেই জল খায়।
১৯৭। গান থাকলে হুঁক, ডোম থাকলে মুক।
১৯৮। গাভী লও দুয়ে, বলদ লও ব্যায়ে।
১৯৯। গ্যাছো ইন্দু ল্যাজে চেনায়।
২০০। গাছে কাঠাল গোঁপে তেল।
২০১। গাছের ফল গাছের নীচেই পড়ে।
২০২। গাভীর বাঁটে দুধ নাই, দুগ্ধ ভাঁড় গয়লা চায়।
২০৩। গাই গয়লায় পিরিত থাকলে কাদার উপর দুধ দোহে।
২০৪।

গা খস্ খস্ পরে টেনা,
সেকি শোধে মহাজনের দেনা।

২০৫। গিঠের কড়িতে মদ খায়, লোকে বলে মাতাল।
২০৬।

গুরুর কথা যে না মানে,
প্রাণ যায় তার হেঁচ্‌কা টানে।

২০৭। গুয়ের কোনই পিঠ শুদ্ধ নয়।
২০৮। গুরু মারা বিদ্যা।
২০৯। গুঁড়ি কুট্‌তেই হল রাত, থাকুক পিঠা রাঁধ ভাত।
২১০। গুণ থাকলে কাঁদে, কেশ থাকলে বাঁধে।
২১১। গুরু নিন্দা অধঃগতি।
২১২। গুণা গোরু কি বাঘে খায়?
২১৩। গুঁঙ্গা কুকুরের বাঁচায় কি?
২১৪। গুটি পোকা নিজের সুতেই বন্দী।
২১৫। গো ব্রাহ্মণ বিরলে শুচি।
২১৬। গোবরিয়া পোকায় প্রদীপ নিবায়?
২১৭। গোরু, জোরু, ধান তিন রাখি বিদ্যমান্।
২১৮। গোউর পুত্র কি বামোন্‌কেই সাজে।
২১৯। গেঁঠে সোণা মুখে ঝলক।
২২০। গ্রামের শত্রু আর বাহিরের মিত্র সমান।
২২১। গ্রামে মানে নাই তার মণ্ডল নাম।
২২২। গ্রাম বড় তার বাগতী বাজার।
২২৩। গ্রামের মুড়য় বটতলা সাতাইশ ভূতের মেলা।

ঘ।

২২৪। ঘরভেদে রাবণ নষ্ট।
২২৫।

ঘর নাই তার দ্বোয়ার বাঁদে,
মাগ্ নাই তার ছেলে কাঁদে।

২২৬। ঘরে বসে রাজমহিষীকেও ডাইন বলে।
২২৭। ঘরে নাই ভাজা ভাং, পুত্রের নাম দুর্গারাম্।
২২৮।

ঘরে নাই সতের কড়া,
মিন্‌সে গিয়েছে শেকরা পাড়া।

২২৯। ঘর দ্বারটী তোর, চাবি কাটিটী মোর।
২৩০। ঘর না ঢুকতেই চাল বাজে।
২৩১।

ঘরের ভাত দিয়ে শক্‌নী পোষে,
গুয়ালের গোরু তেক্যে বসে।

২৩২। ঘরে ছেলে নাই, দরবারে ছেল্যের কিরে খায়।
২৩৩। ঘরে থাকে না বাঘ যখন, শিয়ালের জয়ধ্বনি তখন।
২৩৪। ঘরের বালাই বুড়ী, পেটের বালাই মুঢ়ি।
২৩৫। ঘর ভাংলে আঁধার ঘরে ভাত।
২৩৬। ঘর, বিভাগ, বর, এ তিন মাঘ মাসে কর।
২৩৭। ঘরে ভাত থাক্‌লে কাকের কি অভাব?
২৩৮। ঘরে নাই খরছি জনার খেয়ে মর্‌ছি।
২৩৯। ঘর কচ্‌কচিতে ঘর গৃহস্থের ধ্বংস।
২৪০। ঘরে ছুঁচোর কীর্ত্তন, বাহিরে কোঁচার পত্তন।
২৪১। ঘাশির সুখে রাজার মোকাম্।
২৪২। ঘাটের পাথরে সবাই পা ঘসে।
২৪৩। ঘ্রাণেই অর্দ্ধেক ভোজন।
২৪৪। ঘায়ের সন্ধান মাছি জানে।
২৪৫।

ঘি, রুটি, খায় কুকুর পাল্কী চড়ে যায়,
স্বভাব ভুলিতে নারে জুতর পানে চায়

২৪৬। ঘুরিল পাখী কয় দিনে কি সাত তাল নয়?
২৪৭। ঘোড়া, ঘোড়া, পান এ তিন না ফিরলেই যান।
২৪৮। ঘোড়ায় জিন দিয়ে এলেন কি?
২৪৯। ঘোলা জলে কি বড়শী বায়?
২৫০। ঘোড়ায় চিনে শোওয়ার।
২৫১। ঘোল মাগতে পেঁছনে ভাড়।
২৫২। ঘোড়ার ল্যাজে চামর হলে নিজের পাখা ঢাকায়।
২৫৩। ঘোড়া হলে চাবুক আটকায় না।
২৫৪। ঘোড়ার লাথি ঘোড়ায় সয়।

চ।

২৫৫। চণ্ডিপাঠও জানি জুত শেলাইও জানি।
২৫৬। চলিলেই চল্লিশ বুদ্ধি না চলিলে হতবুদ্ধি।
২৫৭। চল্ বল্‌তেই কাঁদে ঝোল।
২৫৮। চড়কের বেলায় রাম রাম।
২৫৯। চড় মেরে দণ্ডবৎ!
২৬০। চতুর সাগরে চরে পাখা ভিজে না।
২৬১। চড়ুই পাখীর জীবনটী ধন।
২৬২। চলতে পেরে না গদা বড় বীর।
২৬৩।

চরখা আমার পুত পৈতা, চরখা আমার নাতী
চরখার দৌলতে আমার দোয়ার বাঁধা হাতি।

২৬৪। চলতে চায় পদে পদে, চলতে নারে ফুট্‌কী মদে।
২৬৫। চর্ম্ম প্রিয় নয় কিন্তু কর্ম্মই প্রিয় হয়।
২৬৬। চাটণীর ঘরেও কি বাশি পিঠা।
২৬৭।

চাইল নাই, দাইল নাই, রঘু গোলদার।
দুয়াৎ নাই, কলম নাই কৃপারাম সরকার!

২৬৮। চারিদিকে ফাঁক, দ্বোয়ারে থাকে আঁক্‌।
২৬৯। চাঁই, ভুড়ুর ভাঁই, খেঁদা নাকে খোই ঢুকেছে, রাখুন গোঁসাই।
২৭০। চাস বড় রস কিন্তু চায় জন দশ।
২৭১। চারা দেখান হয়, ফাঁদ লুকান যায়।
২৭২। চাস কল্লেন ফোতার বাপ, বীহন বড় পুয়াল লাভ।
২৭৩। চাহিলে কি পাবে, মিষ্ট গাছের আমড়া নয় চামড়া শুদ্ধ খাবে।
২৭৪।

চাকুরে কুকুরে বিদ্যা ফিরে নেচে নেচে,
ব্যাপারে অপার দুঃখ চাসে রূপ নাশে।

২৭৫।

চাল ছেড়ে ভূঁইতে বাতা।
চাকরের ওজর কি?

২৭৬।

চাইল্ দাইল্ নাই, তার আগেই খাব;
কাপড় চোপড় নাই, কিন্তু মধ্যে শোব।

২৭৭। চিল নামলেই কুটা ওঠায়।
২৭৮। চিৎ মাতলেই গীত গাই।
২৭৯। চিন্ বা না চিন্ নূতন দেখে কিন্।
২৮০। চিটা, পিটা, কামার—মনিব কয় এরা নয় আমার।
২৮১। চেনা বামনের পৈতায় দরকার কি?
২৮২। চেটে খেতে কুলয় নাই, সর্ব্বৎ গুলতে চায়।
২৮৩। চোরের রাগে ভুঁইয়ে ভাত।
২৮৪। চোরে শুনে কি ধর্ম্মের কাহিনী?
২৮৫। চোর গােরুকে বাউরী রাখাল।
২৮৬। চোরের স্বাদ কি কাশি?
২৮৭। চোর মরে সাত ঘর লয়ে মরে।
২৮৮। চোর পলালেই বুদ্ধি বাড়ে।
২৮৯। চোর গোরু অপেক্ষা শূন্য গুয়াল ভাল।
২৯০। চোর যায়, পাঁজা লাভ।

ছ।

২৯১। ছাড়া তীর ফিরে না, মরা মানুষ আসে না।
২৯২। ছাতু খেয়ে মৈলাবাপ্ তার ছেল্যের বির্দ্দাপ।
২৯৩। ছাতের ডিংগলা ছাতকেই ভাল।
২৯৪। ছিঁড়লেই বাঁশি বাজে।
২৯৫।

ছিল মেছেনী হইল মহাজন, চিংগড়ি কে বলে কোন
মাছ?

২৯৬। ছিল ঢেঁকি হইল তুল, কাটিতে কাটিতে নির্ম্মূল।
২৯৭। ছুটলে হাতের শর, না চিনে আপন পর।
২৯৮। ছুঁয়ে যায় নাই তোকে, তায় দণ্ডবৎ কচ্ছে মোকে।
২৯৯। ছুঁচা মেরে হাত গন্ধ।
৩০০। ছুচার চাকর চাম্‌চিকা তার মূল্য পাঁচসিকা।
৩০১। ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি।
৩০২। ছেঁড়া তালায় শুয়ে হাজার টাকার স্বপ্ন।
৩০৩। ছেল্যে খেলাতে দিন গেল লোকে বলে ডাহিন।
৩০৪। ছেল্যে চেয়ে ছেল্যের বিষ্ঠা ভারি!
৩০৫। ছেলে হাগে বাঁচতে, বুড় হাগে মর্ত্তে
৩০৬। ছেল্যে নাহতেই কে
৩০৭। ছেঁড়া।
৩০৯।

