প্রহাসিনী/অপাক-বিপাক
(পৃ. ৩৪)
অপাক-বিপাক
চলতি ভাষায় যারে ব’লে থাকে আমাশা
যত দূর জানা আছে, সেটা নয় তামাশা।
অধ্যাপকের পেটে এল সেই রোগটা তো,
তাহার কারণ ছিল গুরু জলযোগটা তো॥
বউমার অবারিত অতিথিসেবার চোটে
কী কাণ্ড ঘটেছিল শুনে বুক ফুলে ওঠে।
টেবিল জুড়িয়া ছিল চর্ব্য ও কত পেয়;
ডেকে ডেকে বলেছেন, “যত পারো তত খেয়ো।”
হায়, এত উদারতা সইল না উদরের-
জঠরে কী কঠোরতা বিজ্ঞানভূধরের;
রসনায় ভূরি ভূরি পেল এত মিষ্টতা,
অন্তরে নিয়ে তারে করিল না শিষ্টতা।
এই যদি আচরণ হেন খ্যাতনামাদের,
তোমাদেরি লজ্জ। সে, ক্ষতি নেই আমাদের।
হেথাকার আয়োজনে নাই কার্পণ্য যে,
প্রবল প্রমাণে তারি পরিবার ধন্য যে
বিশ্বে ছড়ালে। খ্যাতি; বিশ্ববিদ্যাগৃহে
করে সবে কানাকানি, “বলো দেখি, হল কী হে।”
এত বড়ো রটনার কারণ ঘটান যিনি
তাঁর কাছে কবি রবি চিরদিন রবে ঋণী॥
৫ বৈশাখ ১৩৪১