প্রবাহিণী/ঋতুচক্র/৫
(পৃ. ১২৮)
৫
হে তাপস, তব শুষ্ক কঠোর রূপের গভীর রসে
মন আজি মোর উদাস বিভোর কোন্ সে ভাবের বশে
তব পিঙ্গল জটা
হানিছে দীপ্ত ছটা,
তব দৃষ্টির বহ্ণিবৃষ্টি অন্তরে গিয়ে পশে॥
বুঝি না, কিছু না জানি
মর্ম্মে আমার মৌন তোমার কী বলে রুদ্র বাণী।
দিগদিগন্ত দহি’
দুঃসহ তাপ বহি’
তব নিশ্বাস আমার বক্ষে রহি রহি নিশ্বসে॥
সারা হয়ে এলে দিন
সন্ধ্যামেঘের মায়ার মহিমা নিঃশেষে হবে লীন।
দীপ্তি তোমার তবে
শান্ত হইয়া র’বে,
তারায় তারায় নীরব মন্ত্রে ভরি দিবে শূন্য সে॥