ছোট লোকের মোটা কথা,
সইতে নারি যাই কোথা।

৩১০। ছোট লোক বিষয় পায়, ক্ষণে ক্ষণে দরবারে যায়।

জ।

৩১১। জলবহনকারী পিপাসায় মরে না।
৩১২। জল পিট্‌লে দূরে যায় না।
৩১৩। জলকে ছাতা ছাত্‌কে বাতা।
৩১৪। জমের মুখেও পেঁড়রা ভাজা।
৩১৫। জলে বাস করে কুমির সঙ্গে বাদ।
৩১৬। জমাতে লড়বড় খরচ দঢ়।
৩১৭। জলের তিলক কতক্ষণ?
৩১৮। জন্ জামাই ভাগ্‌না, এ তিন নয় আপনা।
৩১৯। জল (নদির) না দেখে নেংটা হওয়া।
৩২০। জন্ম হউক যথাতথা, কর্ম্ম হোক ভাল।
৩২১। জাতি গেলে প্রকৃতি যায় না।
৩২২। জামিন হয় দিতে গাছ চড়ে মর্ত্ত্যে।
৩২৩। জারজ ছেলে যমের অরুচি।
৩২৪। জামাতার ভাইয়ের আদর গজা রোলা
৩২৫। জাতি জাতি কাটে, লৌহে লোহা কাটে।
৩২৬। জাগ্রৎ পুত্রের বিনাশ নাই।
৩২৭। জাড় গেলে জাড়ারি, বয়েশ গতে খোঁপা।
৩২৮। জাড় বড়ই রাড়, বুড়র ভাঙ্গে খাড়।
৩২৯। জেগে থাক্‌লে তরি, ঘুমাইলেই মরি।
৩৩০। জীবন যায় নাই ছটপটের স্বাদ!
৩৩১। জোর যার মুলুক তার।

ঝ।

৩৩২। ঝকড়া পায় নাই কাযেই ঘুগি লিয়ে দৌড়ে।
৩৩৩। ঝলসা মাছি সুর্য্য উদয়ে ভয় পায়।
৩৩৪। ঝি মারলে বৌয়ের ত্রাস।
৩৩৫। টকের ভয়ে পলাই না তেঁতুল তলে বাস।
৩৩৬। টক পড়সী চোরা গাই, ভাঙ্গা ঘটি দুষ্ট ভাই।
৩৩৭। বাপ থাকতে ছেলে মুর্খ, তার জানবে চির দুঃখ।
৩৩৮। টাকার শোকে ইন্দুর মরে।
৩৩৯। টাকা শানে ফেলে চিনে।
৩৪০। টুঅরে করিলে দয়া, টুঅর দেখায় আঠারো মায়া।
৩৪১। টিটিভ পাখী আকাশের দিকে পা রেখে শোওশে।

ঠ।

৩৪২। ঠক্‌লেম যথা না শিখলেম তথা।
৩৪৩। ঠগ মার্ত্তে মথুরা উজোড়্।
৩৪৪। ঠাকুর ঝী ভারি, তার দণ্ডবতের জারি।

ড।

৩৪৫। ডাইনের হাতেই পো সঁপা।
৩৪৬। ডাঙ্গেতে চড়িয়ে রং দেখে পার্ব্বতী তোমারই ভরসা।
৩৪৭।

ডালে কেন জল ফলবেনা ফল
মূলে দাও জল, নয়ন ভরে দেখ্‌রে ফল।

৩৪৮। ডিংগে খুঁজিতে গুড়গুড়ির রাস্তা।

ঢ।

৩৪৯। ঢাকের আগে কাঁশির ধ্বনি।
৩৫০। ঢেঁকিতে মাথা দিয়ে ধমশের ভয়।
৩৫১। ঢেঁকী স্বর্গে গেলেও ধান ভানে।

ত।

৩৫২। তপস্যা ভুঞ্জয়ে মহী।
৩৫৩। তপ্তজলে কি ছাত পুড়ে।
৩৫৪। তাঁবুতে আর কপনীতে।
৩৫৫।

তাই বলি কেন এত ভারি,
আধ পয়সার আদা কিনে বয়ে বয়ে মরি।

৩৫৬।

তুই ডাঁড়কা মুই ডাঁড়কা একই খালের মাছ,
তোকে ও খাবে মোকেও খাবে কাঁকাল ধরে নাচ।

৩৫৭। তুরূক, তোতা, খরগোস এই তিন মানে নাই পােষ।
৩৫৮। তুমি দাদা দৌড় আমি বশে হাপছি।
৩৫৯। তুম্‌ব্বার ধনে যোগির অহঙ্কার।
৩৬০। তুলাতে কি গুণ ফাটে
৩৬১। তাড়াতাড়ি বিয়ে কর, চির কাল জ্বলে মর।
৩৬২। তেল তামাকে পিত্ত নাশ, যদি থাকে বারো মাস।
৩৬৩। তে মাথাকে হারামজাদা খুর?
৩৬৪। তাের জায়গায় মাের ঘর, যা করবার তাই কর।
৩৬৫। তৃষ্ণা তৃষ্ণা বলিলে তৃষ্ণা মিটে না।
৩৬৬। তৃপ্ত বকের পুঁঠী তিতো।
৩৬৭। তৃষ্ণায় থাক্‌লে জলের আদর।

থ।

৩৬৮। থর থরানি দায়ে, ফর ফরানী পেয়ে।
৩৬৯। থাক বা না থাক বাপু কাপড় না পাইবে।
৩৭০। থােড়া দেনা বহু বিনয়।
৩৭১। থুথু দিয়া ছাতু মলা।

দ।

৩৭২।

দক্ষিণ দ্বারি ঘরের রাজা, উত্তর দ্বারি ইহার প্রজা,
পূর্ব্ব দ্বারি তাহার ভাই, পশ্চিম দ্বারির মুখে ছাই।

৩৭৩। দশে অর্জ্জে দশে খায়, লাভের কেতায় গেরস্ত বলায়।
৩৭৪। দশের সঙ্গে করি কায, হারি জিতি নাহি লাজ।
৩৭৫। দশের লাঠী একের বােঝা।
৩৭৬। দশের সঙ্গে যদি না মরি তবে চক্ষু মুদি।
৩৭৭। দরিদ্র দোষে শত গুণ নাশে।
৩৭৮। দশ বাচা গুরূ রূপী।
৩৭৯। দয়ার পর ধর্ম্ম নাই, হিংসার পর পাপ নাই।
৩৮০।

দরবারে গিয়ে যায় নাই ভিতর,
বার থেকে করে পুকার বিস্তর।

৩৮১। দাম দিয়া মদ খায় শুড়ির তোষামোদ।
৩৮২। দাতার ইচ্ছা কর্ম্ম, নাড়া বনে কীর্ত্তন।
৩৮৩। দাদার ছুরী খানি বাম্‌দিকেই চলে।
৩৮৪। দায়দেকে খৈসে মিলতা।
৩৮৫। দিতে ও মর্ত্ত্যে কেউ চায় না।
৩৮৬।

দিন চক্ চক্ রাত ঘোর, তবে জেন বর্ষার জোর;
রাত চক্ চক্ দিন ঘোর, তবে জেন দুর্ভিক্ষের জোর।

৩৮৭। দিব্য কল্ল্যে আশ থাকে, মার্‌ব বল্ল্যে ভয় থাকে।
৩৮৮। দিন যায় কথা থাকে।
৩৮৯। দিন যাক্ ঋণ না হোক্।
৩৯০। দিন মাইনা বৎসর কড়া, প্রাতঃকালে ঝাঁটার মুড়া।
৩৯১। দুর্ভিক্ষমপি শরণং চিরায়ু।
৩৯২। দুষমন্‌কে উচ্চ আসন।
৩৯৩। দূরে থেকে পর্ব্বত শোভা।
৩৯৪। দুধলী গাভীর নাথিও মিটে।
৩৯৫। দূর রাস্তাকে শলাও ভারি।
৩৯৬। দুধে বাড়ে বল, শাকে বাড়ে মল।
৩৯৭। দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন, রাজধর্ম্ম।
৩৯৮। দুঃখীকেই রাজরোগ।
৩৯৯।

দূরে থেকে শুন্‌লেম বাজনার পরিপাটী
কাছে গিয়ে দেখলেম চাম আর দুইটী কাঠি।

৪০০। দুসীমাতে করে ঘর রাজাকে না দেয় কর।
৪০১।

দুঃখ গায়তে গেলাম পত্যার মার কাছে,
পত্যার মা কয় আমার সদাই দুঃখ আছে।

৪০২। দূরে যশ, নিকটেই অপযশ।
৪০৩। দেখা বামুনের নয় গাছা পৈতা।
৪০৪। দেবতা গড়তে গড়তে ভুত গড়া।
৪০৫।

দোজ বারের মাগ্ তুমি রেঁধনা,
চা'ল্ ভিজিয়ে খাব, তবু কেঁদ না।

ধ।

৪০৬। ধনেশ্বর ভূমীশ্বর গর্ব্বে মগ্ন বরাবর।
৪০৭। ধনীর কি কন্যার অভাব?
৪০৮। ধন্য রাজা ধন্য দেশ যদি বর্ষে মাঘের শেষ।
৪০৯। ধন যৌবন জন থাকে আড়াই দিন।
৪১০। ধল্ল্যে চোর নয়লে চেঁচিয়ে মর।
৪১১। ধরিস্ বেটী ছুস্‌না।
৪১২। ধন হতে ধর্ম্ম বড়।
৪১৩। ধর জঁটে না সেই বটে।
৪১৪। ধর কুকুর ভিক্ষাও কায নাই।
৪১৫। ধরে বেঁদে পীরিত হয় না, ঘসলে মাজ্‌লে রূপ হয় না।
৪১৬। ধাইলে ধন মিলে না।
৪১৭। ধার্ম্মিক লোক পৃথিবীর ভূষণ।
৪১৮।

ধাদাঁরে ভাই ধাদাঁ, মানিক ঘোড়া উড়ে গেল,
লেজটী থাক্‌ল বাঁধা।

৪১৯। ধান, পান, পানি এ তিন আশ্বিনে চিনি।
৪২০। ধেনু ফিরাইলেই ধনঞ্জয়।
৪২১। ধোপার কুকুর না ঘরেই না ঘাটেই।

ন।

৪২২। নদী হেন সীমা, রাজা হেন সাক্ষী!
৪২৩।

নরাগজা বিশেষয় তার অর্দ্ধেক বাঁচে হয়।
বাইশ বলদা তেরো ছাগলা, সাত সাতাশে মরে হেংলা।

৪২৪। নয় মোন তেলেও হবে না, রাধাও নাচিবে না।
৪২৫। নরুনীর তীক্ষ্ণ ধারে গাছ কাটায় না।
৪২৬। নদী পেরুতে পাল্ল্যে কেউট্ রাজা।
৪২৭। নরমের ধার অতি তীক্ষ্ণ।
৪২৮। নদী, নখি, সৃঙ্গীনারী বিশ্বাস করিলে হয় ভিখেরী।
৪২৯। না ধেড়ি না কশী ধোপা চেয়ে তাঁতি বেশী।
৪৩০। নামেতেই তাল পুকুর।
৪৩১।

না জানি সিতে, না জানি পিতে,
আহার অন্বেষণে থাকি এক চিতে।

৪৩২। নাপিত দেখ্‌লেই নখ বাড়ে।
৪৩৩। নাচরে বাবা হনূমান্ খেতে পাবি মর্ত্তমান্।
৪৩৪। নাকে কাজ না বায়ুতে কাজ।
৪৩৫। না খেয়ে খোদার বন্দি।
৪৩৬। নাথির দেবতা কি ফুলে তুষ্ট।
৪৩৭। নাইরে আমার সেদিন, এক খিলি পান দুদিন।
৪৩৮। নারী, বারি, তরি, যত্নে রক্ষা করি।
৪৩৯। না মল্ল্যে স্বর্গ দেখে না।
৪৪০। নামি বড় পেঁচারাজা।
৪৪১। নালিতে জল যায়, ছিদ্রে ছিদ্রে তালি দেয়।
৪৪২। নাচেরে সাগর‍্যা কুমার, বিনা কড়িতে পুকুর আমার।
৪৪৩। নাচে ভাল কিন্তু পাক দেয় মন্দ।
৪৪৪। নাচ বৌ, না পা তুলাই আছে।
৪৪৫। নিত স্বপ্নে বাঘে খায়, বল কদিন তার ভাল যায়।
৪৪৬।

নির্ধন্যের ঝী আটকুড়কে, দি,
তার আর গমন পড়ন কি?

