বনলতা সেন/আলো নদীর স্বরণে
(পৃ. ৫৫)
আলাে নদীর স্মরণে
ধ্বনি পাখির আলাে নদীর স্মরণে এসেছি।
আবার তুমি আমি
ভেবেছিলাম আমরা দুজন
মিশরীয় মামি
ঘুমিয়ে আছি সকাল বিকাল
ভােরের হাওয়া সবুজ পাতার নড়া
আমলকীডাল শাল
রুপালি বৃষ্টি পড়া
হয়ে গিয়েছিলাম তুমি আমি।
আমরা কত নগরী হাটে জ্বলে
রক্ত আগুন আবছা অবক্ষয়ে
অসময়ের অন্ধকারে মরেছি বারবার
তবুও আলাে সাহস প্রাণ চেয়েছি হৃদয়ে
দূর ইতিহাসযানী।
কোথাও নীড় বেঁধেছিলাম
ভেঙে গেলে কেঁদেছিলাম
ফেনার শীর্ষে হেসেছিলাম
জীবন ভালােবেসেছিলাম
আলাে—আরও আলাের প্রায়াণী।
আজকে মানুষ চলে গেলে তবু
মানব র’য়ে যাবে,
পাতা শিশির ইতিহাসের বেলা
হয়ে যাবে গভীরতরভাবে
নরনারীর নিজের রাজধানী।