প্রহাসিনী/খুড়ার পত্র
সংযোজন
নাসিক হইতে
খুড়ার পত্র
কলকত্তামে চলা গয়ো রে “সুরেন বাবু মেরা-
সুরেন বাবু আসল বাবু, সকল বাবুকো সেরা।
খুড়া সাবকো কায়কো নহি পতিয়া ভেজো বাচ্ছা-
মহিনা-ভর্ কুছ খবর মিলে না ইয়ে তো নহি আচ্ছা।
টপাল' টপাল কঁহা টপাল রে, কপাল হমারা মন্দ-
সকাল বেলাতে নাহি মিলতা টপালকো নাম-গন্ধ।
ঘরকো যাকে কায়কো, বাবা, তুম্সে হম্সে ফরখৎ।
দো-চার কলম লীখ দেওঙ্গে ইস্মে ক্যা হয় হরকৎ।
প্রবাসকো এক সীমা-পর হম বৈঠকে আছি একলা—
সুরি বাবাকো বাস্তে আঁখঁসে বহুৎ পানি নেক্লা।
সর্বদা মন কেমন করতা, কেঁদে উঠতা হির্দয়-
ভাত খাতা, ইস্কুল যাত। সুরেনবাবু নির্দয়।
মন্কা দুঃখে হুহু করকে নিকলে হিন্দুস্থানি—
অসম্পূর্ণ ঠেকতা কানে বাঙ্গলাকো জবানি।
মেরা উপর জুলুম করতা তেরি বহিন বাই-
কী করেঙ্গা কোথায় যাঙ্গা ভেবে নাহি পাই।
বহুৎ জোরসে গাল টিপ্তা দোনো আঙ্গলি দেকে,
বিলাতী এক পৈনি বাজনা বাজাতা থেকে থেকে,
কভী কভী নিকট আকে ঠোঁঠমে চিম্টি কাটতা,
কাঁচি লে কর্ কোঁকড়া কোঁকড়া চুলগুলো সব ছাঁটতা—
জজ সাহেব কুছ বোলতা নহি, রক্ষা করবে কেটা!
কঁহা গয়ো রে কঁহা গয়োরে জজ সাহেবকি বেটা—
গাড়ি চড়কে লাঠিন পড়কে তুম্ তো যাতা ইস্কিল—
ঠোঁটে নাকে চিম্টি খাকে হমারা বহুৎ মুশকিল।
এদিকে আবার পার্টি হোতা, খেল্নেকোবি যাতা—
জিম্খানামে হিম্সিম্ এবং থোড়া বিস্কুট খাতা।
তুম ছাড়া কোই সমূজে না তো হামরা দুরাবস্থা-
বহিন তেরি বহুৎ merry খিল্ খিল্ করকে হাসতা।
চিঠি লিখিও মাকো দিও বহুৎ বহুৎ সেলাম।
আজকের মতো তবে বাবা বিদায় হোকে গেলাম।
প্র. আশ্বিন ১২৯৩
১ চিঠির ডাক। ২/৩ ‘জজসাহেব’ সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র ও কণ্ঠ:
সুরেন্দ্রনাথ ও ইন্দির।