৪৪৭। নিত্য রোগিকে কতই ঔষধ।
৪৪৮।

নির্ধন্যের ধন হলে দিনে দেখে তারা।
নি-ভাতারী ভাতার পেলে বাসে বাপের পারা।

৪৪৯। নিঃ স্বার্থিরে ভগবান্ স্বার্থি।
৪৫০।

নির্লজ্জকে কতও বল নেই অপমান,
সজ্জ্বনের এক কথায় মরণ সমান্।

৪৫১।

নীচের পুত্রে যদি পায় রাজ্যভার,
তিলসম জ্ঞান করে জগত সংসার।

৪৫২। নির্গুন সর্পের কুলর মত ফেনা।
৪৫৩।

নির্লজ্জ নাচে ঠেটাঁ গায়,
অপর তিনকুল খেয়ে সেই দেখ্‌তে যায়।

৪৫৪। নিজের পরমায়ু ও পরের ধন অল্প দেখে না।
৪৫৫। নিজের ঘোড়ার ঘাস কাটায় লজ্জা নাই।
৪৫৬। নীর নারী সর্ব্বদা নীচে ধায়।
৪৫৭। নীচে যদি উচ্চ ভাসে, সুবুদ্ধি উড়ায় হেসে।
৪৫৮। নুতন যোগীর ভিক্ষায় মন্।
৪৫৯। নেংটার মুলুকে কাপুড়্যে ভাঁড়।
৪৬০। লেবু চটকালে তিতো।
৪৬১। নেড়া মাথায় খোঁচার ভয়?

প।

৪৬২। পর মন্দ পুরী ক্ষয়।
৪৬৩। পথের বিষ্ঠায়, জমে ভয় পায় না।
৪৬৪। পরকে আগোড় দিয়ে নিজে জেগে শোওয়া।
৪৬৫। পত্র পাত্র ফোঁটা এই তিন না করিও ছোটা।
৪৬৬। পর ধনে বিক্রমাদিত্য।
৪৬৭। পরের জন্য গর্ত্ত্য খুঁড়ে অবশেষে নিজে পড়ে।
৪৬৮। পর্ত্ত্যে হবে সাঁখা, মুখ করোনা বাঁকা।
৪৬৯। পথে পেলেম কামার, ফাল পেজে দে আমার।
৪৭০। পরে তসর খায় ঘি, তার কড়ির ব্যয় কি?
৪৭১। পরের মুড় নাপীতের ক্ষুর, প্রাণ করে দূর দূর।
৪৭২।

পরের কাপড় ধোপার লাষ,
ধোপা কয় মোর বারোমাস।

৪৭৩। পরের দেখে করি হায়, যা থাকে তাও যায়।
৪৭৪।

পর হালদা পর বলদা পর সিংহা
তিন বৎসর বায়লে নরসিংহা।

৪৭৫। পরিশ্রমের অসাধ্য কিছুই নাই।
৪৭৬। পরের দান আধখানী, তায় কি যায় স্বাদখানী।
৪৭৭। প্রতি ডুবেই কি শঙ্খ মিলে?
৪৭৮। পরের মাথায় দিয়ে হাত, দিব্য করে নির্ঘাৎ।
৪৭৯। প্রত্যয় করেছে কাণা হাটে চোক বিকয়।
৪৮০। পাঁচড়ার কুটকুটী, চুলকতে চুলকতে গেল নোক কটি।
৪৮১। পান্ত ভাতে বেগুণ পোড়া খিঁচড়িতে ঘি।
৪৮২। পাঁতা গেলে ও নাতা যায় না।
৪৮৩। পাপ এবং রোগ গুপ্ত রাখিলে নিজের ক্ষয়।
৪৮৪।

পাশ লটপটে, দু কান্ কাটা, ত্রিভুবন দেখালে চিল বেটা;
কেন কর টুভ টুভীর ঘা, অন্য স্থানে টুভ টুভাবি যা।

৪৮৫। পাপ হৃদয়ে সাঁতার দেয়।
৪৮৬। পাথর না ভিজে মুর্খ না বোঝে।
৪৮৭।

প্রাতকালে প্রাতক্রিয়া, পুত্র থাকতে বাপের বিয়ে,
হল তো হল নয় তো গেল।

৪৮৮। পাপে থাকলেই জমের ভয়।
৪৮৯। পিঠার ভিতর গুড় করে হুড় হুড়।
৪৯০।

পির সাহেব বলেন আমি সিন্নি নাই খাব
উমি চাঁদ বলে গিন্নি টেনায় গুঁজে দিব।

৪৯১। পিপঁড়ার পাঁখা বেরোয় মর্ত্ত্যে।
৪৯২। পিপঁড়ের পক্ষে প্রস্রাবেই বান।
৪৯৩। পুরুষের নাম সবাই জানে ওগো বলে ডাকে।
৪৯৪। পূর্ব্বে কড়ি পশ্চিমে দড়ি।
৪৯৫। পূর্ণীমার চাঁদে আর ভল্লুকের কাঁধে।
৪৯৬। পুত্র শোকের স্বান্ত্বনা আর কুষ্ঠ রোগের ঔযধ।
৪৯৭। পূআলের আগুণ গোআর পোহার।
৪৯৮। পুত্রকে পুত্রও গেল তার সঙ্গে শওয়া হাতের কপিণ ও গেল।
৪৯৯। পুত্রের মা, বাহিরে কাজের মা ভিতরে।
৫০০। পুরুষের দশ দশা।
৫০১। পুরান চাউল ভাতে বাড়ে।
৫০২। পেট ভরে খেতে হয়, খাট ভরে মর্ত্ত্যে হয়।
৫০৩। পেট ভরিলেই গোবিন্দ রাজা।
৫০৪। পেয়াদার শ্বশুর বাড়ী, বেঙের সর্দ্দী।
৫০৫। পোষা কুক্কুরও কামড় মারে।
৫০৬। পোড়া ঘাএ নুনের ছিটে।
৫০৭। পো নামে পোয়াতি বাঁচে।

ফ।

৫০৮। ফল পাকলে মিঠা, মানুষ পাকলে তিতা।
৫০৯। ফলেন পরিচিয়তে।
৫১০।

ফাঁকি রাজা, ফাঁকি প্রজা, ফাঁকি দেবতার নাম
দেবীর নাম ফাঁকীশ্বরী, ফাঁকে ফুঁকে পূজা সারি।

৫১১। ফোঁড়া ফুটলে কষ্ট ভুলে।

ব।

৫১২।

বৈষ্ণবের পদধুলী পড়ে যাঁর ঘরে;
সর্ব্বাংশে নির্ব্বংশ হয়, ভিঠায় ঘুঘু চরে।

৫১৩। বনের গ্রামে শিয়ালই রাজা।
৫১৪। বড় মাছের কাঁটাও সুস্বাদ।
৫১৫। বড় গঙ্গা পেরিয়ে এলেম্ খড়ে কিসের কি?
৫১৬। বহু বুদ্ধে দিগেরী, হতবুদ্ধে ভাগ্যারি।
৫১৭। বহু ভক্তি চোরের লক্ষণ।
৫১৮। বশি তো নগর, চষিত সাগর।
৫১৯। বড় লোকের ঝী, লেখা পূজীয়ে দি।
৫২০। বর কন্যা রাজি তো কি করিবে কাজি।
৫২১। বর্ষাতেও গাভীর স্তন ভিজে না।
৫২২। বর মরুক বা কন্যা মরুক ডোমের মজুরী যাবার নয়।
৫২৩। বর্ব্বর লোকেই সূর্য্য দেখ্‌তে প্রদীপ জ্বালায়।
৫২৪। বসে বসে খেলে সমুদ্রের বালিও কুলায় না।
৫২৫। বনের ওল্ আর বাঘা তেঁতুল।
৫২৬। বরং মর্‌ব ভুখে তবু ঝড় জলে থাকি সুখে।
৫২৭।

বসে থাক্‌রে বক আমার আশে,
আমি আসিব কার্ত্তিক মাসে।

৫২৮। বসলে ক্রোশ্ আহারে প্রহর ঘটে।
৫২৯। বাঘ চিন্‌লেন গোপাল দাস মহিষের মতন সিং।
৫৩০। বাড়ীর গাছা পেটের বাছা।
৫৩১। বাদলে বাদলে বেলা যার, সিয়ানা বৌ তিন বার খায়।
৫৩২। বাড়ীতে একটা নটে শাগ, যারে না দি তারই রাগ।
৫৩৩। বাটলে মরে না কিন্তু কাট্‌লেই মরে।
৫৩৪। বাঘ লাজালে মাটী কামড়ায়।
৫৩৫। বগালের স্বাদ কি দরবার?
৫৩৬। বাঘে ছুঁলে আঠারো ঘা।
৫৩৭। বাশি পড়লে কুত্তায় খায়।
৫৩৮। বাঁশের বনে ডোম কানা।
৫৩৯। বাপের কালে চাষ নাই, ভালুকের সঙ্গে মিতা।
৫৪০।

বাপের বিছানা নেকড়া কেঁথা,
বেটার মাথার ভোজপুরের ছাতা।

৫৪১। বাপ মারে নাই মণ্ডুক, পুত্র পুরন্দর।
৫৪২। বাঁশ মরে ফুলে, মানুষ মরে বুলে।
৫৪৩। বাঁদরের চুল হলে বাঁধিতে জানে না।
৫৪৪। বাঁদরের সম্পত্তি গালেই থাকে।
৫৪৫। বারো উনন্ তেরো খামার, যথা যাই তথায় আমার।
৫৪৬।

বাবলাতে চন্দন দিলেও বাবলার গন্ধ মিটে না,
যার যে প্রকৃতি তা মরিলে ও ছেটে না।

৫৪৭। বানিজ্যে বশতে লক্ষ্মী।
৫৪৮। বাড়ীর ভিতর তেঁতুল তাল, দুঃখ থাকে সর্ব্ব কাল।
৫৪৯। বাপ পণ্ডিত বেটা মুর্খ ডাক বলে তার সদাই দুঃখ।
৫৫০। বামন হয়ে চাঁদে হাত।
৫৫১। বাঁদ লক্ষ্যে চাস, কুটুম লক্ষ্যে বাস।
৫৫২। বাঁদরের হাতে শালগ্রাম, ঘুঁসতে ঘুঁসতে যায় প্রাণ।
৫৫৩। বাপ মারে নাই ফড়িঙ্গ, পুত্র বরকন্‌দাজ।
৫৫৪। বাপ বড় বাপের নাম ডুবিয়ে হরে শুঁড়ির নাতি।
৫৫৫। বারো বৎসরে গোবিন্দ দ্বাদশী।
৫৫৬। বাঁদা খেকঁড়া বালকের বশ।
৫৫৭। বাঘের দক্ষীনা প্রাণ দান।
৫৫৮।

বামুন ঠাকুর বামুন ঠাকুর চা’ল চিবাইতে পার,
আপন নারি পরের পারি যত দিতে পার।

৫৫৯। বালানাং রোদনম্ বলং।
৫৬০।

বামুনকে বস্ত্র দান ভিন্ন তার শানা,
বামুনকে গোরুদান এক চক্ষু কানা,
বামুনকে ভূমিদান চাস কর্‌তে মানা।

৫৬১। বামুন, বাদল, বান, দক্ষিনা পেলেই যান।
৫৬২। বিশকর্ম্মার বেটা বাইশকর্ম্মা।
৫৬৩। বিয়ে না হতেই উঠনে নাচ্।
৫৬৪। বিনা বুঝে কচু খেলে, তেঁতুল কোথায় মিলে।
৫৬৫। বিদ্যারত্ন মহাধন।
৫৬৫। বিনা লক্ষে বাজি হয় না।
৫৬৭। বিশাল শেওড়া অপেক্ষা চন্দনের এক চটাও ভাল।
৫৬৮।

বিমাতার শ্রদ্ধা গড়গড়্যে পিঠের ঝোল শান বান
শান তলে যায় বান্।

৫৬৯। বিদ্যাশূন্য ভট্টাচার্য্য।
৫৭০। বিপদের বেলায় ভগবান্।
৫৭১। বিশ্বাসে মিলে বস্তু তর্কে বহুদূর।
৫৭২। বীর্য্যবানের হাঁক সহজে কি যায় ফাঁক?
৫৭৩। বিড়ালের ভাগ্যে শিকাঁ ছিঁড়েছে।
৫৭৪। বিনা সোহাগায় সোনা গলে না।
৫৭৫। বেচা গোরুর দাঁত দেখায় লাভ কি?
৫৭৬। বিষম জনের ফেউ বুঝতে নারে কেও।
৫৭৭। বুড় ঘোড়া টাট পুরানা যে বেচে সেই শিয়ানা।
৫৭৮। বেটার মুরদের কি সীকা পচা মাছে দেয় গিমা।
৫৭৯।

ব্যাপারে অপার দুঃখ চাষে রূপ নাশে,
চাকূরে কুকুরে বিদ্যা ফিরে নেচে নেচে।

৫৮০।

ব্যাপার করিতে গেলাম ভবনদীর কুল,
কেউ কল্ল্যেক ডবল ব্যাপার কেও হারালেক মূল।

৫৮১। বেল্ পাক্‌লে কাকের কি?
৫৮২। বেঁঠে মানুষ চল্‌তে, লম্বা মানুষ নলতে, ভাল।
৫৮৩। বৈরাগীর জাত্‌ নাই, গঙ্গার ঘাট নাই।
৫৮৪। বোঝার উপর শাকের আঁটী।
৫৮৫। বৌ, বিড়ালী, মাছি এই তিন নাই বাছি॥
৫৮৬। বৃদ্ধ বেশ্যা তপস্বিনী।

ভ।

৫৮৭। ভল্লুকের অল্প ঘা নখে বৃদ্ধি করে।
৫৮৮। ভক্তির বশ ভগবান্‌।
৫৮৯। ভক্ত জন ঈশ্বর প্রিয়।
৫৯০। ভাজা খাবে তো তেলের ব্যয়।
৫৯১। ভাতের আদর তেলে চিনায়।
৫৯২। ভাত খেতে ভুতে কিলায়।
৫৯৩। ভাত থাকিলে কাকের অভাব নাই।
৫৯৪। ভাত খাইয়া পথ চলে আপনি মরে দৈবের দোষ।
৫৯৫।

ভাই বিনা ধন নাই যদি না করে হিংসা,
ধান বিনা ধন নাই যদি না পড়ে ভূষা।

৫৯৬। ভাবনাতে মরিল ভবানী তপ্ত ভাতে আমানী।
৫৯৭। ভাঙ্গা হাড়ি ঠাঁয়ে দঢ়।
৫৯৮। ভাই হয়ত বদল সয়।
৫৯৯। ভাই ভাই, ঠাঁই ঠাঁই।
৬০০। ভাঙ্গা ঘর চাঁদের আলো যদিন যায় তদিন ভাল।
৬০১। ভাটের চুপ চুপ ব্যবসার হীন বেন্যার দান ঠাকুর হীন।
৬০২। ভাগের মা গঙ্গা পায় না।
৬০৩। ভাবিতে উচিৎ ছিল প্রতিজ্ঞা যখন।
৬০৪। ভাংগা জিনিসই ভাংগে।
৬০৫। ভাগ হইতে ভাগ্য বড়।
৬০৬।

ভাল ভরসা কল্লেম তোমার, প্রতিপালন করবে আমার,
কিন্তু এই কল্ল্যে শেযে, যে নাই রাখ্‌লে দেশে।

৬০৭। ভাগ্যের ভাগী সবাই, দুর্ভাগ্যের ভাগী কেও নাই।
৬০৮। ভিক্ষায় নাই নাই!
৬০৯। ভুত শাস্ত্রের গুঁত দক্ষীনা।
৬১০। ভুতের কোথায় জন্ম দিন?
৬১১। ভুতকে স্বর্গদ্বার দেখান।
৬১২।

ভূত পিশাচ্ যে করে শাধন,
মরণান্তে হয় তার নরকে গমন।

৬১৩। ভেখেই ভিক্ষা মিল্‌তা।
৬১৪।

ভোখা যায় মাগ্‌ বেচিতে,
ধ্বনি চায় বন্ধক রাখিতে।

৬১৫। ভোজ ভোজ ভোজ আপনার পাতে পড়লেই ভোজ।

ম।

৬১৬। মন খুঁজে ধন জিহ্বা‌ খুঁজে নুন।
৬১৭। মরার উপর খাঁড়ার ঘা।
৬১৮। মরিল না সরিল।
৬১৯। মরণ, ধরণ, পানি বরাহ কয় এতিন নাই জানি।
৬২০। মলয়া গিরিতেই চন্দন আছে।
৬২১। মরতে গেছে না, খাড়াদম দাঁড়িয়ে আছে।
৬২২। মর্দ্দ বড় রিংগে, মাগ্ বয় ধনুক তীর, ভাতার বাজায় সিংগে।
৬২৩। মনের ধন জাহাজেও চলে না।
৬২৪। মরা তামলী জলে ভাসে কাগ্ বলে কোন্ ছলে আছে।
৬২৫। মরা হাতি লাক্ টাকা।
৬২৬। মরি কি মারি হারি কি পারি।
৬২৭। মাসী বলতে মায়ের দেখা।
৬২৮। মাছ ধরতে গেলেই কাদা লাগে গায়ে।
৬২৯। মাসী কান্দছেন কেন? না বাছা মুখটাই এইরূপ।
৬৩০। মাতাল নিজের প্রস্রাবে চাঁদ দেখে।
৬৩১। মাগো মা যে ডালে বশি সেই ডালই ভাঙ্গে।
৬৩২। মানিলে দেবতা নইলে পাথর।
৬৩৩। মার হতে ধাক্কাই বেশি।
৬৩৪। মারিলে অমর মরে।
৬৩৫। মাছের মায়ের আবার পুতের শোক!
৬৩৬। মা থাকিলে কি মাসীর জন্য কাঁদে।
৬৩৭। মান বড় না পান বড়।
৬৩৮। মামার বেলায় আমার, ভাগ্‌নার বেলায় হুঁ।
৬৩৯। মাগ তো মুখ খাবে।
৬৪০। মা জানে বাগ, মন জানে পাপ।
৬৪১। মাছের মধ্যে রুই, শাকের মধ্যে পুই।
৬৪২। মা খায় ধান ভেনে, ছেলে খায় এলাইচ্‌ কিনে।
৬৪৩। মাথায় বাঁদতে নেকড়া নাই তবু চাঁদয়ার বরাৎ।
৬৪৪। মাংসে ছুরী, হাড়ে কুঠারি।
৬৪৫। মানুষ ও হেতার, চেনা যায় না।
৬৪৬। মাথা নাই তার মাথা ব্যথা।
৬৪৭। মা মরেছে ঘরেও ভাত নাই।
৬৪৮। মাকড় মারলে ধকড়।
৬৪৯। মামার ঘর, আর ডুমুর তল সমান।
৬৫০।

মাসী, পিষী বন কাপাসী, বনের মাঝে ঘর,
কখন না বল্ল্যে মাসী খই লাড়ুটী ধর।

৬৫১। মাস, নাস, উপবাস এতিন করে সর্দ্দীনাশ।
৬৫২। মিছা কথা ছেঁচা জল বেশী দিন রয় না।
৬৫৩।

মিনিসুরে গীত গায়, স্ত্রী মল্ল্যে শ্বশুর ঘর যায়,
সাঁখা হাতি ঘুঁটে কুড়য় এ কয়জনকে মর্ত্তে জুয়ই।

৬৫৪। মিনসে যে হেঁসে কথা কয় এতো গতিক ভাল নয়।
৬৫৫। মুর্খ পুত্র যমের সমান।
৬৫৬। মুর্খের বল চুপ থাকা।
৬৫৭। মুর্খও বুঝেনা পাথরও ভিজে না।
৬৫৮। মুচির শাঁপে কি গােরু মরে?
৬৫৯। মুর্গীর পায়ে তেল দেওয়া আহম্মকের কর্ম্ম।
৬৬০।

মুড়ি বল, চিড়েঁ বল, ভাতের মত নয়,
মাসী বল, পিষী বল, মায়ের সমান নয়।

৬৬১। মুরদারের চুল কাট্‌লে কি হালকী হয়?
৬৬২। মেঘ হলেই বৃষ্টি হয় না।
৬৬৩। মরে রে ফড়িঙ্গা কালগু হেগে।
৬৬৪। মােটকে করতে ছােট্ ভারি।

য।

৬৬৫। যত কু ও আমের ক্ষয় তাল তেঁতুলের কিবা হয়।
৬৬৬। যত্র বায়ু তত্র শীত মাঘে মেঘে একই রীতি।
৬৬৭। যতদিন থাকে ধান, ততদিন শুপারী পান।
৬৬৮। যখন ঘাড়ে বসে চাপ্ তখন ডাকে বাপ।
৬৬৯। যত হাসি তত কান্না, বলে গেছে রাম সর্ম্মা।
৬৭০। যত্র আয় তত্র ব্যয়।
৬৭১। যথা শপ তথায় লাঙ্গুল।
৬৭২। যখন যার দশা ভাঙ্গে কোঠাঘরেও তায় বাঘে খায়।
৬৭৩। যত দ্বারী অঙ্গ নাড়ে তত কড়ি ঝরে পড়ে।
৬৭৪। যদি গুরু দাঁড়িয়ে প্রস্রাব ফিরে তবে শিষ্য পাক্‌দিয়ে

প্রস্রাব ফিরে।

৬৭৫। যদি কনে থাকে দুষ্য, তবে বিয়ে অপেক্ষা অমনি থাকা ভাল।
৬৭৬। যার পিতাকে শাপে খায় সে রসি দেখে ডর পায়।
৬৭৭। যার ধারি নাই সে মূলে মূলে চায়।
৬৭৮। যার খায় নুন, তার গায় গুণ।
৬৭৯। যার ধন সে নিলে লুটে মর বেটা তুই শুরকী কুটে।
৬৮০। যার মাড়ায় মাড়া নয় পেঁচা হয় রাজা।
৬৮১। যার কাজ তাকেই সাজে অন্যকে লাঠি বাজে।
৬৮২। যার ছেলের বিয়ে সে পাই নাই গুয়া।
৬৮৩।

ঘারে দেখি নাই সে বড় সুন্দরী,
যার হাতে খাই নাই সে বড় রাঁধুনী।

৬৮৪। যার সঙ্গে মোর চলন বাঁকা তার সঙ্গেই নিত্য দেখা।
৬৮৫। যা থাকে শিশে তা যাবে কিসে?
৬৮৬। যার যায় তার যায়, ধোপার খালি একমুঠ ক্ষার যায়।
৬৮৭। যার বিয়ে তার মনে নাই পাড়া পড়সীর ঘুম নাই।
৬৮৮। যার খুন তার গর্দ্দান।
৬৮৯। যার ঝি তার জামাই, পাড়াপড়সীর কাটনা কামাই।
৬৯০। যার যত যহৎ তার তত মহৎ।
৬৯১। যার মুখ দেখলে ঘৃণা পায়, তাকে কি বাঘে খায়?
৬৯২। যা না করে হাজারে তা করে হুজুরে।
৬৯৩। যাচ্‌লে হিরে বিকায় না।
৬৯৪।

যাচ্‌লে জামাই খায় না ভাত।
পেটের জ্বালায় চাটে পাত্।

৬৯৫। যার শীল তার নোঢ়া, তারই ভাঙ্গি দাঁতের গোড়া।
৬৯৬। যার যেমন মন, তার তেমন ধন।
৬৯৭। যার লাঠি তারই মাটী।
৬৯৮। যার লেগে করি চুরি সেই বলে চোর।
৬৯৯। যার নাম ভাজা চাইল তারই নাম মুড়ি,

যার মাথায় পাকা চুল তাকেই বলে বুড়ী।

৭০০। যার ঘন সে পায় না এলোয় খায় দই।
৭০১। যার বলদ না বইল হালে, তার দুঃখ সর্ব্ব কালে।
৭০২। যার ঘরে রামধনী তার কিসের কমি।
৭০৩।

যা রে মর্দ্দ দূর মাঠে ভুয়া দাখ্‌লে লয়ে হাতে,
যখন খাবি আদানুন তখন জানবি আমার গুণ।

৭০৪। যা না দেখ চক্ষ্যে তা মানিও না গুরুর বাক্যে।
৭০৫। যেমনই বা হৌক জ্বর তিন উপবাস ধর্যে কর।
৭০৬। যেমন রাধা তেমনি শ্যাম রূপে গুণে অনুঠাম্।
৭০৭। যেমন আখন তেমনি ঢাকন বুচহাঁড়ি তায় ভাঙ্গা ঢাকন।
৭০৮। যেমন গর্জ্জে তেমন বর্ষে না।
৭০৯। যেমন বঁধু পান খাইকা তেমনি চামের বুট।
৭১০। যে জল বয় তার কি তৃষ্ণা পায়।
৭১১।

যে যত পায় সে তত চায়
যে যত খায় সে তত লালায়।

৭১২। (য যাতে রটে তার তাতেই ঘটে।
৭১৩। যে জন চড়ে সেই জন পড়ে।
৭১৪। যেমনি কুকুর তেমনি মুগুর।
৭১৫। যে এলো ধেয়ে সে থাক্‌ল চেয়ে, যে ছিল বসে সে খেলে কোশে।
৭১৬। যেমন গুরু তেমনি চেলা, মাগে হরিতকী দেয় ভাল।
৭১৭। যে থাকে ভাণ্ডে তা নাই ব্রহ্মাণ্ডে।
৭১৮। যে দেয় অঙ্গে তায় যায় সঙ্গে।
৭১৯। যে যায় লংঙ্কা সেই হয় রাক্ষস।
৭২০। যেমন গুরু তেমনি চেলা, টক ঘোল তায় ছেঁড়া মালা।
৭২১।

যে মাটীতে পড়ে লোক উঠে তায় ধরে,
বারেক নিরাশ হলে কি করিতে পারে।

৭২২। যোগীর বলদ বালাই।
৭২৩। যোগীর গীতে ভনিতা নাই।
৭২৪। যোগেই যোগী সিদ্ধ।

র।

৭২৫। রস্ বিটী সয়ে সব যাবে বয়ে।
৭২৬। রাগি, দাগি, ডাংগি এ তিন ধর্ম্মত্যাগী।
৭২৭। রাড় ঝুকলেই লাথি সার।
৭২৮। রাজার কাছে কি কোটালের দোহাই।
৭২৯। রাম ডিঙ্গুয়া ফতে খাঁ যথা ইচ্ছা তথায় যা।
৭৩০। রাজা হবে তো খাবে কি?
৭৩১। রাজার তীর সোজাই ছোটে।
৭৩২। রাজভক্তি প্রজার উচিৎ কার্য্য।
৭৩৩। রাজার দলবদ্ধ আর রোগীর মলবদ্ধ।
৭৩৪। রাজার ঘরের ঘি আঁচল পেতে নি।
৭৩৫। রাজ আজ্ঞা বনবাস।
৭৩৬।

রাঁড়ের ধন যোয়ারের পানি
সিকে বাংগীতে টানাটানী।

৭৩৭। রাঁড়ের বুদ্ধি তিন কিলেই ছাড়ে।
৭৩৮। রাঁড়ের স্বপ্ন তল সুতা।
৭৩৯। রূপ নাচে সুর গায় তবে দেখ্‌তে মন যায়।
৭৪০। রূপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী।
৭৪১। রেড়ীর বনে বিরলই বাঘ।
৭৪২। রোগের মধ্যে কাস ঘাসের মধ্যে কাশ।
৭৪৩। রোগের লেশ্ শত্রুর শেষ না থাকাই উচিৎ।
৭৪৪। রােক্‌ মজুরী, চোখাদেনা।
৭৪৫। রৌদ্র কি কুরণ্ডের ঔষধ?
৭৪৬। রৌদ্রে ছাতা জলে খর যে না করে সে বর্ব্বর।

ল।

৭৪৭। লক্ষ্মীর মা ভিক্ষা মাগে।
৭৪৮। লণ্ড গুরু ভণ্ড চেলা হরিতকী চাইলে দেয় ভেলা।
৭৪৯। লাগা চোরে কি জাগা মানে।
৭৫০। লা লােহা লবণ তিন বেচে যবন।
৭৫১। লা লোহা তসর তিন বহেন ঈশ্বর।
৭৫২। লাভের গুড় পিঁপড়ে খায়।
৭৫৩। লিখিব পড়িব মরিব দুঃখে, মাছ ধরিব খাইব সুখে।
৭৫৪। লুটে এনে কুটে খায়, বল তার কদিন যায়।

শ।

৭৫৫।

শতকে সুপারি হাজারে পান,
লক্ষ ঠাকায় পালকীতে যান।

৭৫৬।

শতেক ধেনু হাজার গোলা,
কি করে তার আকাল শালা।

৭৫৭। শরণে মরণ নাই।
৭৫৮। শরীর খানী মহাশয় যা সহাবে তাই সয়।
৭৫৯। শতেক কাককে এক তীর।
৭৬০। শরীরং ব্যাধি মন্দিরং।
৭৬১। শত মারি ভবেৎ বৈদ্য সহস্র মারি চিকিৎসকঃ।
৭৬২। শাস যতক্ষণ আশ ততক্ষণ।
৭৬৩। শাকের উপর নুন নাই তায় মরিচ গুঁড়।
৭৬৪।

শিশিরের ভয় কি পড়েছি সমুদ্র নীরে,
ডুব্‌তে ডুব্‌তে গিয়ে দেখি পাতাল কত দূরে।

৭৬৫। শির নাই তার শিরঃপীড়া।
৭৬৬। শৃগালের বিষ্ঠায় ঔষধি হয় শৃগাল শুন্য পাহাড়ে বাহ্যা যায়।
৭৬৭। শিখ্‌লি কোথা না ঠেকলাম যথা।
৭৬৮। শ্বেত চামরে আর ঘোড়ার লেজে।
৭৬৯। শুঁড়ির সাক্ষী মাতাল।
৭৭০। শুঁড়ির মণ্ডল আঘুরীর রায় বলতে বলতেই স্বর্গে যায়।
৭৭১।

শুন শুন শ্বশুর ঘরের গুণ, বেগুণ পােড়া আলোনা
থাকে কচু পােড়ায় নুন।

৭৭২। শুয়ে জাগে খেলেই হাগে, এমন ছেলে যমের লেগে।
৭৭৩। শুকর মারবার সােনার তীর।
৭৭৪। শােনা, কানা, ভনা, সত্য কয় না এ তিন জনা।

ষ।

৭৭৫। যাঁড়ের গোবর কোন কার্য্যের নয়।

স।

৭৭৬। সবুরে মেওয়া ফলে।
৭৭৭। সবে ধেনু, রামকানু, লয়ে এলেন সিংগাবেনু।
৭৭৮। সরস্বতীর কাছে পাঠের বিচার।
৭৭৯। সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে।
৭৮০। সমস্তু রাত পড়ালেম' “ক” প্রাতে পড়ে দন্ত্য “স”।
৭৮১। সব হারায়ে লাউয়ে চাপড় হায় রে আমার কুম্‌ড়া।
৭৮২। সব কুকুরই গঙ্গা নাইলে পাত চাট্‌বে কে?
৭৮৩। সকল বাঁশে চামর বাঁধে না।
৭৮৪। সখীরে সখী আপনার মান আপনি রাখি।
৭৮৫।

সকল জাতি পোষ মানে যার থাকে ল্যাজ দুজাতি
কেবল পোষমানে না মানুষ বেঙ।

৭৮৬। সহরের কুকুর বাহিরের ঠাকুর সমান দর।
৭৮৭। সব শিয়েলের একই “রা”।
৭৮৮। সকল ভুতের উদ্ধার গয়াতে, কিন্তু গয়ার ভুতের

উদ্ধার কোথায়?

৭৮৯। স্বর্গেই যাব, না লাড়ুই খাব?
৭৯০। স্বতীন ভাল কিন্তু কাঁটা ভাল নয়।
৭৯১। স্বনয়নে সুবর্ণ বর্ষে।
৭৯২। স্বাদ হয় সাধু হতে, ভয় পায় ছাব নিতে।
৭৯৩। সাধু, চোরের বাণী লক্ষণ দেখে চিনি।
৭৯৪। সাঁতার না জান্‌লে বাপের পুকুরে ডুবে মরে।
৭৯৫। সারাদিন খাটালে সন্ধ্যেবেলা খালি হাতে পাঠালে।
৭৯৬। সাঁখাহাতি সাঁখানাড়ে পাগল বলে মোর জন্য ভাত বাড়ে।
৭৯৭। সাপে খায় কিন্তু সাপের মুখ খালি থাকে।
৭৯৮। সাতকাণ্ড রামায়ণ পড়ে সিতা কার ভার্য্যা?
৭৯৯। সাঁখের করাৎ যেতে আসতেই কাটে।
৮০০। সাজ করতেই করতেই সব ফুরাল।
৮০১। সাপের সামনে বেঙ নাচে।
৮০২। সাধে কি বিরাল উঠে গাছে।
৮০৩। সাহসের অসাধ্য কিছুই নাই।
৮০৪। সেজে গুজে পেঁচা রাজা।
৮০৫। সাধে কল্লেম ভাতার না সেও হলেন ছাতার।
৮০৬। সাধুজন ঘাটের পাথর, ছোট বড় পা ঘসে তবু করে না উত্তর।
৮০৭। সিতা রামের বাণী আবাতেল আধাপানী।
৮০৮। সিদ্ধি খেলে বুদ্ধি বাড়ে গাঁজা খেলে লক্ষী ছাড়ে।
৮০৯। সিঁদ কাটতে ভুঞা তসীল করতে মিঞা।
৮১০। স্ত্রী বুদ্ধি প্রলয়ং কুরু।
৮১১। স্থিরজলে পাথর কাটে।
৮১২। সুদুই লসফস পুঁটলীতে গুড় নাই তার পাতা গোটা দশ।
৮১৩। সুঁচ হয়ে প্রবেশ করে ফাল হয়ে দাঁড়ায়।
৮১৪। সূর্য্য কি হাতের আড়ে লুকায়?
৮১৫। সুখে থাক মোর চুড় বাঁশি কত শত মিলবে দাসী।
৮১৬। সুভস্য শীঘ্রং অসুভস্য কাল হরণং।
৮১৭। সোনার চুড় বাঁকাও ভাল।
৮১৮। সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠে না।

হ।

৮১৯। হরি নামের মালা বলেই কি বোঝা?
৮২০। হরিণ সিংহে মাছি বসতে দেয় না।
৮২১।

হাটে মাঝি বাটে মাঝি ঘরে এল ছেলের বাপ্
ছাতু খাবে তো ঢেঁকিতে চাপ।

৮২২। হা করতে করতেই ফোঁপসা গুণি।
৮২৩। হাতির পিছনে কুকুর ডাকে।
৮২৪। হাতি কি হাতে ঠেলা যায়?
৮২৫। হাতের আলস্যে গোঁপ নষ্ট।
৮২৬। হাঁসে যায় বরযাত্রি যাঁকে লাগে কড়ি পাতি।
৮২৭। হাগু হাগু মরণং, লেখ লেখ লেখনং।
৮২৮। হাতে মুখে দই, তবু বলে কই কই।
৮২৯। হাতে পাঁজি মঙ্গল বার।
৮৩০। হাতের সাঁখা দর্পণে চেনায়।
৮৩১। হাতে খায় মুখে লালায়।
৮৩২। হাবা তাঁতির উলুবনে সাঁতার।
৮৩৩। হিং গেলে কি হিংগের গন্ধ যায়।
৮৩৪। হুড়মুড় যাত্রা যা করেন বিধাতা।
৮৩৫।

হেংলামনের ঠিক নাই সকল দেব পূজে,
যখন যার প্রভা দেখে তখন তাকে ভজে।

৮৩৬। হেল্যা যায় হাল নিয়ে বিধাতা যান তুল নিয়ে।
৮৩৭। হেলায় কার্য্য নাশ।
৮৩৮। হেঠ হতে পারলেই হয় শ্রেষ্ঠ।
৮৩৯। হেরে গেলেই মানের খর্ব্ব।

হিন্দির কতকগুলি দোহা

ও চলিত প্রবাদ।

অ।

১।

অতি নাহি বর্ব্বব অতি নাহি চুপ!
অতি নাহি বর্ষা অতি নাহি ধুপ।

২। অজড়িয়াকে কাহি গোস্ত নেড়িয়্যাকে সাত কাঁহি দোস্ত।
৩। অহির, গড়রিয়া, ফঁসিয়া তিন জনমসে সত্যা নাশিয়া।
৪। অদাঁত অশ্বী, দো দাঁত গাই, মাঘ মহিষী, চৈৎ বিরালী।

আ।

৫।

আশী বুদ্ধি হিলে ঝুলে, ষাট্ বুদ্ধি চিৎ পাতাং।
শৃগালের একই বুদ্ধি পইলে করে প্রয়াণ।

৬।

আদর নাহি ভাব নাহি যাঁহি নাহি প্রেম
তুলসী দাস কহে মৎ যাও যদি নিত্য বর্ষে হেম।

৭।

আবাদ করে ঝাঁটি ঘড়ে, ঝঁটি ফসল খায়।
রাজা হোকে অন্যায় করে তো ফরিয়াদি কাঁহা যায়।

৮।

আট হাত অহিসে ডরিয়ে ষাট হাত মাতওয়ালা
অনেক হাত উয়সে ডরিয়ে জিন্‌কে নাম সুরৎওয়ালা।

৯।

আপহি সে করে পাপ আপহি সে লিখে
লাগায় সে ঠঠরবাজী বৈঠী রং দেখে।

১০। আপ ভালা তো জগৎ ভালা।
১১। আপরূচি ভোজন, পর রূচি সিংগার।
১২। আমদানী নহি রপ্তানি কাঁহা।
১৩।

আশকরত করত যুগ বিতা, হিল পর গিরতা
নহি এসা কপাল কি ফের যো আবাল হুয়া ফিন্।

ই।

১৪। ইচাতানা টেং পাশানা, গর্দ্দন খাট এহি জান ঠগ্‌কী নিশানা।

ঈ।

১৫। ঈশ্বর কো কইনা দেখে পরন্তু আকেল সে পয়ছান্‌তাহৈ।

উ।

১৬। উত্তম খেতি, মধ্যম বান্, নির্ঘিন চাকরী ভিখ নিদান্‌।

এ।

১৭।

একনর ভুলে দোনর ভুলে ভুলে জগত সংসার,
জান শুনকে যোনর ভুলে উসকে না ওয়ার না পার।

১৮।

এসা বাৎ কহি যো কইনা কহে ঝুট।
এসা জাগাপর বৈঠি যো কইনা কহে উঠ।

১৯।

এসা কভি না দেখি যে কুহি শির পর কাগ
বিধিকা নিয়ম মিটৎ নহি যে বিল্লি পাকড়ে বাঘ।

২০। এক খুড়কীমে ক্যা উখড়ী।
২১। এভি কহে এভি নহি ধরমকে বাট কুছ নহি।
২২। এক যোড়া পাঁয়রী, ঘন ময়্যা ঘন ধিয়া।

ক।

২৩। কধি ঘন্‌ঘনা, কধি মুঠি চানা, কধি অহমানা।
২৪।

কথনী কথে সো পুত হামারা বেদ পড়ে সো নাতী
করণী করে সো গুরূ হামারা হাম হৈ উনকী সাঁথি।

২৫।

ক্যা কহে কিসমত কি বাৎ,
মুর্গীনে মারা মুজকো তিন লাৎ।

২৬। কমলা ছাড়ে তা কমলী না ছাড়ে।
২৭।

ক্যা কঁহু কুছ কহা না যায় কহা বিনা রহা না যায়,
কাল মার খায়্যা হৈ, ফির আজ আয়্যাহৈ।

২৮। কাহা রাজা ভোজ, কাঁহা ভজুয়া তেলি।
২৯। কেৎনা কেৎনা ডট্ বহগয়্যা, গাধা কহে, কেতনা পানি।
৩০। কারিগরী সফেৎ আয়ী অব ক্যা দেখরে ভাই।
৩১। কাহনেমে ভারি ভুরি, ভাগনেমে এক তেয়ারি।
৩২। কানা পাঁড়ে পাঁওলাগী, না, নিকে রাহা পুতা।
৩৩।

করম হীন সাগর গয়ে যাঁহা রতন কা ঢেউ,
করতল ঘংগী মিলে এহি করম্ কা ফেউ।

৩৪।

কপটীকা কণ্ঠিক্ বন্দ পাখাণ্ডী তীলক ধারি,
ঝুট্‌বাৎ তুলসী মালা, গলে রাখে পাশরী,
মায়্যাকী গুলাম গিদি।
ক্যা জানে বন্দিগী।

৩৫। কোন্ গলি না খসমলি।

খ।

৩৬।

খাটে খাটাওয়ে তিন গুণ পাওয়ে
কাঁধপর ছাতা তো আধা পাওয়ে
আওর যো ঘর সে পুছে বাৎ
ইস্ শাল থোড় থোড়ি, আগেশাল হায় ভাত।

৩৭। খাণ্ডাকি দোন তরফ ধার।
৩৮।

খাতেথে শাক সাতুয়া সুতেথে টাট্ আব, খানে লাগে
ঘিহু রোটী শোতে লাগো খাট্ তো ভুল গয়ও টাট্।

গ।

৩৯। গুড়কী লেড়ুয়া টেড়ুয়া ভি আচ্ছা হৈ।
৪০। গোঁওমে কর চাস্, বে গোঁওমে কর বেপার।
৪১। গোঁশয়াজী মরণে গেল, দোন কাঁথা হামারে ভেল
৪২। গুরূ করো জানকে, পানি পিও ছানকে।

ঘ।

৪৩।

ঘসে ঘস ঘস করে ঘুর ফির লেয় পানি তেরে মনমে
যোবৎ সো মৈনে জানি।

৪৪। ঘরমে নাহি খরচী, জুনারা খাকে মরছি।
৪৫। ঘুসল্ ছোট্ নেহায় পর।

চ।

৪৬।

চলনা ভালা নহি কোশ ভর, দুহিতা ভালা নহি
এক চাহনা ভালা নহি বাপ সো যো বিধি রাধে টেক্।

৪৭। চৈৎ ধাওয়ে বৈষাখ শোওরে,
৪৮। চাক্‌ দেখি চিকন্ দেখি তলং দেখিয়ে নিকা ভিতর

ভিতরকে তরফ দেখিয়ে দে হাঁড়ি এক সিঁকা।

৪৯। চিঠিয়া চাকর টেঁটু ঘোড়া, খায় বিস্তর কাম থোড়া।
৫০। চোরনী চোরাওয়ে, কপিলা মায়ী বাঁধি গয়ী।

ছ।

৫১। ছুঁচা কো কোন্ পুচ্ছা।

জ।

৫২। জল্‌হা চোরাওয়ে নলী নলী খোদালেই একেবেরী।
৫৩।

জঙ্গল কাটকে ক্ষেত বনায়্যা উসম বোয়া ধান।
আগে খায় চোর চণ্ডাল পিছে খায় কিশান্।

৫৪।

জব খোদা দেখা তব ছপ্পর তোড়কে দেগা,
জব খোদা লেগা তব রক্তি হাগুয়াকে লেগা।}}

ঝ।

৫৫। ঝুট বাড়া পাপ নহি সচ্ বড়া পুন্ নহি।
৫৬। ঝুট কহি তো থােড় কাহে?

ট।

৫৭। টেরা কি মেরা থােড়ী রােজ কি ডেরা।
৫৮। টাকাসে শুদ পিয়ারা বেটা সে নাতী।

ত।

৫৯। তুরূক তোতা, খাের ঘোস তিন না মানে পােষ।
৬০। তুঝাড়ু মৈ শুপ দনাে সমধীনকী একই রূপ।
৬১।

তুলসী জপতপ পুজিয়ে সব গড়িয়াকে খেল
যব প্রিয় সে সরােবর হই তাে রাখ পেটারি মেল।

থ।

৬২। থােড়া খানা বানারসমে রহনা।
৬৩। থোড়া দেনা বহুত বিন্তি।

দ।

৬৪।

দরদীকে দরদ বাতাওয়ে আধা দরদ লেয়,
বেদরদীকে দরদ বাতাওয়ে তাে দুনো দরদ দেয়।

৬৫। দাতা সে সুখ ভালা আগে করে জবাব।
৬৬। দাতা দান করে ভাণ্ডারীকে পেটফুলে।
৬৭।

দুনিয়ামে দোন বৈরি বৈরাগী আওর উট্,
তুলসী করে নির্ম্মল পিপড় করে ঠুট।

ধ।

৬৮।

ধন, রূপ, গুণ কারণে প্রীত করে সবকই,
তুলসীদাস প্রীত করে যো এই তিন ছাড়া হই।

৬৯।

ধরম করম দুর গয়া হৈ পাপ হুয়া হৈ ভারি,
গুরূকে আজ্ঞা দূরগয়াহৈ জোরূকে আজ্ঞাভারী।
গাভী দুহকে কুত্তা খিলাওয়ে তিস্‌কে বাছুর ভােখা,
উত্তম ভােজন সালাকে খিলাওয়ে বাপনা পাওয়ে রূখা।

ঘরকে রণ্ডি বিগড় গয়ী, চিৎ চোরাওয়ে দাসী
কলি যুগকা অজপ তামাসা দেখলাগে মুজকো হাঁসি।

৭০। ধনমে ধান্দা
৭১।

ধিরকীট্ মিরকীট্ ধরতী সহে বনরায়
সাধু সহে কুবচন জৈসে দরিয়াঔকে বুদঁহৈ।

ন।

৭২। নাচ না আওয়ে, আঙ্গন্ টেড়া।
৭৩। নাও, কাও শৃগাল এ তিন বড়ি তরকার।
৭৪। নারী নহি চোখি ছুরী মৎলাগাও অঙ্গ

দশ মুণ্ড কি রাবণ গয়ে পরনারীকে সঙ্গ।

৭৫। নাক না কান, আওর বিচ্‌মে দোকান
৭৬। নওয়াকী বরীয়াৎ ঠাকুরে ঠাকুর।

প।

৭৭। পাঁও পলককী খবর নাহি আওর কাল্‌কে করে আশা।
৭৮। পড়ে ফারসী বেচে তেল দেখ কুদরৎকী কেশা খেল।
৭৯।

পতি বিনা সুরৎ ফিক্কা ধন বিনা ফিক্কা মান,
গোরস বিনা ভোজন ফিক্কা, বিনা সুপারী পান।

৮০।

পিরিত করকে দাগা নহি দেনা,
মন মতি আরও দুধ ফাটে পর নহি রহতে সোনা।

৮১।

প্রিতম্ পিরিত লগাকে দূর দেশ মৎ যাও,
বশিও হামারে নগর পাস্ হাম মাঙ্গে তুম খাও।
যৈ বাঁশু পাহাড় পর কি তু বশে যমুনা কে তীর।
আবকা মিল না কঠিন হৈ কি পাওপর পড়ে জাঁজির।

ব।

৮২।

বকুলা বৈঠে দরখৎ বিগাড়ে, মজলীস বিগাড়ে ভাঁড়
চুগলী সে রাজ বিগাড়ে, ঘর বিগাড়ে রাঁড়।

৮৩। বহুত বহুত কাগোঁকে বিচমে বিরলে বিরলে সফেদ কাগ হৈ।
৮৪। বন পোড়ে সবকই দেখে অন্তর পোড়ে কইনা না দেখে।
৮৫। বৈঠলে রজপুত্ উঠলে অজগুৎ বহুতে সোজ্ তো হাঁসুআ বরাবর।
৮৬। বাহির তো টীকা ফোকা ঘরমে ভুজল্ মহুয়া ফোকা।
৮৭। বাঙ্গালী গোঁ বুঝি গিরে। না রহে বাঙ্গালী তো কহি একবাৎ।
৮৮। বারো রজপুত তেরো চুলা।
৮৯।

বিপদ বরাবর সুখনহি যো থোড়া দিন হই,
ভাই বন্ধু মৈত্রতা জান পড়ে সবকই।

৯০। বিবীজি ভেলা যব জবর মিঞাজি গেলাতর কবর।
৯১। বুন্দে বুন্দে তালাও ভরে।

ভ।

৯২।

ভাটকে ভালা বোলনা চলনা বহুড়িকে ভালা চুপ।
ভেককে ভালা বর্ষা বাদর অজকে ভালা ধুপ।

৯৩।

ভুলগয়ে বাঁক পাটা ভুলগয়ী পাগড়ী,
তিন চিজ ঘটগয়ে নুন তেল লকড়ী।

৯৪। ভৈঁষাকে আগে বীন্ বাজাও পরন্তু ভৈঁষা পঘুরায়।

ম।

৯৫। মরদকে বাৎ আওর হাতিকে দাঁত।
৯৬। মন চাঙ্গা তো কঠোতে গঙ্গা।
৯৭। মক্কর, শক্কর কা ঘানী আধা তেল আধা পানী।
৯৮। মুখমে হরি বগলমে ছুরী।
৯৯।

মক্ষী বৈঠে মধুপর পাঁখগয়ী লিপটাই,
হাত মলে শীর ধুনে লোভ কষ্ট না যাই।

য।

১০০। যব হোগা মরণা, তো ক্যাইে চুপচুপ করনা।
১০১। যব খোদা দেগা তব ছপর তোড়কে দেগা।
যব খোদা লেগা তব রক্তি হাগুয়াকে লেগা।
১০২। যব লো জল রহে হংশা মছরী চুন্ চুনকে খাগা।
১০৩।

যব জল সুখেগা, মীন মরেগা,
তব কাঙ্কর চুন্ চুন্ খাগা।
তোবি কাঁহিনা কধি জাগা।

১০৪। যিন্ কো বাৎ নহি উনকো জাত নহি।
১০৫। যো, নাহৈ আপসে, সো না হয় বাপসে।
১০৬।

যো পুতর নিশী বাসর প্রিয়ে,
ওয়ে পুতর চণ্ডাল, কহলাওয়ে।

১০৭।

যে লকড়ী ঘুণ লাগত হৈঁ ভালা হুয়ে নাফির,
সো, চিন্তা মনমে ভই, বুদ্ধি বল ঘটতো শরীর।

১০৮। যো হৈ সিয়ানা, সো আগে করে বিছানা।
১০৯। যো হৈ স্থিরা সহি হৈ আমিরা।
১১০। যে পড়ে খহর তো না ছড়ি শহর।
১১১। যো হৈ জগতকে নাথ সো নহি লকড়ি,

জিসমে দেহ, প্রাণ বাঁচে সো না হৈ সঁখড়ী।

র।

১১২।

রং বুঝে রসিকা সুজন বুঝে আন্,
ঢেঁকী বেচারা ক্যা বুঝে যো নিত কুটে ধান।

১১৩। রাঁড় কি ঘরমে মাড়কি ঝগড়া।
১১৪।

রাঁড়, ষাঁঢ়, সিঁড়ি, সৈব্যাসী,
এসব সে বাঁচে তো সেওয়ে কাশী।

ল।

১১৫।

লড়কে চালাওনা, বেঙ্গ কো তৌল করনা মুস্কীল হৈল
লোভি গুরূ লালচি চেলা দোন নরকমে ঠেলম ঠেল।

১১৬। লড়তে লড়ে পাঠান্ জলা কহে মেরা জঙ্গ লড়তা হৈ।
১১৭। লোহকট্, চুলকট্, চামকট এ তিন জনম সে ছরকট।
১১৮। লাদে খেদে চরাওয়ে গাই সচ্ কহে তা সত্যা না যায়।
১১৯।

লাঠি মে বহুত গুণ সদা রাখিয়ে সং,
নদী নালা অগম্ জল তাঁহা বাঁচাওয়ে অং।

১২০।

লিপ্পাৎ কে চৌকাকীয়ে, কিযে অজ পশু ঘড়াই,
উড় মঞ্ছি চৌকাপর বৈঠে বুড়গয়ী চতুরাই।

১২১। লেনা দেনা খারা খারি খাওয়া পিয়া ভায়্যা চারি।

শ।

১২২। শিখ্ পিখ্ শিখ্ পড়োশীকে শিখ্।
১২৩।

শােমে শুর হাজার মে কানা, লাখোঁপর ইচাতানা,
ইচাতানা করে পুকার।
করজুআসে রােহো হুসিয়ার।

স।

১২৪। সঁয়্যাকে আর্জ্জন ভয়্যাকে নাম।
১২৫।

সচকহে জগমারন্ধিরা ঝুট কহে পরতীত
গাঢ় পর কুছ কামন আওয়ে সম্পৎকআসব হিত।

১২৬। সাতপাঁচ যাঁহা বজর পড়ে তাঁহা।
১২৭। সাথিমে না লাংগােঠা, নবাবকে সাথ আঁটা আঁটী।
১২৮।

সাতুআ আতুয়া সেন্‌বা গেনবা তব না খেইবা।
ঘি খিচঁড়ি চট্‌পট্।

১২৯।

সগরে জঙ্গল ঢুঁড়িগয়ী কাঁহি না মিলে তুলসী,
নেম ধরম কিধর গয়্যা চারপায় নীচে ভরসী।

১৩০।

সুম কো দিয়া ধন, লেলা কো দিয়া নারী
ময়ুর কো দিয়া রূপ, তো দিয়া বনমে ডারি।

হ।

১৩১। হরদীকে রং, আওর বিদেশীকে সং সমান্ হৈ।
১৩২।

হাটারী বাজারি কামিনা গুলাম,
রােজ রোজ ফজিয়ৎ জুতা হরদম।

১৩৩।

হিরা হিরিকী কঠরী যাঁহা তাঁহা মৎখোল
যাঁহা হিরাকী পরখী তাঁহা হিরাকি মােল।

১৩৪। হিম্মতে বাঁন্দা মদতে খােদা।
১৩৫। হুজুতে বাঙ্গলা হিন্মতে চিন্।
১৩৬। হুব করে তো কর শকে।

কতকগুলি হিয়ালী এবং প্রহেলিকা।

১।

অনন্ত ধরিল ফণা সঙ্করের মাথে,
চক্রবর্ত্তী থুইলেন পাথর ল্যাজেতে।
অন্ধকের অন্ধ সেবা করে দিবারাতি,
সময়ে সময়ে ছিদ্রে দিয়ে থাকে কাঠি।
অষ্টাঙ্গ থাকিতে তার মধ্যে দেয় ফল,
পর্ব্বত বিদর‍্যে যেন পড়িতেছে জল।

উঃ। কলঘানী।
২।

অনলেতে জন্ম তার নলে করে ভর,
জলের ভিতরে থাকে কপটি অন্তর।
এক জীব মারে আর এক জীব পোষে,
কবিবর হিয়াঁলীর ছন্দে যাহা ঘুষে।

উঃ। বড়িশী কাঁটা
৩।

অনল সমান ক্ষেতি নাহি তাতে চাষ।
তাতে নাহি কাদা পানি নাহি তাতে ঘাস,
তাহাতে বুনিলে শস্য় হয় তো প্রচুর,
হেঁয়ালীর ছন্দে কবিকঙ্কনের সুর।

উঃ। ভাজা খোলা ও ভাজাশশ্য।
৪।

অশ্ব নয় রজ্জু নয় নাহি তার পা,
চালায় সারথি রথ, পশারিয়া পা,
বায়ুবেগে সে বিমান ঘুরে শীঘ্র গতি।
রথের উপরে কভু না বশে সারথি।

উঃ। কুম্ভকারের চক্র।
৫।

ঈশ্বর নির্ম্মিত ঘর নাহি তার দ্বার।
তাহার ভিতরে থাকে ঋষির কুমার।
বলিষ্ঠ হইলে পুত্র ঘর চুর্ণ করে,

কবিবর বলে যাহা হিঁয়ালীর সুরে।
উঃ। তােসরগুটী।
৬।

কাট মাটি আর ফল তিনে এক তনু,
উপরে রবির তাপ শিরে চিত্রি ভানু।
দুনয়নের মধ্যে থাকে দময়ন্তির পতি,
হিঁয়ালীর ছন্দে রচি বলে ভিখে তাঁতি।

উঃ। হুঁকা।
৭।

গণ্ডার সমান বীর শিরে খড়্গধর।
মাথাতে জটার ভার দুই চক্ষু ডাগর,
কুলার মত ল্যাজ তার হাতির মত ঘাড়।
ভিতরেতে মাংস তার উপরেতে হাড়।

উঃ। চিঙ্গড়ি মাছ।
৮।

জল মধ্যে জন্ম বটে নগর মধ্যে বাস।
জন্মিয়ে মাতার দুগ্ধ না করিল আস,
হেন পুত্র অদ্ভূৎ, মাতার পার্শ্বে মরে পুত্।

উঃ। লবণ।
৯।

জল মধ্যে জন্ম বটে নহে কুম্ভমীন্
ত্রিকোণ শরীর তার মধ্যে একচিন্।
যাত্রাকালে নাম তাহা যাত্রা ভাল হয়,
হিঁয়ালীর ছন্দে কবিকঙ্কনে যা গায়।

উঃ। “র”।
১০।

নাক, মুখ, চক্ষু আছে ইথে নহি ভ্রান্ত,
সর্ব্বাঙ্গ শরীর আছে কিন্তু নাই দন্ত,
প্রথমে মানুষ খেত এই কালে নয়,
হিঁয়ালীর ছন্দে কবিকঙ্কনে যা গায়।

উঃ। সর্প খোলস্।
১১।

পঙ্কেতে জন্মতার মরিলে সে ডাকে।
গায়েতে ছাল নাই বিধির বিপাকে।

উঃ। সঙ্খ।
১২। বিধাতার সৃষ্টি দেখ একি চমৎকার।
গর্ব্ভেতে শরীর তার অপূর্ব্ব সংসার।
উঃ। ঝিনুক বা শামুক।
১৩।

বিষম চাকরী যার তর নাহি পায়,
গুনি নয় জ্ঞানী নয় সারাদিন গায়,
হিরে নয় মানিক নয় সারারাত জলে।
কবিকঙ্কন বলে তাহা হেঁয়ালীর ছলে।

উঃ। গাম্‌ছা।
১৪।

বিঘৎ পরিমাণ গাছটী ছাতার মত পাতটী।
যে জানে কলটী সেই তুলে ফলটী।

উঃ। কুম্ভকারের চক্র ও ঘাট।
১৫।

প্রথম প্রহরে প্রভু ঢেঁকি অবতার,
দ্বিতীয় প্রহরে প্রভু ধনুকেটংকার।
তৃতীয় প্রহরে প্রভু কুকুর কুণ্ডলী,
চতুর্থ প্রহরে প্রভু বেন্যার পুট্টলী।

উঃ। নিদ্রামগ্ন শরীর।
১৬।

ছিলাম যখন শিশুকালে তখন মেরেছিস্ আপন বলে,
এখন যদি মারিস মােকে তবে বলি মর্দ্দ তােকে।

উঃ। মাটীর পাত্র।
১৭।

রাজাও নয় বাদশাও নয় চড়ে যায় কাঁধে,
চোর নয় ডাকাৎ নয় ধরে আনে বেঁধে,
মূষীক নয়, ইন্দুর নয় দাঁতে কাটে মাটী,
দিঘী শরোবর নয় মধ্যে এক জাঠি।

উঃ। নাঙ্গল।
১৮।

লম্ফে লম্ফে যায় বীর, দুটী পা ঘােড়া,
মুখেতে কাবারী থাকে নহে সে ঘােড়া,
খাওয়াইলে খায় বিস্তর না দিলে না খায়,
হেঁয়ালীর ছলে কবিকঙ্কনে তা গায়।

উঃ। ঢেঁকি।
১৯।

শনক পুরে ঘর তার নাম সনাতন,
পৌষ মাস এলে পুষ্প করে বরিষণ,
চৈত্র মাস হলে পর শিরে ধরে জটা,

কবিকঙ্কন বলে তাহা খেতে বড় মিঠা।
উঃ। শজিনা ফুল ও ফল।
২০।

কাননে জন্ম হয় ত্রিভঙ্গ সুঠান,
বুকেতে আবৃত শুল মুখে একবান,
দূর দূর শব্দ করে সুরভী বাহনে,
হিয়ালীর ছন্দে কবিকঙ্কনে তা ভনে।

উঃ। হাল ফাল এবং হেল্যা গোরু।
২১।

মহল ভিতরে থাকে নয় কারো নারী,
সূর্য্যের কিরণ সহেনা অতি সুকুমারী,
বৃদ্ধ কালে অতি মিষ্টী তরূণেতে সিঠা,
কবিকঙ্কনে বলে ইহা খেতে বড় মিঠা।

উঃ। পাকা পান।
২২।

রাত্রিতে জনম যার দিবসে মরণ,
যে ঘরেতে জন্ম পায় সেই ঘরে ক্রন্দন,
শন হেঁয়ালীর ফন্দি মুর্খ কি বুঝিবে,
পণ্ডিতের পক্ষে যাহা সহজ হইবে।

উঃ। সিঁদ কাটা।
২৩।

দু অক্ষরে জন্ম যার সর্ব্ব লােকে খায়,
প্রথমের আকার গেলে শুনে লাগে ভয়।
দু অক্ষরে আকার দিলে দেহােপরি রাখি,
তদুপরি ‘তা’ দিলে আদর করে ডাকি।

উঃ। জাম, জম, জামা।
২৪।

ছিল মুঢ়ি হইল সাপ,
কবি বলে কি হইলরে বাপ।

উঃ। শজিনা ফুল ও ডাঁটা
২৫।

ছুঁছের মত মুখতার করাতের ধার,
শিব নয়, সৈন্যাসী নয়, মাথায় জটার ভার।
পার্ব্বতীর পতি নয় ভস্ম মাখে গায়।
হিঁয়ালীর ছন্দে কবিকঙ্কনে তা গায়।

উঃ। কেতকী ফুল।

এই লেখাটি বর্তমানে পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত কারণ এটির উৎসস্থল ভারত এবং ভারতীয় কপিরাইট আইন, ১৯৫৭ অনুসারে এর কপিরাইট মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। লেখকের মৃত্যুর ৬০ বছর পর (স্বনামে ও জীবদ্দশায় প্রকাশিত) বা প্রথম প্রকাশের ৬০ বছর পর (বেনামে বা ছদ্মনামে এবং মরণোত্তর প্রকাশিত) পঞ্জিকাবর্ষের সূচনা থেকে তাঁর সকল রচনার কপিরাইটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যায়। অর্থাৎ ২০২৪ সালে, ১ জানুয়ারি ১৯৬৪ সালের পূর্বে প্রকাশিত (বা পূর্বে মৃত লেখকের) সকল রচনা পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত হবে।